২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে, একটি দ্বীপের নিচে হওয়া ভূমিকম্পের ফলে ইন্দোনেশিয়ার পালু শহরে সুনামি (অতিবিশাল ঢেউ) ধেয়ে এসেছিল। একটা উঁচু বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে এক ব্যক্তি ঢেউ আসতে দেখেছিল। সে রাস্তায় থাকা লোকেদেরকে চিৎকার করে সতর্ক করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু বেশিরভাগই তাকে পাত্তা দেয়নি। প্রায় ৪,০০০-এরও বেশি লোকের মৃত্যু হয়েছিল, এবং ১০,০০০ জন আহত হয়েছিল।
সুনামি এলে যাতে সতর্কবার্তা পাঠানো যায়, সেই কারণে সরকার দশ বছর আগেই (২০০৮ সালে) সমুদ্রে ইলেকট্রনিক সেন্সরযুক্ত ২২টি ভাসমান বয়া স্থাপন করেছিল। কিন্তু, পরবর্তী কিছু বছর বয়াগুলিকে ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ না করার ফলে সেগুলি কাজ করা বন্ধ করে দেয়। ২০১৮ সালের সুনামি সম্পর্কে এগুলির একটিও কোনো সতর্কতা চিহ্ন পাঠায়নি।
আমাদের কমান্ডারের সাথে সংযোগ স্থাপন
► এমন কোন জিনিস যা প্রতিটি মিলিটারি গাড়িতে ইনস্টল করা থাকে?
প্রতিটি ট্যাঙ্ক, জিপ, এবং বিমানে রেডিও থাকে। এটি সৈন্যদের প্রিয় চ্যানেলের গান শোনার রেডিও নয়, এটি হল সংযোগ স্থাপন করার রেডিও।
কোনো যুদ্ধ জেতার জন্য সঠিক সংযোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যুদ্ধরত সৈন্যরা সম্পূর্ণ যুদ্ধক্ষেত্রটি দেখতে পায় না। তারা হয়ত জানেও না যে কোথায় তাদের বন্ধুরা আছে এবং কোথায় শত্রুরা আছে। তাদের কমান্ডারের থেকে আসা নির্দেশ ছাড়া তারা জানে না যে কোনদিকে তাদের গুলি চালাতে হবে, এবং কোনদিকে তাদের সরে যেতে হবে।
এমন অনেক ঘটনা আছে যেখানে সৈন্যরা “ফ্রেন্ডলি ফায়ার” [“বন্ধুত্বপূর্ণ গুলি”]-এ মারা গেছে, যা ছিল মূলত তাদের সহযোদ্ধাদের থেকে ভুল দিকনির্দেশনায় ছুটে আসা বুলেট। এমন অনেক সময় হয়েছে যখন ভুল সংযোগের কারণে মিসাইল এবং বোমা শত্রুর পরিবর্তে বন্ধুদের আঘাত করেছে।
আধুনিক যুদ্ধে, শত্রুর যোগাযোগ কেন্দ্রকে ধ্বংস করার চেষ্টা করা একটি প্রচলিত কৌশল। যে পক্ষ এতে সফল হবে, তারাই সম্ভবত যুদ্ধে জিতবে।
আমরা একটা আত্মিক যুদ্ধে আছি। শয়তান আমাদেরকে প্রলোভিত এবং প্রতারিত করতে চায়। জগৎ আমাদেরকে তার জীবনধারা এবং মূল্যবোধে টেনে আনার চেষ্টা করে। আমাদের চারপাশের লোকেরা কখনো কখনো আমাদেরকে ঈশ্বরের জন্য জীবনযাপন করা থেকে বাধা দেয় এবং নিরুৎসাহিত করে। আমরা একটি শত্রু দেশে থাকা সৈন্যদের মতো, যাদের বন্ধু মাত্র কয়েকজন এবং শত্রু একাধিক।
ঈশ্বর চান আমরা আত্মিক যুদ্ধে বিজয়ী হই। প্রার্থনা হল আমাদের কমান্ডারের সাথে আমাদের যোগাযোগের মাধ্যম।
কল্পনা করুন যে এক যুদ্ধরত সৈনিক তার প্রাপ্ত সমস্ত আদেশ অবজ্ঞা করে নিজের মতো কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সে ভালোর পরিবর্তে ক্ষতি করতে পারে; সে তার উপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদেরকে সাহায্য করতে ব্যর্থ হতে পারে; এবং সে সম্ভবত মারা যেতে পারে বা বন্দী হতে পারে।
সব উপলক্ষে, সব ধরনের মিনতি ও অনুরোধের সঙ্গে আত্মায় প্রার্থনা করো। এসব স্মরণে রেখে সতর্ক থেকো এবং সকল পবিত্রগণের জন্য সবসময়ই প্রার্থনায় রত থেকো। (ইফিষীয় ৬:১৮)
এই পদটি এমন একটি অনুচ্ছেদের শেষে এসেছে যেখানে পৌল একজন বিশ্বাসীর আত্মিক বর্মকে তার সময়কালের মিলিটারি বর্মের সাথে তুলনা করেছেন। তিনি বলেছেন যে আমাদের শত্রুরা দৈহিক নয়, বরং আত্মিক।
যদি সেই সময়ে সৈন্যদের জন্য রেডিও উপলভ্য থাকত, তাহলে পৌল হয়তো সেটিকে আত্মিক সৈন্যের আরেকটি অস্ত্র—প্রার্থনা— হিসেবে ব্যবহার করতেন। অস্ত্রসজ্জা বর্ণনা করার পর, পৌল বলেছেন যে প্রার্থনাকে আত্মিক বর্মের সাথে সাথে ব্যবহার করতে হবে।
যখন আমরা আত্মিক মন্দতার বিরুদ্ধে যুদ্ধে দাঁড়াই, আমাদেরকে তখন প্রার্থনা করতে হবে, আমাদের কমান্ডারের সাথে সংযোগে থাকতে হবে। আমাদেরকে সতর্কতা ও ধৈর্য সহকারে প্রার্থনায় সজাগ থাকার আহ্বান করা হয়েছে।
যারা শুনবে তাদের জন্য ঈশ্বর নির্দেশনার প্রতিজ্ঞা করেছেন।
তুমি সর্বান্তঃকরণে সদাপ্রভুর উপর আস্থা রাখো ও নিজের বিচক্ষণতার উপর নির্ভর কোরো না; তোমার সমস্ত পথে তাঁর বশ্যতাস্বীকার করো, ও তিনি তোমার পথগুলি সোজা করে দেবেন। (হিতোপদেশ ৩:৫-৬)
যে ব্যক্তি সদাপ্রভুতে আমোদ করে সদাপ্রভু তার পদক্ষেপ সুদৃঢ় করেন। (গীত ৩৭:২৩)
খ্রিষ্টের একজন অনুগামী জগতের লোকেদের মতো সিদ্ধান্ত নেয় না। কিছু মানুষ কেবল তাদের নিজস্ব ইচ্ছা এবং আকাঙ্খা দ্বারা পরিচালিত হয়। তারা বলে, “আমাকে ঠিক সেটাই করতে হবে যেটা আমার জন্য সঠিক।” তারা বোঝাতে চায় যে তাদেরকে অন্য কেউ নিয়ন্ত্রণ করার আগে তাদেরকে প্রথমে তাদের নিজেদের ইচ্ছাগুলিকে অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে। তারা মনে করে স্বাধীনতার অর্থ হল আত্ম-কেন্দ্রিকতা। খ্রিষ্টের অনুগামীরা আলাদা, কারণ তারা তাদের জীবন দিয়ে ঈশ্বরকে খুশি করতে চায় এবং অন্যদেরকে আশীর্বাদ করতে চায়।
কিছু মানুষ আমাদেরকে সমস্ত উত্তরের জন্য আমাদের নিজেদের অন্তরে দেখার পরামর্শ দেয়। তারা বিশ্বাস করে যে আমাদের অনুভূতি এবং সহজাত প্রবৃত্তিই আমাদের সমস্ত সিদ্ধান্তকে নির্দেশনা দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। তারা যুবসমাজকে ঐতিহ্য এবং গুরুজনদের পরামর্শ অবজ্ঞা করতে অনুপ্রাণিত করে। তারা ধর্মীয় নৈতিকতাকে হেয় জ্ঞান করে। এই ধরণের পরামর্শ আধুনিক ফিল্মী দুনিয়ার বিনোদনে খুবই জনপ্রিয়। তারা এমন এক যুবক বা যুবতীর কাহিনীকে তুলে ধরে যে তার নিজের স্বপ্ন অনুসরণ করার জন্য কর্তৃপক্ষ এবং ট্র্যাডিশনের বিরোধিতা করে সফল হয়েছে। তারা আসল সত্যটি দেখায় না যে এই ধরণের সিদ্ধান্ত দুঃখ এবং দুর্দশার পথে নিয়ে যায়।
বহু সমাজ-সংস্কৃতিতে, ব্যক্তিগত সমস্ত সিদ্ধান্তই বর্ধিত-পরিবার বা গোষ্ঠী বা গোত্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ। গোষ্ঠীর অনুমোদন ছাড়া তাদের সেই এলাকা ছেড়ে যাওয়া, তাদের পেশা পরিবর্তন করা, উচ্চশিক্ষা লাভ করা, বা বিয়ে করার কোনো অধিকার নেই। এই ধরণের পরিবেশে একজন ব্যক্তির জন্য সবচেয়ে কঠিন পরিবর্তন হল তার ধর্ম পরিবর্তন করা। যদি কোনো ব্যক্তি খ্রিষ্টের অনুগামী হয়ে ওঠে এবং সেই নীতিসমূহ দ্বারা নির্দেশিত হয় যা তার গোষ্ঠীর লোকেরা বোঝে না, তাহলে তাকে তাড়না ভোগ করতে হতে পারে। এইরকম পরিস্থিতিতে একজন বিশ্বাসীকে অতি অবশ্যই বিজ্ঞতা এবং নির্দেশনার জন্য প্রার্থনা করতে হবে।
আমাদের সব সময়ে ঈশ্বরের নির্দেশনা প্রয়োজন, এবং তিনি আমাদেরকে এমন সব উপায়ে পরিচালনা করেন যা নিয়ে আমরা সর্বদা সচেতন থাকি না। তিনি আমাদের কখনো ভুলে যান না, এমনকি যখন আমরা তাঁকে স্মরণও করি না, তিনি তখনও আমাদের নিয়ে চিন্তা করেন। কিন্তু এমন অনেক সময় আসে যখন আমাদের বিশেষভাবে তাঁর নির্দেশনা জানা প্রয়োজন এবং তাঁর কাছে সাহায্য চাইতে হয় যেন তিনি আমাদের পছন্দগুলিকে প্রকৃত অর্থে দেখতে সাহায্য করেন। এমন হতে পারে যে ঈশ্বর একটি অপ্রত্যাশিত উপায়ে আমাদের পথ পরিবর্তন করতে চান।
► কোন কোন সময়ে আমাদের ঈশ্বরের কাছ থেকে বিশেষ নির্দেশনা প্রয়োজন?
আমাদের ঈশ্বরের নির্দেশনা জানতে চাওয়া উচিত:
১। যখন জীবন-পরিবর্তনকারী সিদ্ধান্ত নিতে হয়: বিয়ে, পেশা, শিক্ষা, কোনো স্থানীয় মন্ডলীতে অঙ্গীকার।
২। যখন বাস্তবিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়: চাকরির সুযোগ, কোথায় থাকব, বড় কোনো কেনাকাটি।
৩। যখন পরিচর্যা কাজের পরিকল্পনা করা হয় এবং পরিচর্যা কাজ করা হয়:[1] কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত আহ্বান, কোথায় এবং কার সাথে পরিচর্যা কাজ করব, প্রচার করার এবং শিক্ষাদানের বিষয়বস্তুসমূহ।
৪। যখন মন্ডলীর জীবনে অংশগ্রহণ করা হয়:[2] কীভাবে আরাধনা করতে হয়, কী শিখতে হবে, কী দিতে হবে, কীভাবে এই পৃথিবীতে খ্রিষ্টের দেহের একটি অংশ হয়ে উঠতে হয়।
[1]প্রেরিত ১৬:৬-৯ পদে বিশেষ নির্দেশনার কথা বলা হয়েছে যেটি পবিত্র আত্মা একটি মিশনারি যাত্রায় পৌল এবং সীলকে প্রদান করেছিলেন।
[2]প্রথম শতকের মন্ডলী তাদের প্রার্থনায়, তাদের মতবাদ বজায় রাখায়, সমস্যা সমাধানে তাদের পরিচালনা করায়, এবং তাদের বার্তাকে দৃঢ় করে তোলায় পবিত্র আত্মার পরিচালনা নিয়ে সচেতন ছিল। প্রেরিত ১৫:২৮, প্রেরিত ৫:৩-৫, এবং প্রেরিত ৬:১০ পদ দেখুন।
আপনি কীভাবে আরো ভালোভাবে ঈশ্বরের নির্দেশনা বুঝতে পারবেন
(১) প্রার্থনায় ঈশ্বরের নিকটবর্তী থাকুন (ফিলিপীয় ৪:৬)। যদি আপনার জীবনের বেশিরভাগ অংশ ঈশ্বরের সাথে আপনার কথোপকথন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, আপনি আপনার নিজের প্রবণতা এবং সীমিত উপলব্ধি অনুসরণ করছেন।
(২) আপনার নিজের যুক্তিকে নির্দিষ্ট শাস্ত্রীয় সত্যের চেয়ে বেশি বিশ্বাস করবেন না। ঠিক যেমন এই পদে বলা হয়েছে, “নিজের বিচক্ষণতার উপর নির্ভর কোরো না” (হিতোপদেশ ৩:৫)।
(৩) সর্বদা ঈশ্বরের ইচ্ছা হিসেবে নিশ্চিতভাবে যা জানেন তা মেনে চলুন। এটি আপনার উপলব্ধিকে উন্নত করবে। যে ব্যক্তি ঈশ্বরের বাক্যকে অমান্য করছে সে প্রকৃত অর্থে ঈশ্বরের ইচ্ছা চায় না, কারণ ঈশ্বর তাঁর ইচ্ছাকে শাস্ত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করেন। যদি আপনি আপনার ব্যাপারে ঈশ্বরের ইচ্ছা সম্পর্কে যা জানেন তা আংশিকভাবে পালন করেন, আপনি আরো বেশি বিভ্রান্ত হবেন—আলো অন্ধকারে পরিণত হবে (লূক ১১:৩৫)।
আমরা জানি যে এটি ঈশ্বরের ইচ্ছা যখন আমরা:
দৈনন্দিনভাবে আমাদের ক্রুশ তুলে নিই এবং যিশুকে অনুসরণ করি (লূক ৯:২৩)
সমস্ত পরিস্থিতিতেই ধন্যবাদ জ্ঞাপন করি (১ থিষলনীকীয় ৫:১৮)।
আত্মাকে নির্বাপন করি না (১ থিষলনীকীয় ৫:১৯)।
ভাববাণী অগ্রাহ্য করি না (১ থিষলনীকীয় ৫:২০)।
সবকিছু পরীক্ষা করি (১ থিষলনীকীয় ৫:২১)।
যা কিছু উৎকৃষ্ট, তা আঁকড়ে থাকি (১ থিষলনীকীয় ৫:২১)।
যা কিছু মন্দ, তা এড়িয়ে চলি (১ থিষলনীকীয় ৫:২২)।
সম্পূর্ণরূপে পবিত্র হই (১ থিষলনীকীয় ৫:২৩)।
এগুলি ছাড়াও অন্যান্য আরো অনেক আদেশ আছে যা একটিই শব্দে সারসংক্ষিপ্ত হয়: প্রেম! (রোমীয় ১৩:৮-১০)। যখন আমরা ঈশ্বরের ইচ্ছা বলে যা জানি তা করি, তখন আমাদের অনেক কম গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
(৪) ধৈর্যশীল হন। ঈশ্বর আপনার জন্য দরজা খুলে এবং পরিস্থিতি প্রস্তুত না করা পর্যন্ত আপনাকে অপেক্ষা করতে হতে পারে। অধৈর্যের কারণে দ্রুত কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না। “সদাপ্রভুর সামনে নীরব হও, ধৈর্য ধরে তাঁর প্রতীক্ষায় থাকো” (গীত ৩৭:৭)। দ্রুততার কারণে এমনকিছু করবেন না যা আপনি নিজে জানেন যে সেটি ভুল।
(৫) সুপরামর্শ শুনুন। “নিশ্চয় যুদ্ধ শুরু করার জন্য তোমার জ্ঞানগর্ভ পরিচালনা প্রয়োজন, ও অনেক পরামর্শদাতার মাধ্যমেই যুদ্ধজয় করা যায়” (হিতোপদেশ ২৪:৬)। যখন ঈশ্বর চান আপনি একটি বড় সিদ্ধান্ত নিন, তিনি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আপনার জীবনের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের কাছে তা দেখাবেন। যদি এমন ধার্মিক, বয়স্ক ব্যক্তিরা থাকেন যারা আপনাকে চেনেন এবং আপনার খেয়াল রাখেন, তাহলে আপনার সহজে এমন কিছু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয় যা তারা ভুল বলে মনে করেন।
গ্রুপে আলোচনার জন্য
► এমন একটি সিদ্ধান্তের উদাহরণ শেয়ার করুন যা আপনি জানেন যে তা ঈশ্বরের নির্দেশিত ছিল। কীভাবে ঈশ্বর আপনাকে দেখিয়েছিলেন যে সেটি সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল?
► এটি সহায়ক হবে যদি আপনি একটি ভুল সিদ্ধান্তের উদাহরণও শেয়ার করতে পারেন। আপনি কি ঈশ্বরের দ্বারা ভালোভাবে পরিচালিত হওয়ার জন্য পাঁচটি নীতির কোনোটি অনুসরণ করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন?
অন্যদেরকেও একইভাবে শেয়ার করতে বলুন।
ঈশ্বরের নির্দেশনা অন্বেষণ করার সময়ে যে যে ভুলগুলি এড়িয়ে চলবেন
একটা কাহিনী প্রচলিত আছে যে চার্লস স্টকার (Charles Stalker) নামের এক প্রচারক একদিন সকালে প্রার্থনা করার সময়ে ঈশ্বর তার সাথে বলেন এবং তাকে জানান, “আমি চাই তুমি চীনদেশে যাও।” স্টকার অবাক হয়েছিলেন কারণ তার সেখানে যাওয়ার জন্য কোনো যোগাযোগ বা অর্থ ছিল না। প্রভাবটি এতই দৃঢ় ছিল যে তিনি তার স্যুটকেস গুছিয়ে নেন এবং স্টেশনে পৌঁছে যান যেখান থেকে তার যাত্রা শুরু হবে। এক অপরিচিত ব্যক্তি তার কাছে আসে এবং জানতে চায়, “আপনি কি চার্লস স্টকার?” তারপর বলে, “আপনাকে চীনদেশে পাঠানোর টিকিট নিয়ে আমাকে এখানে পাঠানো হয়েছে।”
► আমাদের কি সাধারণত আশা করা উচিত যে ঈশ্বর এইভাবে আমাদেরকে তাঁর ইচ্ছা দেখাবেন? যে ব্যক্তি এইভাবে তার সিদ্ধান্তের জন্য ঈশ্বরের ইচ্ছা খুঁজে পাওয়ার আশা করে সে কি কোনো সমস্যায় পড়বে?
কিছু লোক তাদের নেওয়া সমস্ত সিদ্ধান্তের জন্য অতিপ্রাকৃত নির্দেশনা আশা করে। তারা সাধারণ যুক্তি এবং পরিস্থিতি অবজ্ঞা করে, কারণ তারা ধরে নেয় যে ঈশ্বরের ইচ্ছা সমস্ত যুক্তিবোধ এবং পরিস্থিতির বিপরীত।
এই কথা জোর দিয়ে বলা ভুল যে ঈশ্বরকে আমাদের সিদ্ধান্তের জন্য অতিপ্রাকৃত প্রকাশ প্রদান করতে হবে, কারণ তিনি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাঁর ইচ্ছা সেইভাবে প্রকাশ করেন না। যদি একজন ব্যক্তি যুক্তি এবং পরিস্থিতিকে উপেক্ষা করে, তাহলে সে ভাবতে পারে যে সে ঈশ্বরের কাছ থেকে নির্দেশনা পাচ্ছে, যখন আসলে সে তার নিজের আবেগ বা কল্পনাকে অনুসরণ করছে।
যখন শাস্ত্রে কোনোকিছু স্পষ্টভাবে আদেশ দেওয়া থাকে বা বারণ করা থাকে, আমরা ঈশ্বরের ইচ্ছা জানতে পারি। তবে, জীবনে এমন অনেক সিদ্ধান্ত আছে যেখানে আমাদের একাধিক বিকল্প থাকে যা নির্দিষ্টভাবে আদেশ করা হয়নি বা নিষিদ্ধ নয়। কীভাবে একজন ব্যক্তি জানতে পারে যে তার কোথায় থাকা উচিত, কোন চাকরি তার করা উচিত, এবং কীভাবে তার অর্থ খরচ করা উচিত?
► বিশেষ প্রকাশ (Special Revelation) ছাড়া, কীভাবে একজন ব্যক্তি এমন এক সিদ্ধান্তের জন্য ঈশ্বরের ইচ্ছা জানতে পারে যা নির্দিষ্টভাবে শাস্ত্রে নির্দেশিত নয়?
কিছু মানুষ আছে যারা আশা করে যে যুক্তি এবং পরিস্থিতির বাইরে ঈশ্বরের ইচ্ছা অবশ্যই অতিপ্রাকৃতভাবে প্রকাশ পাবে, এবং এর ফলস্বরূপ তারা একটি অযৌক্তিক পদ্ধতি খুঁজে বের করে যেটিকে তারা মনে করে যে ঈশ্বর তাদের নির্দেশনা দেওয়ার জন্য ব্যবহার করবেন। তারা ঈশ্বরের কাছে তাঁর ইচ্ছা দেখানোর জন্য একটি নির্দিষ্ট চিহ্ন চাইতে পারে। অথবা তারা বাইবেল থেকে এলোমেলোভাবে কোনো পদ খুলতে পারে যেটিকে তারা তাদের পরিস্থিতিতে প্রয়োগ করে।
উত্তম সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিক বাস্তবসম্মত পরামর্শসমূহ
কীভাবে আমরা ঈশ্বরের ইচ্ছা বুঝতে পারি সেই ব্যাপারে জন ওয়েসলি (John Wesley) কিছু ব্যবহারিক নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে আমরা আমাদের জন্য ঈশ্বরের সাধারণ ইচ্ছা জানি যা বাইবেলে প্রকাশিত হয়েছে, এবং সেটি হল আমরা পবিত্র থাকব এবং ভালো কাজ করব। তাই, কোনো নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময়ে, আমাদেরকে অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে যে কোন বিকল্পটি আমাদের পবিত্র থাকতে সর্বাপেক্ষা সক্ষম করে তুলবে এবং আমাদের কার্যকারিতাকে সর্বাধিক করবে।
আমরা অভিজ্ঞতা থেকে শিখি যে কোন পরিস্থিতি আমাদের জন্য আত্মিকভাবে সহায়ক এবং কোনটি বিপদজনক। কিছু কিছু পরিস্থিতি যেকোনো কারোর জন্যই আত্মিকভাবে বিপদজনক; অন্যগুলি কিছু কিছু ব্যক্তির জন্য বিপদজনক, কিন্তু সকলের জন্য নয়। যতটা সম্ভব, আমাদের নিজেদেরকে সেই সমস্ত পরিস্থিতিতে রাখতে হবে যা আমাদেরকে আত্মিকভাবে দৃঢ় হতে সাহায্য করে এবং সেই সমস্ত পরিস্থিতি এড়িয়ে চলা উচিত যা আমাদেরকে প্রলোভনের সামনে নিয়ে আসে (১ করিন্থীয় ১০:১২-১৩)।
যুক্তি এবং অভিজ্ঞতার দ্বারা, এবং অন্যদের পরামর্শ দ্বারা, আমরা নির্ধারণ করতে পারি যে কোন বিকল্পটি আমাদের কার্যকারিতাকে সর্বাধিক করবে।
ঈশ্বর সাধারণত বিশেষ প্রকাশের মাধ্যমে তাঁর ইচ্ছা প্রকাশ করেন না। তিনি আশা করেন যে আমরা সাবধানতার সাথে যুক্তি করার এবং পরিস্থিতি পরীক্ষা করার সময় শাস্ত্রীয় নীতিগুলি প্রয়োগ করব। পবিত্র আত্মা আমাদের পথ দেখান এমনকি যখন আমরা তা বুঝতেও পারি না। বেশিরভাগ সিদ্ধান্তের জন্য আমাদের বিশেষ প্রকাশের আশা করা উচিত নয়, বরং প্রজ্ঞা এবং বোধগম্যতার জন্য প্রার্থনা করা উচিত।
যারা ঈশ্বরের কাছ থেকে বিশেষ নির্দেশনা পাওয়ার দাবি করে, তারা কখনো কখনো অন্য লোকেদের কথা শুনতে অস্বীকার করে (হিতোপদেশ ১২:১৫)। লোকেরা তাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন করলে তারা রেগে যেতে পারে। তারা নম্রতার পরিবর্তে গর্ব এবং জেদ দেখায়।
► একজন শিক্ষার্থী গ্রুপের জন্য ১ পিতর ৫:৫-৬ পদ পড়বে।
কিছু অসাধারণ ঘটনা ছাড়া, কোনো ব্যক্তির এটি দাবি না করাই ভালো যে ঈশ্বর তাকে ঠিক কী করতে হবে তা বলে দিয়েছেন। যখন কোনো ব্যক্তি এমন কথা বলে, তখন কারোর পক্ষে তাকে পরামর্শ বা মতামত দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। তার পক্ষে এটা বলা ভালো যে ঈশ্বরের সাহায্যে সে শ্রেষ্ঠ সিদ্ধান্তটি নেওয়ার চেষ্টা করছে।
যখন আপনি আপনার বিকল্পগুলি নিয়ে চিন্তা করছেন, তখন ওয়েসলি যে নীতিগুলি দিয়েছেন তার পাশাপাশি বিবেচনা করুন:
১। এটি কি স্পষ্টভাবে শাস্ত্রীয় আদেশের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ? ঈশ্বর কখনোই চান না যে আপনি তাঁর বাক্য অমান্য করুন।
২। এটি কি শাস্ত্রীয় অগ্রাধিকারগুলির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ? পবিত্র বাইবেল আমাদেরকে সেই বিষয়গুলিকে দেখায় যা ঈশ্বরের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আপনার সিদ্ধান্ত কি প্রথম বিষয়গুলিকে প্রথম রাখে?
৩। এটি কি পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির বাস্তব চিত্রের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ? আপনি এটি দেখতে বা বুঝতে সক্ষম হওয়া উচিত যে কীভাবে ঈশ্বর এই সিদ্ধান্তের জন্য আপনার পরিস্থিতিকে প্রস্তুত করেছেন।
৪। এটি কি যুক্তিসঙ্গত? কখনো কখনো ঈশ্বর আপনাকে এমন কিছু করার দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন যা দেখে যুক্তিসঙ্গত বলে মনে হয় না, কিন্তু যদি তেমন হয়, তিনি তাঁর ইচ্ছা সুস্পষ্ট করবেন। ঈশ্বরের ইচ্ছা বুঝতে সাহায্য করার মাধ্যম হিসেবে যুক্তিকে কখনোই প্রত্যাখ্যান করবেন না।
৫। এটা কি ঐশ্বরিক আচরণ? কখনো মনে করবেন না যে কোনো পরিস্থিতি এতটাই ব্যতিক্রম যে আপনি এমনকিছু করতে পারেন যা সচরাচর ঈশ্বরকে অসন্তুষ্ট করবে।
৬। এটি কি নিজের মতো করে অন্যদেরকেও ভালোবাসার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ? স্বার্থপর উদ্দেশ্যগুলি আপনার বিচক্ষণতাকে বিকৃত করবে।
৭। এটির কি কোনো ভালো প্রভাব থাকবে? কেমন হবে যদি আপনি যা করছেন তা অন্যরা করে? সেটি কি ভালো হবে?
৮। এটি কি ধার্মিক পরামর্শদাতাদের দ্বারা নিশ্চিত? আমরা সবাই জানি যে কীভাবে সেই বন্ধুদের খুঁজে নিতে হয় যারা আমাদের সাথে সম্মত হবে, কিন্তু যে সকল ব্যক্তিরা সর্বাধিক আত্মিক এবং জ্ঞানী, তারা আপনার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে কী বলবে?
ঈশ্বরের ইচ্ছা যখন খুব অস্বাভাবিক কিছু হয়, তখন তিনি সন্দেহের বাইরে এটি আপনাকে জানাতে সক্ষম হন। কোনো স্বর্গদূত, বা দর্শন, বা একটি জ্বলন্ত ঝোপ অতীতে কিছু মানুষের জন্য নিশ্চয়তা দিয়েছে। ঈশ্বর হয়তো কেবল একটি অভ্যন্তরীণ আশ্বাস দিতে পারেন যা সন্দেহের বাইরে। কিন্তু যখন ঈশ্বরের কাছ থেকে কোনো স্পষ্ট বার্তা পাওয়া যায় না, তখন সঠিক বিকল্পটি বোঝার জন্য আপনার নির্ভরযোগ্য নীতিগুলি অনুসরণ করা উচিত। প্রতিটি সিদ্ধান্তের জন্য বিশেষ প্রকাশ পাওয়ার আশা করবেন না। আপনি যদি আন্তরিকভাবে এবং প্রার্থনার সাথে সঠিক অগ্রাধিকারগুলি নিয়ে যুক্তি-পরীক্ষা করেন, তাহলে ঈশ্বর আপনার সিদ্ধান্তকে বিশ্বস্তভাবে পরিচালনা করবেন।
রোমীয় ১২:১-২ পদে পৌল লিখেছেন,
অতএব, ভাইবোনেরা, ঈশ্বরের বহুবিধ করুণার পরিপ্রেক্ষিতে, আমি তোমাদের কাছে মিনতি করছি, তোমরা তোমাদের শরীরকে জীবন্ত বলিরূপে, পবিত্র ও ঈশ্বরের গ্রহণযোগ্যরূপে উৎসর্গ করো—তাই হবে তোমাদের যুক্তিসংগত আরাধনা। আর তোমরা এই জগতের রীতি অনুযায়ী জীবনযাপন করো না, কিন্তু তোমাদের মনের নতুনীকরণের দ্বারা রূপান্তরিত হও। তখন তোমরা ঈশ্বরের ইচ্ছাকে যাচাই ও অনুমোদন করতে পারবে, যা উৎকৃষ্ট, প্রীতিজনক ও সিদ্ধ।
এই পদগুলি দেখায় যে কীভাবে একজন ব্যক্তির আত্মিক অবস্থা তার সিদ্ধান্তগুলিকে প্রভাবিত করে। ঈশ্বরের ইচ্ছা জানার জন্য, একজন ব্যক্তিকে প্রথমে অবশ্যই ঈশ্বরের কাছে সম্পূর্ণরূপে সমর্পিত হতে হবে। একজন বিশ্বাসীর সমস্ত সিদ্ধান্ত জগতের সিদ্ধান্তসমূহের বিপরীত হয়, কারণ বিশ্বাসী ব্যক্তি জগতের অনুরূপ নয়, কিন্তু সে রূপান্তরিত এবং একটি নূতনীকৃত মনের সাহায্যে সিদ্ধান্ত নেয়।
ঈশ্বরের নির্দেশনা বোঝার ক্ষেত্রে অভিপ্রায় হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কোনো ব্যক্তি যদি কেবল এই কারণে ঈশ্বরের ইচ্ছার সন্ধান করে যাতে সে সিদ্ধান্ত নিতে পারে যে সেই কাজটি করা উচিত কিনা, তবে সে সম্ভবত বিভ্রান্ত হয়ে পড়বে। যদি একজন ব্যক্তি শাস্ত্রীয় এবং যুক্তিসঙ্গত উপায় অনুসারে এবং তা করার জন্য আন্তরিক দৃঢ়সংকল্পের সাথে ঈশ্বরের ইচ্ছা অন্বেষণ করে, সে ঈশ্বরের ইচ্ছা থেকে লক্ষ্যভ্রষ্ট হবে না।
গ্রুপে আলোচনার জন্য
► ওয়েসলি’র নীতির কিছু প্রয়োগ আলোচনা করুন। কিছু কিছু উদাহরণ হতে পারে: সময় কাটানোর জন্য বন্ধু নির্বাচন, চাকরির বিকল্প, বা একটি প্রেমের সম্পর্ক (অবিবাহিত হলে)। বিবেচনা করুন, “কোন পরিস্থিতি আমাকে পবিত্র থাকতে সাহায্য করবে এবং আমার কার্যকারিতাকে সর্বাধিক করবে?”
► কিছু লোক যখন নির্দিষ্ট ধরণের লোকেদের সাথে থাকে, বা নির্দিষ্ট জায়গায় থাকে, তারা তাদের খ্রিষ্টীয় পরিচয় বজায় রাখতে পারে না। কিছু উদাহরণ বিবেচনা করুন।
► আলোচনার জন্য অন্যান্য কিছু সম্ভাব্য বিষয়বস্তু:
সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় অনুপ্রেরণার ভূমিকা
একটি চিহ্নের জন্য অপেক্ষা করার ভুল
অভ্যন্তরীণ অনুভূতিকে অতিরিক্ত বিশ্বাস করার বিপদ
প্রার্থনা
স্বর্গস্থ পিতা,
আমার জন্য উত্তম বিষয় পরিকল্পনা করার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ জানাই। আমি জানি যে তুমি আমার পদক্ষেপগুলিকে আমি যতটা দেখতে পাচ্ছি তার চেয়েও বেশি নির্দেশনা দিচ্ছ।
প্রার্থনায় তোমার কাছাকাছি থাকতে আমাকে সাহায্য করো। তুমি আমাকে যে সত্য দেখাও তার প্রতি মনোযোগ দিতে আমাকে সাহায্য করো।
আমি পবিত্র হতে চাই এবং তোমার গৌরবের জন্য আমি যা করতে পারি তা সম্পন্ন করতে চাই।
আমার অভিপ্রায়গুলিকে শুদ্ধ করো, যাতে সেগুলি আমাকে তোমার ইচ্ছা থেকে দূরে না নিয়ে যায়। তুমি আমার জীবনে যে বুদ্ধিমান পরামর্শদাতাদের রেখেছ, তাদের মাধ্যমে আমাকে পরিচালনা করো।
আমি প্রতিটি সিদ্ধান্তে তোমাকে বিশ্বাস করতে চাই। আমি তোমার ইচ্ছাকে আন্তরিকভাবে মেনে চলতে চাই।
আমার জন্য সর্বশ্রেষ্ঠটি চাওয়ার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ জানাই।
আমেন
৫ নং পাঠের অ্যাসাইনমেন্ট
(১) হিতোপদেশ ৩:১-১২ পদ অধ্যয়ন করুন। এখানে বর্ণিত অগ্রাধিকার, মনোভাব, এবং চরিত্র সম্পর্কে লিখুন। আপনি কীভাবে সেই বৈশিষ্ট্যগুলি ব্যক্তিগতভাবে বিকাশ করতে পারেন তা লিখুন (সর্বাধিক ১-২ পাতার মধ্যে লিখুন)।
(২) যাকোব ৪:১৩-১৭ পদ পর্যালোচনা করুন। সমস্ত পরিস্থিতির উপর ঈশ্বরের সার্বভৌমত্ব লক্ষ্য করুন। ১৬ পদে উল্লিখিত সেই মন্দ বিষয়—গর্ব—কী? ভবিষ্যতের পরিকল্পনা নিয়ে এই অংশটি আমাদের কী বলছে তা ব্যাখ্যা করে একটি অনুচ্ছেদ লিখুন।
(৩) প্রার্থনা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের মধ্যে সম্পর্ক ব্যাখ্যা করে দু’টি অনুচ্ছেদ লিখুন। নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর দিন:
কীভাবে প্রার্থনার আমাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণকে প্রভাবিত করা উচিত?
প্রার্থনা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের সাথে সম্পর্কিত কোন ভুলগুলি এড়িয়ে চলা উচিত?
SGC exists to equip rising Christian leaders around the world by providing free, high-quality theological resources. We gladly grant permission for you to print and distribute our courses under these simple guidelines:
No Changes – Course content must not be altered in any way.
No Profit Sales – Printed copies may not be sold for profit.
Free Use for Ministry – Churches, schools, and other training ministries may freely print and distribute copies—even if they charge tuition.
No Unauthorized Translations – Please contact us before translating any course into another language.
All materials remain the copyrighted property of Shepherds Global Classroom. We simply ask that you honor the integrity of the content and mission.