► গীতসংহিতা ১৩৯ অধ্যায়টি একসাথে পড়ুন। এই অনুচ্ছেদটি ঈশ্বরের আত্মা সম্পর্কে আমাদের কী জানায়?
[1]কিছু মানুষ পবিত্র আত্মাকে কেবল এমন কিছু বলে মনে করে, যা তাদের আবেগকে আলোড়িত করে - এমন এক শক্তি যা তারা ব্যবহার করার চেষ্টা করে, একটি নৈর্ব্যক্তিক শক্তি বা কেবল একটি উপস্থিতি। উদাহরণস্বরূপ, একজন যিহোবার সাক্ষি (যিহোবা'স উইটনেস) এইরকম কিছু বলবেন: পবিত্র আত্মা কোন ব্যক্তি নয়, এবং এটি ত্রিত্বের অংশ নয়। পবিত্র আত্মা হল ঈশ্বরের সক্রিয় শক্তি, যা তিনি তাঁর ইচ্ছা সম্পাদন করার জন্য ব্যবহার করেন..। একটি নির্দিষ্ট মাত্রায়, এটি বিদ্যুতের সাথে তুলনা করা যেতে পারে।"[2]
► পবিত্র আত্মা সম্বন্ধে যিহোবার সাক্ষিদের (যিহোবা'স উইটনেসদের) ধারণা ভুল কেন?
যিহোবার সাক্ষিরা পবিত্র আত্মাকে এক নৈর্ব্যক্তিক শক্তি হিসেবে দেখেন। কারণ তাদের ঈশ্বরের বাইবেলের বোধগম্যতা নেই, তাই তারা তাঁর সাথে সঠিক সম্পর্ক রাখতে পারে না।
আমরা পবিত্র আত্মা সম্পর্কে সব বুঝতে পারব এমন আশা করা উচিত নয়। যিশু বলেছিলেন যে আত্মার কাজ বাতাসের মতো; আপনি তার শব্দ শুনতে পান, কিন্তু আপনি জানেন না এটি কোথা থেকে এসেছে বা কোথায় যাচ্ছে (যোহন ৩:৮)। কিন্তু কিছু বিষয় আছে যা আমরা আত্মা সম্বন্ধে জানতে পারি এবং সেগুলি ঈশ্বরের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
শাস্ত্রের যে অংশটি আমাদের পবিত্র আত্মা ও গির্জার মধ্যে পারস্পরিক কার্যকলাপ সম্বন্ধে সবচেয়ে বেশি বর্ণনা দেয়, সেটি হল প্রেরিতের পুস্তক। সেখানে আমরা একটা নমুনা দেখতে পাই যে, কিভাবে মন্ডলীর শুরুতে পবিত্র আত্মার প্রতি সাড়া দিয়েছিল।
[3]১। তারা পবিত্র আত্মাকে ঈশ্বর হিসাবে সম্মান করেছিল। (পড়ুন প্রেরিত ৫:৩-৪)
২। তারা পবিত্র আত্মার উপস্থিতি, নির্দেশনা এবং কার্যকলাপ সম্পর্কে সচেতন ছিল। (পড়ুন প্রেরিত ১৫:২৮)
৩। তারা পবিত্র আত্মার উপর তাদের নির্ভরতা এবং তাঁর প্রতি সাড়া দেওয়ার বিষয়ে তাদের দায়িত্ব উপলব্ধি করেছিল। (পড়ুন প্রেরিত ৪:২৪, ৩১)
পবিত্র আত্মার সঙ্গে সেই ধরনের সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য আমাদের অবশ্যই উপলব্ধি করতে হবে যে, তিনি একজন ব্যক্তি এবং তিনি হলেন ঈশ্বর।
“আমরা সেই পবিত্র আত্মায় বিশ্বাস করি, যিনি ব্যবস্থায় কথা বলতেন, ভাববাদীদের দ্বারা শিক্ষা দিতেন, এবং যর্দনের কাছে অবতীর্ণ হতেন, প্রেরিতদের দ্বারা কথা বলতেন এবং সাধুদের মধ্যে বাস করতেন।” তাই আমরা বিশ্বাস করি: যে তিনি পবিত্র আত্মা, ঈশ্বরের আত্মা, সিদ্ধ আত্মা, সেই সহায়, যিনি পিতার নিকট হইতে আসিলেন, পুত্ত্র গ্রহণ করিলেন, যার প্রতি আমরা আমাদের বিশ্বাস স্থাপন করেছি।
- এপিফানিয়াসিয় ধর্মবিশ্বাস (Creed of Epiphanius), ৩৭৪ খ্রিষ্টাব্দ
পবিত্র আত্মা হলেন একজন ব্যক্তিসত্ত্বা
পবিত্র আত্মার যিশুর মতো শারীরিক দেহ নেই, কিন্তু তিনি একজন ব্যক্তি। একজন প্রকৃত ব্যক্তির ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে মন, ইচ্ছা এবং আবেগ। পবিত্র আত্মার কি কোন ইচ্ছা আছে? তিনি তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী খ্রিস্টবিশ্বাসীদের আধ্যাত্মিক দান বিতরণ করেন (১ করিন্থীয় ১২:১১)। পবিত্র আত্মার কি মন আছে? তিনি সমস্ত কিছু অনুসন্ধান করেন, এমনকি ঈশ্বরের গভীর বিষয়গুলিও জানেন (১ করিন্থীয় ২:১০)। পবিত্র আত্মার কি আবেগ আছে? আমাদের পবিত্র আত্মাকে দুঃখিত না করতে বলা হয়েছে (ইফিষীয় ৪:৩০)। পবিত্র আত্মা যদি দুঃখিত হতে পারেন, তা হলে তাঁর আবেগ রয়েছে। যেহেতু পবিত্র আত্মার মন, ইচ্ছা ও আবেগ রয়েছে, তাই আমরা জানি যে, তিনি একজন ব্যক্তি।
► কেন এটা আমাদের জানা গুরুত্বপূর্ণ যে পবিত্র আত্মা একজন ব্যক্তিসত্ত্বা?
একজন মানুষের অন্যের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষমতা থাকে। পবিত্র আত্মা যদি একটি নৈর্ব্যক্তিক শক্তি হয়, তাহলে আমরা তার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারি না। কিন্তু ফিলিপীয় ২:১ এবং ২ করিন্থীয় ১৩:১৪ পদ অনুযায়ী, আত্মা আমাদের সঙ্গে মেলামেশা করতে সমর্থ, এবং তাই তিনি নিশ্চয়ই একজন ব্যক্তি।
ক্লাস লীডারের জন্য নোট: পবিত্র আত্মার ব্যক্তিত্বের আরও বাইবেলের প্রমাণের জন্য এই পাঠের শেষের অংশে, "পবিত্র আত্মার ব্যক্তিত্বের বিষয়ে বাইবেলের প্রমাণ" শিরোনামটি দেখুন।
পবিত্র আত্মা হলেন ঈশ্বর।
পবিত্র আত্মা হলেন সর্বজ্ঞ, সর্বদর্শী, সর্বত্র বিরাজমান ঈশ্বর। অননিয় ও সাফিরার কাহিনীটি মনে আছে? অননিয় মারা যাওয়ার আগে পিতর তাকে বলেছিলেন, “অননিয়, এ কী রকম হল, শয়তান তোমার অন্তরকে এমন পূর্ণ করল যে, তুমি পবিত্র আত্মার কাছে মিথ্যা বললে … তুমি মানুষের কাছে নয়, কিন্তু ঈশ্বরেরই কাছে মিথ্যা বললে।” (প্রেরিত ৫:৩-৪) এর থেকে আমরা দেখতে পাই যে পবিত্র আত্মার কাছে মিথ্যা বলা ঈশ্বরের কাছে মিথ্যা বলার সমান; অতএব, পবিত্র আত্মা হলেন ঈশ্বর৷
পবিত্র আত্মা সব কিছু জানেন। আমরা ১ করিন্থীয় ২:১০-১১ পদে দেখতে পাই যে, তিনি ঈশ্বরের সমস্ত বিষয় জানেন। এটা একটা অসীম মনের ব্যাপার। তিনি ভবিষ্যদ্বাণীগুলি সহ পুরাতন নিয়মের গ্রন্থগুলিকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন, যার জন্য সমস্ত জ্ঞানের প্রয়োজন। (পড়ুন ২ পিতর ১:২১)। আমাদের বলা হয়েছে যে, শাস্ত্রের গ্রন্থগুলি ঈশ্বর দ্বারা নিঃশ্বাসিত (২ তীমথিয় ৩:১৬। সুতরাং, পবিত্র আত্মা হলেন ঈশ্বর৷
পবিত্র আত্মা সর্বত্র বিদ্যমান। গীতসংহিতা ১৩৯:৭-১০ পদ আমাদের বলে যে, ঈশ্বরের আত্মার উপস্থিতি থেকে বাঁচতে একজন ব্যক্তি যেতে পারে এমন কোথাও স্থান নেই। তিনি প্রত্যেক বিশ্বাসীর সাথে উপস্থিত থাকেন, কারণ বাইবেল বলে যে একজন ব্যক্তির যদি খ্রীষ্টের আত্মা না থাকে, তবে সে খ্রীষ্টের হয় না (রোমীয় ৮:৯)। প্রসঙ্গটি দেখায় যে খ্রীষ্টের আত্মা হল পবিত্র আত্মা।
পবিত্র আত্মার সমস্ত ক্ষমতা আছে। তিনি এমন সব কাজ করেন, যা একমাত্র ঈশ্বরই করতে পারেন। তিনি জগৎকে পাপ, ধার্মিকতা এবং বিচারের দোষী সাব্যস্ত করেন (যোহন ১৬:৮)। তা করার জন্য তাঁকে প্রত্যেক ব্যক্তির বিবেকের কাছে যেতে হবে এবং নির্দিষ্ট কিছু সত্য সম্বন্ধে তাদের মনকে দৃঢ়প্রত্যয়ী করতে হবে। এ ছাড়া, তিনি প্রত্যেক বিশ্বাসীকে অভ্যন্তরীণ শক্তিও প্রদান করতে সমর্থ। (পড়ুন ইফিষীয় ৩:১৬)। আত্মা পৃথিবীর সর্বত্র প্রত্যেক বিশ্বাসীর জীবনে আধ্যাত্মিক ফল উৎপন্ন করে। (পড়ুন গালাতীয় ৫:২২-২৩)। ঐশ্বরিক শক্তি ছাড়া তা সম্ভব নয়।
লূক ১২:১০ পদে আমাদের বলা হয়েছে যে পবিত্র আত্মাকে নিন্দা করা যেতে পারে। একমাত্র ঈশ্বরকেই নিন্দা করা যায়, তাই পবিত্র আত্মাকে অবশ্যই ঈশ্বর হতে হবে।
পবিত্র আত্মা হলেন অনন্ত (ইব্রীয় ৯:১৪)
আমাদের দেহকে ঈশ্বরের মন্দির বলা হয় কারণ পবিত্র আত্মা সেখানে বাস করেন (১ করিন্থীয় ৩:১৬)।
বাইবেলের প্রমাণ থেকে আমরা জানি যে পবিত্র আত্মা স্বয়ং ঈশ্বর, ঐশ্বরিক ত্রিত্বের তৃতীয় ব্যক্তি।
► কেন পবিত্র আত্মার ঈশ্বরত্বে বিশ্বাস করা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ?
পবিত্র আত্মার ঈশ্বরত্বে বিশ্বাস করা গুরুত্বপূর্ণ যাতে আপনি তাকে তাঁর প্রাপ্য সম্মান এবং মর্যাদা দিতে পারেন। পবিত্র আত্মার উপাসনা করতে ব্যর্থ হওয়া একটি গুরুতর বিষয় হবে৷
পবিত্র আত্মা পিতা এবং পুত্র থেকে পৃথক
পবিত্র আত্মাকে পিতা ও পুত্র থেকে স্বতন্ত্র এই কথা বলার অর্থ এই নয় যে তারা মানুষের মতো একই অর্থে পৃথক ব্যক্তি। ত্রিত্বের সদস্যরা একে অপরের সাথে বসবাস করে এবং সকলেই একই ঈশ্বর। কিন্তু একে অপরের সাথে কথা বলার, একে অপরকে প্রেম করার এবং একে অপরের সাথে এবং আমাদের সাথে সত্যিকারের ব্যক্তিগত সম্পর্ক রাখতে যথেষ্ট স্বতন্ত্র।
শাস্ত্র ত্রিত্বের ব্যক্তিদের মধ্যে একটি পার্থক্য শিক্ষা দেয়। উদাহরণস্বরূপ, যোহন ১৪-১৬ অধ্যায়ে যিশু বার বার একজন সহায় বা সাহায্যকারীর কথা উল্লেখ করেছিলেন, যাকে তিনি পিতার কাছে ফিরে যাওয়ার সময় পাঠাবেন (পড়ুন যোহন ১৪:১৬-১৭, ২৬; যোহন ১৫:২৬; যোহন ১৬:৭, ১৩-১৫)। এই সাহায্যকারী শিষ্যদের নির্দেশনা দেবেন এবং তাদের শিক্ষা দেবেন। যিশু ও পবিত্র আত্মা যদি একই ব্যক্তি হন, তাহলে অন্য একজন সাহায্যকারী হিসেবে পবিত্র আত্মা সম্বন্ধে যিশুর উল্লেখ করার কোন অর্থ থাকত না। যিশু নিশ্চয়ই অন্য একজন ব্যক্তিকে উল্লেখ করছিলেন, যাঁকে তিনি নিজের থেকে আলাদা বলে মনে করতেন।
যিশু বলেছিলেন যে পবিত্র আত্মা তাঁর নিজের কর্তৃত্বে কথা বলবেন না, বরং খ্রিষ্টের বিষয়গুলি প্রকাশ করবেন যা খ্রিষ্ট পিতার কাছ থেকে পেয়েছিলেন (যোহন ১৬:১৩-১৫)। যিশু ও পিতা যদি পবিত্র আত্মার মতো একই ব্যক্তি হতেন, তা হলে এই বিবৃতিটির কোনো অর্থই থাকত না।
যিশু যখন বাপ্তাইজিত হন, তখন স্বর্গ থেকে একটি কণ্ঠস্বর শোনা যায়, “তুমি আমার পুত্র” এবং পবিত্র আত্মা কপোতের মত যিশুর উপর অবতরণ করেছিলেন (মার্ক ১:১০-১১)। ত্রিত্বের তিনজন সদস্যই একই সময়ে এখানে জড়িত, একে অপরের থেকে স্বতন্ত্র।
একজন স্বতন্ত্র ব্যক্তি হিসেবে পবিত্র আত্মা অনন্তকাল ধরে পিতা ও পুত্রের সঙ্গে এক প্রেমের সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। ঈশ্বর আমাদেরকে সেই সম্পর্কের অংশী হতে সৃষ্টি করেছেন। ঈশ্বর চান যেন আমরা তাঁর সঙ্গে সাহচর্য উপভোগ করি (১ যোহন ১:৩-৪), যেমনটা ত্রিত্বের প্রত্যেক সদস্য সময় শুরু হওয়ার আগে থেকে একে ওপরের সঙ্গে সাহচর্য উপভোগ করেছেন। (পড়ুন যোহন ১৭:২২-২৩ পড়ুন)
পবিত্র আত্মা সক্রিয়
সৃষ্টির সময় থেকেই পৃথিবীতে পবিত্র আত্মা সক্রিয় রয়েছেন। পৃথিবী সৃষ্টি হওয়ার সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন এবং জড়িত ছিলেন (আদিপুস্তক ১:২, ২৬)। তিনি সেই লোকেদের বিশেষ ক্ষমতা দিয়েছিলেন যাদেরকে বিশেষ কাজে ডাকা হতো (যাত্রাপুস্তক ৩৫:৩০-৩১; বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ ৩:৯-১০; বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ ১৫:১৪-১৫)। তিনি ভাববাদীদে বার্তা দিয়েছিলেন (যিশাইয় ৬১:১)। তিনি শাস্ত্রকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন (২ পিতর ১:২১)। তিনি সবসময় মানুষের হৃদয়ে কাজ করেছেন, তাদেরকে ঈশ্বরের কাছে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছেন (প্রেরিত ৭:৫১)।
তাঁকে বলা হয় 'জীবনের আত্মা'। (পড়ুন রোমীয় ৮:২)। তিনি হলেন সেই আত্মা যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন এবং জীবন দিয়েছেন। তিনি যদি পৃথিবী থেকে সরে যান তবে সমস্ত জীবন থেমে যাবে এবং মানুষ ধূলিতে ফিরে যাবে (ইয়োব ৩৩:৪, ইয়োব ৩৪:১৪-১৫।
নতুন নিয়ম পবিত্র আত্মার কাজের একটি নতুন দিক প্রবর্তন করে। যোহন বাপ্তাইজক বলেছিলেন যে যিশু পবিত্র আত্মা দ্বারা লোকেদের বাপ্তাইজিত করবেন (মথি ৩:১১)। যিশু তাঁর শিষ্যদের বলেছিলেন পিতার প্রতিজ্ঞা, অর্থাৎ পবিত্র আত্মার বাপ্তিস্ম, প্রত্যাশা করতে যা পঞ্চাশত্তমীর দিনে ঘটেছিল (প্রেরিত ১:৪-৫, ৮)।
যিশু শিষ্যদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে পবিত্র আত্মা তাদের সাথে থাকবেন, তাদেরকে যিশু যা শিক্ষা দিয়েছিলেন সেগুলো স্মরণ করিয়ে দেবেন এবং তাদেরকে সত্যের দিকে নিয়ে যাবেন (যোহন ১৪:২৬, যোহন ১৬:১৩। যিশু বলেছিলেন যে পবিত্র আত্মা অন্য একজন সাহায্যকারী হবেন (যোহন ১৪:১৬, ২৬, যোহন ১৫:২৬, ২৬, যোহন ১৫:২৬, যোহন ১৬:৭)। যিশু যে গ্রিক শব্দ ব্যবহার করেছিলেন, তা এমন একজন ব্যক্তিকে নির্দেশ করে, যিনি আমাদের সঙ্গে আছেন, যিনি আমাদের উৎসাহিত করেন ও সাহায্য করেন। এটি একজন প্রতিনিধিকেও নির্দেশ করতে পারে। পবিত্র আত্মা যিশুকে প্রতিনিধিত্ব করেন এবং তাঁর কথাগুলি আমাদের মনে করিয়ে দেন।[1]
► পবিত্র আত্মা কি কি কাজ করেন?
পৃথিবীতে পবিত্র আত্মার কাজ সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা করা যায় না, তবে এখানে তার কিছু কার্যক্রমের তালিকা দেওয়া হল।
১। তিনি পাপকে দোষী সাব্যস্ত করেন (যোহন ১৬:৮, ১ করিন্থীয় ২:৪, ১ থিষলনীকীয় ১:৫। তা না হলে, একজন ব্যক্তির পক্ষে অনুতপ্ত হওয়া এবং ক্ষমা লাভ করার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করা অসম্ভব হবে।
২। তিনি পুনর্জীবন দেন, পাপে মৃত ব্যক্তিকে জীবন দান করেন (তীত ৩:৫, ইফিষীয় ২:১, যোহন ৩:৫)।
৩। তিনি বিশ্বাসীকে ব্যক্তিগত আশ্বাস দেন যে সে পরিত্রাণ পেয়েছে (রোমীয় ৮:১৬)।
৪। তিনি প্রত্যেক বিশ্বাসীর মধ্যে বাস করেন (প্রত্যেক পরিত্রাণপ্রাপ্ত ব্যক্তির মধ্যে পবিত্র আত্মা রয়েছেন) (রোমীয় ৮:৯, ১ করিন্থীয় ৬:১৯)।
৫। তিনি ঈশ্বরের সত্য সম্বন্ধে বোধগম্যতা প্রদান করেন (১ করিন্থীয় ২:৯-১০, ১৩-১৪, ২ করিন্থীয় ৩:১৪-১৭, ইফিষীয় ৬:১৭)।
৬। তিনি বিশ্বাসীদের বিশেষ পরিচর্যার জন্য আহ্বান করেন এবং পরিচর্যায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেন (প্রেরিত ১৩:২-৪, প্রেরিত ১৫:২৮, প্রেরিত ১৬:৬-১০)।
৭। তিনি বিশ্বাসীদের পবিত্র করণ করেন, পবিত্র করার জন্য তার হৃদয়কে পরিশুদ্ধ করেন (প্রেরিত ১৫:৮-৯, ১ পিতর ১:২)।
৮। তিনি পাপের বিরুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য শক্তি প্রদান করেন (রোমীয় ৮:১, ৫, ১৩, গালাতীয় ৫:১৬)।
৯। তিনি বিশ্বাসীদের জীবনে আধ্যাত্মিক ফল উৎপন্ন করেন (গালাতীয় ৫:২২-২৩)।
১০। তিনি পরিচর্যার জন্য বরদান প্রদান করেন (১ করিন্থীয় ১২:৪-১০, ২৮-৩০, রোমীয় ১২:৬-৮, ১ পিতর ৪:১০-১১)।
১১। তিনি পরিচর্যার জন্য ক্ষমতার বিশেষ অভিষেক দেন (প্রেরিত ১:৮, প্রেরিত ১৩:৯. গালাতীয় ৩:৫, ১ পিতর ১:১২)।
১২। তিনি বিশ্বাসীকে ঈশ্বরের ইচ্ছা অনুযায়ী প্রার্থনা করতে সাহায্য করেন (রোমীয় ৮:২৬-২৭, ইফিষীয় ৬:১৮)।
১৩। তিনি মন্ডলীর ঐক্য এবং সহভাগিতা সৃষ্টি করেন (ইফিষীয় ৪:৩, ফিলিপীয় ২:১)।
[1]এই একই শব্দ ১ যোহন ২:১ পদেও ব্যবহার করা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে যে যিশু হলেন পিতার কাছে আমাদের প্রতিনিধি।
আত্মার দান সম্পর্কে কিছু নীতি
ক্লাস লিডারের জন্য নোট: ক্লাসের একজন সদস্য এই বিভাগটি ব্যাখ্যা করতে পারে।
১। আত্মা বিভিন্ন বরদান, ক্রিয়াকলাপ এবং প্রশাসনের মাধ্যমে কাজ করেন (১ করিন্থীয় ১২:৪-৬)।
২। আধ্যাত্মিক দানগুলি ঈশ্বরের ইচ্ছা অনুযায়ী বিতরণ করা হয়, আধ্যাত্মিকতা অনুসারে নয় (১ করিন্থীয় ১২:১১, ১ করিন্থীয় ৪:৭)।
৩। প্রত্যেক বিশ্বাসীরই আত্মার দ্বারা প্রদত্ত কিছু না কিছু ক্ষমতা রয়েছে (১ করিন্থীয় ১২:৭)।
৪। প্রত্যেক বিশ্বাসীর কাছ থেকে কোন নির্দিষ্ট উপহার আশা করা যায় না (১ করিন্থীয় ১২:৮-১১, ১৪-৩০)।
৫। সবসময় ঈশ্বরের গৌরবার্থে অন্যদের সেবা করার জন্য বরদানগুলি ব্যবহার করা উচিত (১ করিন্থীয় ১২:২১-২২, ২৫, ১ পিতর ৪:১০-১১)।
পরভাষার (জিহ্বার) বরদান
খ্রিস্টবিশ্বাসীরা সকলেই পরভাষায় কথা বলা বা জিহ্বার বরদানের বিষয়ে একমত নয়। কিছু খ্রিস্টবিশ্বাসী বিশ্বাস করে যে প্রত্যেক বিশ্বাসী যখন পবিত্র আত্মা পায় তখন সে ভিন্ন ভাষায় কথা বলবে।
অন্য খ্রিস্টবিশ্বাসীরা বিশ্বাস করে যে, ভিন্ন ভাষায় কথা বলে এমন লোকেদের সঙ্গে কথা বলার জন্য কিছু বিশ্বাসীকে ভাষার বরদান দেওয়া হয়। তারা এটি বিশ্বাস করে কারণ পঞ্চাশত্তমীর দিনে বক্তাদেরকে কথা অনেক ভাষায় বোঝা গিয়েছিল (প্রেরিত ২:৬)। তারা বিশ্বাস করে যে, ঈশ্বর এই বরদান এবং অন্য যে কোন আধ্যাত্মিক বরদান দেন, যাকে তিনি বেছে নেন (১ করিন্থীয় ১২:৪-১১)। তারা বিশ্বাস করে যে প্রত্যেক বিশ্বাসীর কাছে একই বরদান থাকবে এমন নয় (১ করিন্থীয় ১২:২৯-৩০), এবং তাই বরদানটি একজন বিশ্বাসীর জন্য কিছু প্রমাণ করে না (1 করিন্থীয় 14:22), যদিও প্রত্যেক বিশ্বাসীর পবিত্র আত্মা রয়েছে (রোমীয় ৮:৯)।
পরভাষার (জিহ্বার) দান সম্বন্ধে বিভিন্ন মতামত হয়তো বিশ্বাসীদেরকে পরিচর্যার কোনো কোনো ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করা থেকে বিরত করতে পারে, কিন্তু এই বিষয়ে তাদের মতামতের জন্য বিশ্বাসীদের একে অন্যকে বিচার করা উচিত নয়।
বিশ্বাসীদের সাথে পবিত্র আত্মার সম্পর্ক
আপনি যদি ঈশ্বরের সাথে সম্পর্কযুক্ত হন তবে আপনি পবিত্র আত্মার সাথেও সম্পর্কযুক্ত। ত্রিত্বে অন্যদের বাদ দিয়ে শুধু মাত্র একজনকে জানা সম্ভব নয়। (পড়ুন ইফিষীয় ২:১৮, যোহন ৬:৪৪)
একজন মানুষকে পরিত্রাণ পাওয়ার আগে পবিত্র আত্মার মতবাদ বুঝতে হবে না। শিষ্যরা আত্মা সম্বন্ধে অনেক কিছু জানত না, কিন্তু যিশু তাদের বলেছিলেন যে, তারা আত্মাকে জানে এবং তিনি ইতিমধ্যেই তাদের সঙ্গে আছেন। (পড়ুন যোহন ১৪:১৭)
পবিত্র আত্মা সম্বন্ধে সঠিক মতবাদ জানা আমাদেরকে তাঁর কাছে সঠিক পথ সম্বন্ধে বর্ণনা করতে এবং তাঁকে আমাদের জীবনে আরও বেশি কিছু করতে দিতে সাহায্য করে। তিনি একজন ব্যক্তি, তা জানা আমাদেরকে এই বিষয়টা জানতে সাহায্য করে যে, আমরা তাঁর সঙ্গে এক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারি। আমরা তার সঙ্গে কথা বলতে পারি আর তিনি আমাদের সঙ্গে কথা বলবেন। তিনি সাধারণত আমাদের সঙ্গে শ্রবণযোগ্য স্বরে কথা বলেন না, কিন্তু তিনি আমাদেরকে ঈশ্বরের ইচ্ছা এবং ঈশ্বরের প্রেম সম্বন্ধে বুঝতে সাহায্য করেন। আমরা যদি সত্যিই ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করতে চাই, তাহলে পবিত্র আত্মা আমাদের পরিচালনা দেবেন, যদিও আমরা সবসময় তা অনুভব করি না।
তিনি যে একজন ব্যক্তি তা জানার অর্থ এই যে আমরা এমন আচরণ না করি যেন তিনি একটি শক্তি বা অনুভূতি। আমরা যখন ঈশ্বরের উপাসনা করি, তখন আমরা এক অবিবেচক অনুভূতি উপভোগ করার পরিবর্তে, তিনি কে এবং তিনি কেমন সেই বিষয়ে চিন্তা করি। আমরা যখন প্রার্থনা করি, তখন আমরা বুদ্ধিপূর্বক কথা বলি এবং অন্যান্য ধর্মের লোকেদের মতো নৈর্ব্যক্তিক, যাদুকরী উপায়ে শব্দ ব্যবহার করার পরিবর্তে তিনি আমাদের কী দেখাতে পারেন তা বোঝার চেষ্টা করি।
পবিত্র আত্মা যে ঈশ্বর, তা জানা আমাদেরকে উপাসনার জন্য এক শ্রদ্ধাপূর্ণ মনোভাব প্রদান করা উচিত। আমরা যখন প্রার্থনা করি এবং তাঁর নির্দেশনা উপলব্ধি পারি, তখন আমাদের মনে রাখতে হবে যে, তিনিই হলেন সেই ঈশ্বর, যিনি আমাদের ভালবাসেন, আমাদের সম্পূর্ণরূপে জানেন এবং আমাদের ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে জানেন। এ ছাড়া, তিনি হলেন সর্বময় কর্তৃত্ব, যাঁর প্রতি আমাদের বাধ্য থাকতে হবে।
তিনি সবসময় আমাদের সঙ্গে সব সময় আছেন। শাস্ত্র বলে যে, আমরা আত্মায় বাস করি এবং আমাদের এবং আত্মায় চলা উচিত (গালাতীয় ৫:২৫। আমাদের এমনভাবে জীবনযাপন করা উচিত যেন আমরা তার উপস্থিতিতে আছি এবং এটা মনে করা উচিত নয় যে আমরা কেবলমাত্র মন্ডলীর সভায় তাঁর উপস্থিতিতে আসি। তিনি শুধু আমাদের সঙ্গেই থাকেন না, আমাদের মধ্যেই বাস করেন। এই কারণে আমাদের এমন এক জীবনযাপন করা উচিত, যা বিশুদ্ধ ও পবিত্র। (পড়ুন ১ করিন্থীয় ৬:১৯)
আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, আত্মার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের বিষয় হল পাপের উপর আমাদের বিজয় প্রদান করা এবং আমাদের হৃদয়কে শুচি করা (রোমীয় ৮:১৩, গালাতীয় ৫:১৬, প্রেরিত ১৫:৮-৯)। আমরা যদি তাঁকে তাঁর সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের বিষয় সম্পাদন করতে না দিই, তা হলে আমাদের অন্য বিষয়গুলির জন্য প্রার্থনা করা উচিত নয়। আমাদের বিশ্বাস সহকারে প্রার্থনা করা উচিত যেন তিনি আমাদের সম্পূর্ণরূপে পবিত্র করে তোলেন। (পড়ুন ১ থিষলনীকীয় ৫:২৩)
জীবনের সংগ্রামে তিনি আমাদের মনে শক্তি যোগান (ইফিষীয় ৩:১৬)। তিনি আমাদের বোঝেন, আমাদের পরিস্থিতি বোঝেন এবং আমাদের যা প্রয়োজন, তিনি ঠিক তা-ই দিতে পারেন।
পরিচর্যায় নির্দেশনা দেওয়ার, তাঁর বাক্যকে শক্তি দেওয়ার এবং অন্যদের হৃদয়ে আধ্যাত্মিক ফল লাভ করার জন্য আমাদেরকে তাঁর উপর নির্ভর করতে হবে। প্রেরিত পুস্তকে এটি আমরা দেখতে পাই। কোন মানব ক্ষমতাই আত্মার কাজের বিকল্প হতে পারে না।
এমনকি আপনি যদি ইতিমধ্যেই আত্মায় পূর্ণ হয়ে থাকেন, তবুও তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে ভুলবেন না। আত্মা দ্বারা পূর্ণ হওয়ার আদেশ হল ক্রমাগত পূর্ণ হওয়ার আদেশ (ইফিষীয় ৫:১৮ পড়ুন)। আমাদের অবিরাম পূর্ণ হতে হবে এবং এটি ঘটে তাঁর সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের মাধ্যমে।
পবিত্র আত্মা হলেন ত্রিত্বের তৃতীয় ব্যক্তি, পিতা ও পুত্রের সাথে সম্পূর্ণরূপে ঐশ্বরিক। তিনি পাপকে দোষী করেন, নতুন জন্ম দেন করেন, এবং পাপের উপর বিজয় প্রদান করে ও হৃদয়ের শুদ্ধিকরণ করে প্রত্যেক বিশ্বাসীর মধ্যে বাস করেন। তিনি হলেন মন্ডলিক জীবনকে সংঘবদ্ধ করেন, যা তিনি আত্মার ফল এবং পরিচর্যার জন্য আধ্যাত্মিক বরদান দিয়ে আশীর্বাদযুক্ত করেন।
পবিত্র আত্মার ব্যক্তিত্বের বিষয়ে বাইবেলের প্রমাণ
ক্লাস লিডারের জন্য নোট: এই বিভাগটি ঐচ্ছিক এবং যদি ক্লাস এই বিষয়ে আরও বাইবেলের প্রমাণের প্রয়োজন বোধ করে তবে এটি অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
কিছু লোক আত্মার ব্যক্তিত্বকে অস্বীকার করে এবং বলে যে তিনি বিদ্যুৎ অথবা মাধ্যাকর্ষণের মতো এক নৈর্ব্যক্তিক শক্তি। কিন্তু, এএটা অসম্ভব যে একটি নৈর্ব্যক্তিক শক্তিকে বর্ণনা করা হবে যেমন বাইবেল পবিত্র আত্মাকে বর্ণনা করে। বিদ্যুৎ কথা বলে না, যুক্তি দেয় না, মাধ্যাকর্ষণকে মিথ্যা বলা যায় না। এক বুদ্ধিহীন শক্তি ঈশ্বরের ইচ্ছা বুঝতে পারে না।
কেউ কেউ বলে যে, এই শাস্ত্রপদগুলি শুধু ব্যক্তিত্ব আরোপ করে, নৈর্ব্যক্তিক কোন কিছু সম্বন্ধে এমনভাবে কথা বলে যেন তা এমন কোন ব্যক্তি, যার প্রকৃত অর্থ নেই। কিন্তু, শাস্ত্র ব্যক্তিগত পরিভাষায় আত্মার বিষয়ে বলে এবং লোকেরা একজন ব্যক্তির মতোই তাঁর প্রতি সাড়া দেয়। কয়েকটি স্থানে আত্মাকে রূপকভাবে বলা হয়েছে যেন তিনি একটি জড়বস্তু, যেমন বাইবেল বলে আত্মাকে ঢেলে দেওয়া হবে (প্রেরিত ২:১৭)। সেগুলিকে রূপক হিসাবে বিবেচনা করা উচিত কারণ বাইবেল সাধারণত একজন ব্যক্তি হিসাবে আত্মার কথা বলে।
পবিত্র আত্মার ব্যক্তিত্বের বিষয়ে বাইবেলের প্রমাণ:
মথি ২৮:১৯ পদে আমাদের পিতা, পুত্র ও পবিত্র আত্মার নামে বাপ্তাইজিত হতে বলা হয়েছে, যা ইঙ্গিত করে যে, তিনজনেরই কর্তৃত্ব রয়েছে।
২ করিন্থীয় ১৩:১৪ পদ পবিত্র আত্মার সাহচর্যের সম্বন্ধে উল্লেখ করে, যা বুদ্ধিদীপ্ত ভাববিনিময়ের ইঙ্গিত দেয়।
মার্ক ১৩:১১ পদে বিশ্বাসীদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল যে, তাড়নার সময়ে পবিত্র আত্মা তাদের মাধ্যমে কথা বলবেন।
যোহন ১৪:১৭, ২৬ পদে পবিত্র আত্মাকে সত্যের আত্মা বলা হয়েছে, যিনি শিক্ষা দেবেন এবং স্মরণ করিয়ে দেবেন।
যোহন ১৬:৭-১১ পদে যিশু প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, পবিত্র আত্মা পাপ, ধার্মিকতা ও বিচারের জগৎকে দোষী করবেন, যার জন্য বুদ্ধিমান ভাববিনিময়ের প্রয়োজন।
যোহন ১৬:১৩-১৫ পদ বলে যে পবিত্র আত্মা তাঁর নিজের কর্তৃত্বে কথা বলবেন না, বরং খ্রিস্টের বিষয় ঘোষণা করবেন।
১ করিন্থীয় ১২:১১ পদ অনুযায়ী পবিত্র আত্মা বেছে নেন যে কীভাবে আধ্যাত্মিক বরদানগুলি দেওয়া হবে।
তিনি আমাদের আত্মাদের কাছে সাক্ষ্য দেন যে আমরা ঈশ্বরের সন্তান (রোমীয় ৮:১৬।
তিনি আমাদের জন্য পিতার কাছে মধ্যস্থতা করেন এবং তাঁর এমন একটি মন আছে যা ঈশ্বরের ইচ্ছা বুঝতে পারে (রোমীয় ৮:২৬-২৭)।
ইফিষীয় ৪:৩০ পদ অনুসারে, তিনি দুঃখিত হতে পারেন, যার অর্থ হল তিনি তাঁর প্রতি আমাদের প্রতিক্রিয়া বুঝতে পারেন এবং তাঁর আবেগ রয়েছে।
তাঁকে মিথ্যা কথা বলা যেতে পারে, যার অর্থ তিনি ভাববিনিময় বোঝেন (প্রেরিত ৫:৩)।
তিনি কথা বলেন, নির্দেশ দেন এবং তাঁর যা ইচ্ছা তা বিশ্ববাসীদের অনুসরণ করা উচিত (প্রেরিত ১৩:২-৪)।
তিনি প্রেরিতদেরকে তাদের মিশনারি যাত্রায় নির্দেশনা দিয়েছিলেন এবং কখনও কখনও তাদেরকে কোন স্থানে যেতে নিষেধ করেছিলেন (প্রেরিত ১৬:৬)।
১০ নং পাঠের অ্যাসাইনমেন্ট
(১) প্যাসেজ অ্যাসাইনমেন্ট: প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে নীচে তালিকাভুক্ত শাস্ত্রাংশগুলির একটি বরাদ্দ করা হবে। পরবর্তী ক্লাস সেশনের আগে আপনাকে এই শাস্ত্রাংশটি পড়তে হবে এবং সেখানে এই পাঠের বিষয়ে কি বলা হয়েছে সে সম্বন্ধে আপনাকে একটি অনুচ্ছেদ লিখতে হবে।
প্রেরিত ১:৪-৮
রোমীয় ৮:১-১৪
১ করিন্থীয় ২:৯-১৬
১ করিন্থীয় ১২:১-১৩
গালাতীয় ৫:২২-২৬
(২) পরীক্ষা: আপনি ১০ নং পাঠটির উপর একটি পরীক্ষা নিয়ে পরবর্তী ক্লাস শুরু করবেন। প্রস্তুতির সময় পরীক্ষার প্রশ্নগুলি ভালোভাবে অধ্যয়ন করুন।
(৩) শিক্ষাদানের অ্যাসাইনমেন্ট: আপনার ক্লাস বহির্ভূত শিক্ষা দেওয়ার সময়সূচি এবং রিপোর্ট করার কথা মনে রাখবেন।
১০ নং পাঠের পরীক্ষা
(১) পবিত্র আত্মার প্রতি প্রাচীন মন্ডলীর প্রতিক্রিয়ার তিনটি বৈশিষ্ট্য তালিকাভুক্ত করুন।
(২) আমরা কিভাবে জানি যে পবিত্র আত্মা একজন ব্যক্তি?
(৩) আমরা যে পাঁচটি উপায়ে জানি যে পবিত্র আত্মা হল ঈশ্বর, সেগুলির তালিকা তৈরি করুন।
(৪) পবিত্র আত্মার নয়টি ক্রিয়াকলাপের একটি তালিকা প্রস্তুত করুন।
(৫) আমাদের জীবনে তাঁর কাজের জন্য পবিত্র আত্মার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার কী?
SGC exists to equip rising Christian leaders around the world by providing free, high-quality theological resources. We gladly grant permission for you to print and distribute our courses under these simple guidelines:
No Changes – Course content must not be altered in any way.
No Profit Sales – Printed copies may not be sold for profit.
Free Use for Ministry – Churches, schools, and other training ministries may freely print and distribute copies—even if they charge tuition.
No Unauthorized Translations – Please contact us before translating any course into another language.
All materials remain the copyrighted property of Shepherds Global Classroom. We simply ask that you honor the integrity of the content and mission.