মার্টিন লুথার (Martin Luther) সন্ন্যাস গ্রহণ করেছিলেন, কারণ তিনি মনে করেছিলেন যে ঈশ্বরের সেবায় নিবেদিত হওয়ার জন্য এটাই সর্বোত্তম উপায়। একজন সন্ন্যাসীর জীবনযাত্রার নিয়মগুলির মধ্যে ছিল খাদ্যাভ্যাসের সীমাবদ্ধতা, উপবাস, সাধারণ পোশাক, সীমিত সম্পত্তি এবং ব্রহ্মচর্য। ঈশ্বরের কাছে নিজের দেহ সমর্পণ করার জন্য মার্টিনের উৎসাহ তাকে দেহে চাবুকের আঘাতের শাস্তি সহ্য করতেও বাধ্য করেছিল। মার্টিন বিশ্বাসের দ্বারা অনুগ্রহের মাধ্যমে পরিত্রাণের সুসমাচার বোঝার পর, তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে তিনি তার দেহকে কষ্ট দিয়ে অনুগ্রহ অর্জন করতে পারবেন না। তিনি তার সন্ন্যাসীর শপথকে “অশাস্ত্রীয়” বুঝতে পেরে ত্যাগ করেছিলেন। তিনি ক্যাথেরিনা নামের একজন প্রাক্তন সন্ন্যাসীকে বিয়ে করেছিলেন, এবং তাদের ছয়টি সন্তান ছিল।
ভূমিকা: করিন্থীয় মন্ডলীতে বিভ্রান্তি
করিন্থের কিছু লোক বিশ্বাস করত না যে খ্রিষ্টের অনুসারীরা পুনরুত্থিত হবে। তারা মনে করত যে মৃত্যুর সময় দেহ পরিত্যক্ত হয় এবং বিশ্বাসীর আত্মাই কেবল স্বর্গে যায়।
কেউ কেউ বলত, “যেহেতু দেহ মারা যাবে এবং এটিকে পরিত্যাগ করা হবে, তাই এখন আমরা এটি দিয়ে যা খুশি করতে পারি। দেহের মাধ্যমে কোনো পাপ করলেও কোনো সমস্যা নেই, কারণ দেহের কোনো চূড়ান্ত মূল্যই নেই।”
অন্যেরা যারা পুনরুত্থানকে অস্বীকার করেছিল, তারা বলত, “দেহপরিত্যক্ত হবে, কারণ এর বাসনাগুলি মন্দ। স্বর্গে আমাদের কোনো শারীরিক আকাঙ্খা থাকবে না। যেহেতু শারীরিক আকাঙ্খা মন্দ, তাই আমাদের এখনো সেগুলি অনুসরণ করা উচিত নয়। আমাদের ভালো খাবার খাওয়া, আরামদায়ক পোশাক পরা, এমনকি বৈবাহিক সম্পর্কে যৌনতায় লিপ্ত হওয়াও উচিত নয়। যতক্ষণ না আমরা এই দেহ ত্যাগ করছি, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের এটিকে যত রকম ভাবে সম্ভব দমন করা উচিত।”
এই দুই ধরণের দৃষ্টিভঙ্গিই ভুল ছিল। দু’টিই একটি ভুলের উপর ভিত্তিশীল ছিল। ১ করিন্থীয় ১৫ অধ্যায়ে পৌল ব্যাখ্যা করেছেন যে কেন পুনরুত্থানের মতবাদ এত গুরুত্বপূর্ণ।
যদিও আমাদের শারীরিক বিষয়ের চেয়ে আত্মিক জীবন নিয়ে বেশি কথা বলা উচিত, তবুও আমাদের দেহ আত্মিক বিষয়গুলিকে প্রভাবিত করে। ঈশ্বর আমাদের কেবল আত্মা হিসেবে নয়, বরং শারীরিক দেহযুক্ত আত্মা হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। আমরা যেমন কেবল নিছক প্রাণী নই, তেমনই আমরা কেবল অস্থায়ীভাবে দেহে বসবাসকারী আত্মাও নই।
ঈশ্বরের প্রতি উৎসর্গীকরণ
► একজন শিক্ষার্থী গ্রুপের জন্য ১ করিন্থীয় ৬:১৯-২০ পদ পড়বে।
এই পদগুলি আমাদের বলে যে আমাদের দেহ ঈশ্বরের অধিকার, কারণ তিনি আমাদের উদ্ধার করেছেন। আমাদের দেহ পবিত্র আত্মার মন্দির এবং পাপের জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়।
বাইবেল আমাদের বলে যে শারীরিক দেহ সম্পূর্ণভাবে ঈশ্বরের কাছে সমর্পিত হওয়া উচিত।
► একজন শিক্ষার্থী গ্রুপের জন্য রোমীয় ১২:১ পড়বে।
এই পদটি আমাদের বলে যে আমাদের দেহকে পবিত্র হতে হবে এবং তা ঈশ্বরের। ঈশ্বর আমাদের কাছ থেকে যে উপাসনা চান তা হল সম্পূর্ণ আনুগত্য।
যদি আমরা আমাদের দেহের আকাঙ্খা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হই, আমরা সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে ঈশ্বরের সেবা করতে পারব না। পাপের যেকোনো অভ্যাসই একটি আসক্তির মতো।
একটা পশুর কথা কল্পনা করুন যার দু’জন মালিক আছে। একজন মালিক আদেশ দেয়, কিন্তু পশুটি তা মেনে চলতে পারে না কারণ অন্য আরেকজন মালিক তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছে। যে মালিক পশুটিকে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছে, সে তার ইচ্ছামতো জায়গায় পশুটিকে নিয়ে যেতে পারে। পশুটি হয়ত অন্য মালিককে বেশি ভালোবাসে, কিন্তু তার বাধ্য হতে পারে না। আসক্তি ঠিক একইরকম। একজন ব্যক্তি হয়ত ঈশ্বরের সেবা করতে চায়, কিন্তু আসক্তি হল সেই শিকল যা সে কিছুতেই ভাঙতে পারে না।
বিভিন্নরকম আসক্তি এবং পাপের বেশিরভাগ ধরণই একজন ব্যক্তির দেহ ও মনকে ধ্বংস করে। যেহেতু আমাদের দেহ ঈশ্বরের এবং তাঁর সেবার জন্য উৎসর্গীকৃত, তাই দেহের কোনোরকম ক্ষতি করা অন্যায়। রোমীয়তে যে পদটি আমরা পড়লাম, তাতে আমাদের দেহকে ঈশ্বরের কাছে উৎসর্গ করতে বলা হয়েছে, কিন্তু যদি আমাদের নিজেদের উপর নিয়ন্ত্রণ না থাকে তবে আমরা তা করতে পারি না।
► একজন শিক্ষার্থী গ্রুপের জন্য ১ করিন্থীয় ৯:২৪-২৭ পদ পড়বে।
আপনার শরীর হল আপনার দাস, কিন্তু আপনাকে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। দাস হিসেবে এটি খুবই ভালো। যদি এটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তাহলে এটিই আপনার প্রভু হয়ে ওঠে, আর শরীর এক ভয়ঙ্কর প্রভু। পৌল বলেছিলেন যে তিনি কোনো অভিলাষকে তার উপর কর্তৃত্ব করতে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন (১ করিন্থীয় ৬:১২)।
► একজন শিক্ষার্থী গ্রুপের জন্য রোমীয় ৬:১৩ পদ পড়বে।
দেহ হলো একগুচ্ছ হাতিয়ারের মতো, যা আপনার। হাতিয়ারগুলি আপনার নিয়ন্ত্রণে আছে। আপনি আর এগুলিকে পাপের জন্য ব্যবহার করতে পারবেন না, বরং ঈশ্বরের জন্য ব্যবহার করবেন।
স্বাভাবিক আকঙ্খাসমূহ
কিছু মানুষ মনে করে যে আমাদের স্বাভাবিক আকাঙ্খার কারণে আমরা পাপ এড়াতে পারি না। এটি সত্য যে আমরা এমন একটি পাপময় স্বভাব নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছি যা আমাদেরকে পাপের দিকেই নিয়ে যায়। সেই স্বভাবের মধ্যে কেবল শারীরিক আকাঙ্খাই নয়, বরং মনের আকাঙ্খা এবং পাপের প্রবণতাযুক্ত ইচ্ছাও অন্তর্ভুক্ত। যে ব্যক্তি ঈশ্বরের আত্মার দ্বারা নতুন জন্ম লাভ করেনি, সে পাপ করা থেকে বিরত থাকতে পারে না, যদিও সে কিছু পাপ সফলভাবে প্রতিরোধ করতে পারে। যে অবিশ্বাসী ব্যক্তি ঈশ্বরের অনুগ্রহ লাভ করেননি, সে হয়ত বিশ্বাস করবে না যে সে কখনো বিজয়ী হতে পারবে।
স্বাভাবিক আকাঙ্খাগুলি সমস্যা নয়। ঈশ্বর স্বাভাবিক আকাঙ্খা সৃষ্টি করেছেন। আদমের স্বাভাবিক আকাঙ্খা ছিল, কিন্তু ঈশ্বরের অবাধ্য হওয়ার সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত সে পাপী ছিল না। এই আকাঙ্খাগুলি ঈশ্বর মানবজাতিকে যেভাবে সৃষ্টি করেছেন তারই অংশ। এগুলি নিজে থেকে পাপপূর্ণ নয়, তবে এগুলি প্রলোভনকে সম্ভব করে তোলে।
► কিছু স্বাভাবিক আকাঙ্খার উদাহরণ দিন।
নিচের চার্টটি সম্পূর্ণ নয়, তবে স্বাভাবিক আকাঙ্খার কিছু উদাহরণ। এই আকাঙ্খাগুলির কিছু স্বাভাবিক এবং সঠিক প্রকাশ, এবং প্রলোভনকে সম্ভব করে তোলার কিছু উপায় প্রদান করে।
লক্ষ্য করুন যে স্বাভাবিক আকাঙ্খাগুলি কেবলই শরীরের আকাঙ্খা নয়। এগুলি স্বাভাবিক, কারণ এগুলি মানব প্রকৃতি থেকে আসে, কিন্তু এগুলি সবই শারীরিক আকাঙ্খা নয়।
স্বাভাবিক আকাঙ্খাগুলিরবিভাগ
স্বাভাবিক আকাঙ্খার
সঠিক প্রকাশ এর উদাহরণ
সম্ভাব্যপাপসমূহ
আত্ম-সংরক্ষণ
নিরাপত্তামূলক সতর্কতা অবলম্বন করা
কাপুরুষতা
মানুষের অনুমোদন
যত্নসহকারে পোশাক পরা, সৌজন্য প্রদর্শন করা
অহংকার, ঈর্ষা
শারীরিক তৃপ্তি
খাওয়া, ঘুমানো এবং বিবাহে যৌন মিলন
পাপপূর্ণ ভোগ
সামাজিক আনন্দ-উপভোগ
অন্যদের সাথে সহভাগিতা
পরনিন্দা-পরচর্চা, উন্নাসিকতা
দৈহিক স্বাচ্ছন্দ্য
আরাম পছন্দ করা
অলসতা, বস্তুবাদ
আর্থিক নিরাপত্তা
মিতব্যয়ী হওয়া, বিনিয়োগ করা
লোভ, অসততা
► এমন কোনো স্বাভাবিক আকাঙ্খা কি আছে যা আপনি সর্বদা মেনে চলতে পারেন?
কোনো স্বাভাবিক আকাঙ্খাকে প্রশ্ন ছাড়াই প্রভুত্ব করতে দেওয়া যায় না। এমন কোনো স্বাভাবিক আকাঙ্খা নেই যা আপনি সর্বদা নিরাপদে অনুসরণ করতে পারেন, কারণ কোনো ইচ্ছাই আপনার জন্য কেবল সঠিক জিনিসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে তা নয়। উদাহরণস্বরূপ, ক্ষুধার ইচ্ছা নিজের খাদ্য, অন্য ব্যক্তির খাদ্য, বা সামর্থ্য নেই এমন খাদ্যের মধ্যে পার্থক্য করে না।
এমন সময় আসে যখন ইচ্ছার সঠিক প্রকাশকেও দমন করতে হয়। ক্ষুধার্ত থাকার অর্থ এই নয় যে একজন ব্যক্তি অন্য কারোর খাবার নিয়ে নিতে পারবে। বিশ্রামের ইচ্ছা থাকা স্বাভাবিক, কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি ক্লান্ত থাকা সত্ত্বেও তাকে কাজ করতে হয়। বিপদ এড়াতে চাওয়া আমাদের জন্য স্বাভাবিক, কিন্তু যখন একজন ব্যক্তি অন্যের সুরক্ষার জন্য দায়বদ্ধ, তখন তাকে অবশ্যই বিপদ থেকে পালানোর তাগিদকে প্রতিহত করতে হবে।
স্বাভাবিক আকাঙ্খা এতটাই বিকৃত এবং ভুল পথে পরিচালিত হতে পারে যে তা অস্বাভাবিক এবং অমানবিক রূপ ধারণ করে। এই কারণেই কিছু মানুষ অত্যন্ত বিকৃত বা নিষ্ঠুর কাজ করে। ভুল শিক্ষা, মন্দ চিন্তাভাবনার বিকাশ, পাপপূর্ণ পরিবেশে থাকা, অথবা নিজের পাপপূর্ণ কর্মকাণ্ডের কারণে স্বাভাবিক আকাঙ্খা বিকৃত বা ভুল পথে পরিচালিত হয়।
প্রতিটি বিশ্বাসীর স্বাভাবিক আকাঙ্খার কারণে প্রলোভিত হওয়ার আশা করা উচিত। অনুগ্রহ সাধারণত স্বাভাবিক আকাঙ্খাকে দূর করে না, তবে এটি একজন ব্যক্তিকে তার কাজ নিয়ন্ত্রণ করার এবং বৈধ বস্তুর দিকে তার আকাঙ্খাকে পরিচালিত করার শক্তি দেয়।
স্বাভাবিক আকাঙ্খা আত্মিক বিজয় বজায় রাখার জন্য আত্মিক নিয়মানুবর্তিতাকে অপরিহার্য করে তোলে। অনুগ্রহ একজন ব্যক্তিকে শাস্ত্রের নির্দেশাবলী মেনে চলা, উপাসনায় যোগদান করা, শরীরকে বশীভূত রাখা, এবং প্রার্থনা ও বাইবেল অধ্যয়ন অনুশীলন করার প্রয়োজনীয়তা থেকে মুক্ত করে না। একজন বিশ্বাসী যে আত্মিক বিজয় বজায় রাখার বিষয়ে আন্তরিক, সে তার দুর্বলতার ক্ষেত্রগুলিকে রক্ষা করার জন্য ব্যক্তিগত বিধিনিষেধও নির্ধারণ করতে পারে।
প্রলোভন আকর্ষণীয়ই দেখাবে, কিন্তু যদি হৃদয় ঈশ্বরের ইচ্ছা পূরণের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে সেই ব্যক্তি হৃদয় থেকে প্রলোভনকে প্রকৃত অর্থে প্রত্যাখ্যান করতে পারে (১ যোহন ৫:৩)। সে ভাববে না যে সে যা ত্যাগ করছে তা তাকে সত্যিই খুশি করতে পারত। বিশ্বাসের মাধ্যমে সে জানে যে ঈশ্বর এমন কিছু নিষিদ্ধ করেন না যা ক্ষতিকারক নয়, এমনকি যদি সে নিষিদ্ধ কিছুর ক্ষতিকারকতা দেখতেও না পায় (দ্বিতীয় বিবরণ ৬:২৪)। বিশ্বাসের মাধ্যমে সে জানে যে ঈশ্বরের ইচ্ছার বিপরীত কিছুই তাকে প্রকৃতপক্ষে সন্তুষ্ট করবে না, কারণ তার সন্তুষ্টি ঈশ্বরের উপর নির্ভরশীল (গীত ১৬:২, গীত ৮৪:১১)।
খাদ্যাভ্যাস এবং শরীরচর্চা
► খাবারের ব্যাপারে পবিত্র বাইবেল কী বলছে?
বাইবেল নির্দিষ্টভাবে খাবারের জন্য কিছু নিষিদ্ধ করে না। পুরাতন নিয়মের খাদ্যতালিকাগত বিধিনিষেধ নতুন নিয়মের বিশ্বাসীদের জন্য বাধ্যতামূলক ছিল না (১ তিমথি ৪:৪, মার্ক ৭:১৯)। মূর্তির কাছে উৎসর্গ করা খাবারের একটি সমস্যা ছিল, কিন্তু তা এই কারণে ছিল না যে খাবারটি নিজেই ভুল ছিল, বরং এর কারণ ছিল যে কিছু লোক মূর্তির উপাসনার অংশ হিসাবে খাবারটি খেত (১ তিমথি ৮)।
দৈহিক সুস্বাস্থ্য এবং শক্তির জন্য খাদ্যাভ্যাস গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু আমরা ঈশ্বরের দাস, তাই আমাদের শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে চাওয়া উচিত। আমাদের খারাপ খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে আমাদের শরীরের ক্ষতি না করা বা জীবনের সময়কালকে ছোটো না করার চেষ্টা করা উচিত। অনেকেরই খাদ্যাভ্যাসের বাহুল্যতা থাকে না, কারণ তাদের যা পাওয়া যায় এবং যা সামর্থ্য তা-ই খেতে হয়, তবে তাদের উচিত সর্বোত্তমটি বেছে নেওয়া। তাদের সন্তানদেরও ভালো খাদ্যাভ্যাস বেছে নিতে শেখানো উচিত।
যাদের খাবারের জন্য খরচ করার মতো পর্যাপ্ত টাকা আছে, তারা কখনো কখনো পুষ্টিকর খাবার বেছে নেওয়ার পরিবর্তে, তাদের পছন্দের স্বাদের জন্য অতিরিক্ত খাবার খায়। মানুষ অস্বাস্থ্যকর খাবারের জন্যও অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে প্রলুব্ধ হয়। কিছু লোক পরিচর্যা কাজের প্রশিক্ষণের জন্য একটি বই কিনতে অক্ষম বোধ করে, কিন্তু তারা প্রতি সপ্তাহে মিষ্টি এবং কোল্ডড্রিঙ্কের জন্য একগাদা টাকা খরচ করে।
একজন ব্যক্তির শারীরিক সুস্থতার জন্য শারীরিক ব্যায়াম অপরিহার্য। একজন ব্যক্তির ব্যায়ামের অভাবের কারণে শক্তির অভাব বা অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি করা উচিত নয় যা তাকে ঈশ্বরের জন্য সর্বোত্তম কাজ করতে বাধা দেয়। যদি একজন ব্যক্তির কর্মসংস্থানের জন্য শারীরিক পরিশ্রমের প্রয়োজন হয়, তাহলে তার অতিরিক্ত শারীরিক ব্যায়ামের প্রয়োজন নাও হতে পারে; অন্যথায়, তার শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য তাকে নিয়মানুবর্তিতা অবলম্বন করতে হবে।
একজন বিশ্বাসীর খাদ্যাভ্যাস এবং ব্যায়াম বিবেচনা করা উচিত, কারণ সে ঈশ্বরের। তবে, খাদ্যাভ্যাস এবং ব্যায়াম সম্পর্কে নির্দিষ্ট নির্দেশনা বাইবেলে নেই। মানুষকে তাদের নিজস্ব পরিস্থিতিতে ঈশ্বরের প্রতি উৎসর্গীকরণের নীতি প্রয়োগ করার উপায় খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের অবশ্যই অন্যদের বিচার এবং সমালোচনা করা এড়িয়ে চলতে হবে। এই বিবরণগুলিকে আত্মিক জীবনের নিয়ম হিসেবে গণ্য করা উচিত নয়, যদি না নির্দিষ্ট কিছু লোক কিছু নির্দিষ্ট শৃঙ্খলার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়।
► একজন শিক্ষার্থী গ্রুপের জন্য রোমীয় ১৪:৪ পদ পড়বে।
আমাদের প্রত্যেককে শাস্ত্রীয় নীতিগুলি নির্দিষ্ট উপায়ে প্রয়োগ করতে হবে, কিন্তু যারা ভিন্নভাবে প্রয়োগ করে তাদের বিচার করা উচিত নয়, বিশেষত যখন নির্দিষ্ট প্রয়োগগুলি শাস্ত্রে নেই।
অলৌকিক শারীরিক সুস্থতা
► একজন শিক্ষার্থী গ্রুপের জন্য রোমীয় ৮:১৮-২৩ পদ পড়বে।
প্রথম মানুষ যখন পাপ করেছিল তখন সমস্ত সৃষ্টির উপর যে অভিশাপ এসেছিল তার ফল হল রোগব্যাধি। ঈশ্বরের পরিত্রাণের পরিকল্পনা শেষ পর্যন্ত সৃষ্টিকে পুনরুদ্ধার করবে এবং সমস্ত দুঃখকষ্টের অবসান ঘটাবে। তবে, এই পদগুলি আমাদের বলে যে এই পুনরুদ্ধার দ্রুত ঘটবে না। যদিও আমরা ইতিমধ্যেই পরিত্রাণ পেয়েছি, তবুও ঈশ্বরের পরিত্রাণের পরিকল্পনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের দেহগুলি বার্ধক্য এবং রোগে ভুগতে থাকবে।
ঈশ্বর ইতিমধ্যেই পৃথিবীতে অলৌকিক কাজ করে চলেছেন। বাইবেলে আরোগ্যের অনেক অলৌকিক কাজ লিপিবদ্ধ করা আছে। ঈশ্বর মন্ডলীর বিশ্বাসের প্রার্থনার জবাবে সুস্থ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন (যাকোব ৫:১৪-১৫)। অসুস্থ ব্যক্তির নিজের সুস্থতার জন্য বিশ্বাস থাকা আবশ্যক নয়; মন্ডলী তার জন্য বিশ্বাস রাখতে পারে। অতএব, একজন অসুস্থ ব্যক্তির উপর বিশ্বাসের অভাবের অভিযোগ আনা উচিত নয়।[1]
আমরা আশা করতে পারি না যে বিশ্বাসী ব্যক্তি কখনো অসুস্থ হবে না। ঈশ্বর ইয়োবকে কিছু সময়ের জন্য শারীরিকভাবে কষ্ট পেতে দিয়েছিলেন, যদিও ইয়োব ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বস্ত ছিলেন (ইয়োব ২:৮)।
পৌল বলেছিলেন যে ঈশ্বর তার “শরীরে এক কাঁটা” থাকতে দিয়েছিলেন যাতে তিনি নম্র এবং ঈশ্বরের প্রতি নির্ভরশীল থাকতে পারেন। পৌল নিষ্কৃতির জন্য তিনবার প্রার্থনা করেছিলেন, কিন্তু অবশেষে বুঝতে পেরেছিলেন যে ঈশ্বর তাকে আরোগ্যের চেয়ে ধৈর্যের জন্য শক্তি দিতে চেয়েছিলেন (২ করিন্থীয় ১২:৭-৯)। “শরীরে এক কাঁটা” সম্ভবত একটি শারীরিক পীড়া ছিল, যদিও আমরা তা নিশ্চিতভাবে জানি না।
গালাতীয়দের কাছে সুসমাচার প্রচার করার সময় পৌল শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন (গালাতীয় ৪:১৩-১৫)। স্পষ্টতই তার চোখের সমস্যা ছিল, কারণ তিনি বলেছিলেন যে গালাতীয়রা তাকে এত ভালোবাসত যে তারা তাকে তাদের চোখ দান করতে ইচ্ছুক ছিল। আমরা জানি না যে পৌল পরে এই সমস্যা থেকে সুস্থতা লাভ করেছিলেন কিনা, তবে স্পষ্টতই তিনি তাৎক্ষণিকভাবে আরোগ্য লাভ করেননি। এটি স্পষ্ট যে পৌল শিক্ষা দেননি যে প্রতিটি বিশ্বাসীর সর্বদা অসুস্থতামুক্ত থাকবে, এবং গালাতীয়রা মনে করেনি যে তার অসুস্থতা তার প্রচারিত সুসমাচারের সত্যতা অস্বীকার করে।
► একজন শিক্ষার্থী গ্রুপের জন্য ফিলিপীয় ২:২৫-৩০ পদ পড়বে।
ইপাফ্রদীত অসুস্থ ছিলেন এবং মৃত্যুর ঝুঁকিতে ছিলেন। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন, কারণ তিনি পৌলকে সাহায্য করার জন্য প্রচুর পরিশ্রম করছিলেন। পৌল বলেছিলেন যে ইপাফ্রদীত সম্মানের যোগ্য ছিলেন, কারণ তিনি খ্রিষ্টের কাজের জন্য নিজের জীবন ঝুঁকির মুখে ফেলেছিলেন।
ইয়োব, পৌল এবং ইপাফ্রদীতের উদাহরণ আমাদের দেখায় যে অসুস্থ অবস্থায় থাকা লোকেদেরকে কখনোই বিশ্বাসের অভাবের জন্য দোষারোপ করা উচিত নয়। আমাদের ধরে নেওয়া উচিত নয় যে তারা তাদের পাপের জন্য শাস্তি পাচ্ছে। কারোর কষ্টের জন্য আত্মিক কারণ আছে কিনা তা কেবল ঈশ্বরই জানেন। ইতিহাসের কিছু মহান খ্রিষ্টবিশ্বাসী, বিশ্বাসে বীর মানুষরা, দীর্ঘ সময় ধরে অসুস্থতা ভোগ করেছিলেন।
বাইবেল ডাক্তার এবং ওষুধের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে না। যদিও আমরা স্বাস্থ্য এবং আরোগ্যের জন্য প্রার্থনা করি, তবুও উপলব্ধ সাহায্য ব্যবহার করা ভুল নয়।
যারা জাদুকরী শক্তি দাবি করে অথবা ঈশ্বরের কাছ থেকে নয় এমন আত্মাদের সেবা করে তাদের কাছ থেকে আরোগ্য লাভের চেষ্টা করা ভুল। আমরা শয়তানের সেবা করি না, এবং আমাদের তার কাছ থেকে উপকার লাভের চেষ্টা করা উচিত নয়। আমাদের আনুগত্য ঈশ্বরের প্রতি, এবং আমাদের তাঁর আশীর্বাদে সন্তুষ্ট থাকা উচিত। যদি তিনি আরোগ্য দান না করার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে আমাদের বিশ্বস্ত থাকার জন্য অনুগ্রহ এবং শক্তির জন্য প্রার্থনা করা উচিত।
[1]যিশু এক পক্ষাঘাতগ্রস্থ ব্যক্তিকে তার বন্ধুদের বিশ্বাসের কারণে সুস্থ করেছিলেন (মার্ক ২:৫)।
ক্ষতিকর উপাদানসমূহ
কিছু মানুষ এমন পদার্থ (সাবস্টেন্স) ব্যবহার করে যা তাদের শরীরকে সুখানুভব দিলেও তার ফলাফল হয় খারাপ।
যদিও অসুস্থতাজনিত সমস্যার চিকিৎসার জন্য কখনও কখনও মাদকদ্রব্যের (নার্কোটিক্স) প্রয়োজন হয়, তবুও সেগুলি কখনোই আমোদপ্রমোদের জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়। এগুলি শরীরের ক্ষতি করতে পারে, মনের ক্ষতি করতে পারে এবং আসক্তির কারণ হতে পারে। অনেক জায়গায় ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন এবং তত্ত্বাবধান ছাড়া মাদকদ্রব্য ব্যবহার করা বেআইনি।
খুব অল্প পরিমাণে ছাড়া, মদ (অ্যালকোহল) একজন ব্যক্তির চৈতন্যকে প্রভাবিত করে এবং তাকে এমনভাবে আচরণ করতে বাধ্য করে যা সে প্রভাবিত না হলে করত না। মদও আসক্তিকর। এটির অতিরিক্ত ব্যবহার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। জাগতিক, অনৈতিক বিনোদনের জায়গায় এটি অতিরিক্ত ব্যবহার করা হয়। বাইবেল সরাসরি মদকে নিষিদ্ধ করে না, তবে অনেক মন্ডলী এটি নিষিদ্ধ করে কারণ এটি আচরণ এবং বিচারকে প্রভাবিত করে, এটি আসক্তিকর এবং প্রায়শই অনৈতিক আচরণের সাথে জড়িত থাকে। অনেক বিশ্বাসী উদ্বিগ্ন থাকে যে যদি কোনো ব্যক্তি বিপদ এড়িয়ে সাবধানতার সাথে মদ খায়, তাহলেও সে অন্যদের, বিশেষ করে তরুণদের উপর ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলতে পারে।
► একজন শিক্ষার্থী গ্রুপের জন্য হিতোপদেশ ২০:১ পদ এবং হিতোপদেশ ৩১:৪-৫ পদ পড়বে।
তামাক (টোব্যাকো)—ধোঁয়া হিসেবে হোক বা চিবানো হোক, আসক্তিজনক এবং এটির জীবনের সময়কাল কমিয়ে দেওয়ার প্রবণতা আছে। ব্যবহারকারীর ক্যান্সার হওয়ার মারাত্মক ঝুঁকি থাকে।
বাইবেল মাদকদ্রব্য (নার্কোটিক্স), মদ (অ্যালকোহল) বা তামাক (টোব্যাকো)-কে বিশেষভাবে নিষিদ্ধ করে না। তবে, যারা এগুলির ক্ষতিকারকতা বোঝে, তাদের বেশিরভাগই বিশ্বাস করে যে খ্রিষ্টের অনুসারীদের এগুলি ব্যবহার করা উচিত নয়। সর্বত্রই যে সবসময় এমন ঘটেছে তা নয়, এমনকি এর আগেও মানুষ এই পদার্থগুলির (সাবস্টেন্সস) সম্পূর্ণ প্রভাব সম্পর্কে জানত।
এই পদার্থগুলির সবচেয়ে বড় বিপদ হল ব্যবহারকারীকে আসক্ত করে তোলার প্রবণতা। আসক্তি একজন ব্যক্তির জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করে। এগুলি তার সম্পদ গ্রাস করে। এগুলি তার ধারণাগুলিকে প্রভাবিত করে, তাকে অযৌক্তিকভাবে সেগুলিকে ন্যায্যতা দিতে বাধ্য করে। সে এমন ত্যাগস্বীকার করে যা তার পরিবার এবং কাজের ক্ষতি করে। আসক্তি এমন আনুগত্য দাবি করে যা ধর্মের অনুরূপ, এবং তা ঈশ্বরের প্রতি আনুগত্যের সাথে সংঘাত সৃষ্টি করে।
ইফিষীয় ৫:১৮ পদ আমাদের বলছে যে বিশ্বাসীদের মাতাল হওয়া উচিত নয়, বরং ঈশ্বরের আত্মায় পূর্ণ হওয়া উচিত।
পরিচ্ছন্নতা এবং দৃষ্টিগোচরতা
একজন বিশ্বাসীর শারীরিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভ্যাস থাকা উচিত যা অন্তত তার সংস্কৃতির স্বাভাবিক রীতিনীতিতে গ্রহণযোগ্য। অপ্রীতিকর গন্ধ, না আঁচড়ানো চুল, নোংরা বা খারাপ পোশাকে তার অন্যদের নজরে আসা উচিত নয়। দারিদ্র্যের মধ্যে থাকা একজন ব্যক্তির সুন্দর চেহারা বজায় রাখতে কিছুটা অসুবিধা হতে পারে, তবে তার যতটা করা সম্ভব তা করা উচিত।
আপনার বন্ধুরা যদি আপনার চেহারা বা স্বাস্থ্যবিধির সমালোচনা করে, তাহলে আপনার তাদের কথা শোনা উচিত। বাবা-মায়ের তাদের সন্তানদেরকে ভালো অভ্যাস শেখানো উচিত।
বিশ্বাসীদের দুনিয়ার নিদর্শন অনুসরণ করা, পোশাক এবং সাজসজ্জা ব্যবহার করে নিজেদেরকে অন্যদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ দেখানো উচিত নয়। তবে, উদাসীন পোশাকের অর্থ হতে পারে যে একজন ব্যক্তি যাদের সাথে দেখা করে, তাদের প্রতি সে তেমন শ্রদ্ধাশীল নয়। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি কোনো মিটিংয়ে যাওয়ার সময় আপনার চেহারা ও পোশাক সম্পর্কে উদাসীন হন, তাহলে এমন মনে হতে পারে যে আপনি মনে করেন যে মিটিং এবং লোকেরা আপনার সম্মানের যোগ্য নয়। খ্রিষ্টবিশ্বাসীদের সুন্দর দৃষ্টিগোচরতার মাধ্যমে ঈশ্বরকে সম্মান করা এবং অন্যদের প্রতি সম্মান দেখানো উচিত।
যাদের আত্মিক এবং অনন্তকালীন অগ্রাধিকার নেই, তারা প্রায়শই মনোযোগ আকর্ষণের জন্য পোশাক পরে শরীর প্রদর্শনের উপর জোর দেয়। একজন পুরুষ হয়ত তার পেশী প্রদর্শন করতে চাইতে পারে। একজন মহিলা হয়ত পুরুষদের কাছে শারীরিকভাবে আকর্ষণীয় হতে চাইতে পারেন। বিশ্বাসীদের তাদের পোশাক দিয়ে গর্ব প্রদর্শন করা বা ভুল ধরণের মনোযোগ আকর্ষণ করা উচিত নয়।
গ্রুপে আলোচনার জন্য
ঈশ্বরের প্রতি সমর্পণের ফলে তাদের জীবনযাত্রায় কীভাবে পরিবর্তন আনা উচিত, তা ভাবতে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করুন।
► আপনার অভ্যাস কীভাবে দেখায় যে আপনার শরীর ঈশ্বরের?
বিশ্বাসীদের জন্য খাদ্যাভ্যাসের নিয়ম বা অনুরূপ বিধিনিষেধ আরোপের উদ্দেশ্যে দীর্ঘ তর্ক-বিতর্ক এড়িয়ে চলুন।
► আপনি কেন নির্দিষ্ট কিছু পদার্থ (সাবস্টেন্স) ব্যবহার করেন না, তা একজন ব্যক্তিকে কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
প্রার্থনা
স্বর্গস্থ পিতা,
প্রথমে পৃথিবীতে এবং তারপর স্বর্গে বসবাসের জন্য তুমি আমাদের যে চমৎকার ডিজাইন দিয়েছ তার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ জানাই।
তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ এবং আমাকে মুক্ত করেছ জেনে তোমার প্রতি সম্পূর্ণ নিবেদিতপ্রাণ হয়ে জীবন যাপন করতে আমাকে সাহায্য করো।
তোমার সেবা এবং তোমার উপাসনায় বাধা সৃষ্টি করে এমন যেকোনো কিছু থেকে আমাকে মুক্তভাবে জীবনযাপন করতে সাহায্য করো।
তোমার পবিত্র আত্মার মন্দির হতে পারার এই মহান সুযোগের জন্য তোমাকে ধন্যবাদ জানাই। আমি এমনভাবে জীবন যাপন করতে চাই যা তোমাকে সম্মানিত করে।
আমেন
১৩ নং পাঠের অ্যাসাইনমেন্ট
(১) নিম্নলিখিত প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর একটি ব্যক্তিগত ডায়েরিতে লিখুন। (আপনার এটি ক্লাস লিডারকে দেওয়ার প্রয়োজন নেই।)
আপনি কি নিজেকে সম্পূর্ণরূপে ঈশ্বরের কাছে উৎসর্গ করেছেন? আপনার কাছে এর অর্থ কী?
আপনার জীবনে কোন স্বাভাবিক আকাঙ্খাগুলি প্রায়শই প্রলোভনের দিকে পরিচালিত করে?
এই প্রলোভনগুলিকে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করার জন্য আপনার কোন দু’টি বা তিনটি শাস্ত্রপদ মনে রাখা উচিত?
এই পাঠটি পড়ার সময় ঈশ্বর আপনাকে কোন পরিবর্তনগুলি করার কথা বলেছেন?
(২) ১ করিন্থীয় ১৫ অধ্যায় অধ্যয়ন করুন। প্রথমে এটিকে এমন কিছু অংশে ভাগ করুন যাতে প্রতিটি অংশ একটি ছোটো বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করে। প্রতিটি অংশের জন্য একটি অনুচ্ছেদ লিখুন যেখানে সেই অংশের বার্তা ব্যাখ্যা করবেন। এই অধ্যায়ের উপর ভিত্তি করে কোন কোন ব্যবহারিক দিকনির্দেশনা থাকা উচিত?
Print Course
SGC exists to equip rising Christian leaders around the world by providing free, high-quality theological resources. We gladly grant permission for you to print and distribute our courses under these simple guidelines:
No Changes – Course content must not be altered in any way.
No Profit Sales – Printed copies may not be sold for profit.
Free Use for Ministry – Churches, schools, and other training ministries may freely print and distribute copies—even if they charge tuition.
No Unauthorized Translations – Please contact us before translating any course into another language.
All materials remain the copyrighted property of Shepherds Global Classroom. We simply ask that you honor the integrity of the content and mission.