ব্রাদার লরেন্স ছিলেন একজন সাধারণ সন্ন্যাসী যিনি ১৬০০’র দশকে একটি মঠে বাস করতেন। তিনি ঈশ্বরের প্রতি ভালোবাসায় খুব সাধারণ কাজ করার জন্য, যেমন আলুর খোসা ছাড়ানো এবং থালা-বাসন ধোয়া, ইত্যাদি, এবং কখনও ঈশ্বরের উপস্থিতি তার মন থেকে দূরে যেতে না দেওয়ার জন্য বিখ্যাত হয়ে উঠেছিলেন। তিনি ক্রমাগত ঈশ্বরকে তার সমস্ত জীবনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছিলেন, যার মধ্যে তার কাজও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
“ঈশ্বরের উপস্থিতির অনুশীলন” (দ্য প্র্যাক্টিস অফ দ্য প্রেজেন্স অফ গড) খুব সংক্ষিপ্ত একটি বই যা প্রায় কয়েক লক্ষ মানুষ পড়েছেন। এটিতে ব্রাদার লরেন্স’র সাক্ষাৎকার এবং চিঠিপত্র অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তিনি লিখেছেন, “আমাদের পবিত্রতা আমাদের কাজ পরিবর্তন করার উপর নির্ভর করে না, কিন্তু ঈশ্বরের জন্য যা আমরা সাধারণত নিজেদের জন্য করি তা করার উপর নির্ভর করে।”
► কাজ কী? কাজ কি শুধুই কর্মসংস্থান— কিছু করার জন্য নিযুক্ত হওয়া?
কাজের মধ্যে কর্মসংস্থান অন্তর্ভুক্ত, তবে এতে নিজেদের এবং অন্যদের যত্ন নেওয়া, আমাদের কাছে থাকা জিনিসগুলি পরিচালনা করা, বিভিন্ন জিনিস উত্পাদন করা, লাভের জন্য ব্যবসা করা এবং অন্যদেরকে মুক্তহস্তে সাহায্য করাও অন্তর্ভুক্ত।
► একজন বিশ্বাসীর কি কাজ করা উচিত? কেন?
অনেকেই মনে করে যে পর্যাপ্ত অর্থ থাকলে তাদের কাজ করতে হবে না। তারা মনে করে সবচেয়ে উপভোগ্য জীবন হবে অবসর জীবন।
কাজ সম্পর্কে বাইবেলভিত্তিক ধারণা
ঈশ্বর শুরুতে কীভাবে জগৎকে বিন্যাস করেছিলেন তা নিয়ে ভাবুন। এটি নিখুঁত ছিল (আদি পুস্তক ১:৩১)। ঈশ্বরের সৃষ্ট প্রথম মানবদের জন্য এটি ছিল নিখুঁত পরিবেশ। ঈশ্বর প্রথম মানবদের কাজ দিয়েছিলেন (আদি পুস্তক ১:২৮)। ঈশ্বর পৃথিবীকে পরিশ্রম ছাড়াই মানুষের সমস্ত চাহিদা মেটানোর জন্য বিন্যস্ত করতে পারতেন, কিন্তু তিনি তা করেননি। ঈশ্বর জানতেন যে মানুষের জন্য সর্বোত্তম জীবনে কাজ অন্তর্ভুক্ত।
ঈশ্বর পরিকল্পনা করেছিলেন যে আমাদের কাজ আমাদের সম্পর্কের সাথে জড়িত থাকবে। মানুষকে অবশ্যই সহযোগিতা করতে শিখতে হবে, একে অপরের প্রতি নির্ভরশীল হতে হবে, একে অপরের জন্য নির্ভরযোগ্য হতে হবে, শক্তি ব্যবহার করতে হবে এবং দুর্বলতার ক্ষেত্রে অন্যদেরকে সাহায্য করতে হবে, একসাথে প্রতিকূলতা মোকাবিলা করতে হবে, মতবিরোধ দূর করতে হবে, ভুল সংশোধন করতে হবে, প্রশিক্ষিত হতে হবে এবং অন্যদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
ঈশ্বর মানুষকে পৃথিবী পরিচালনা করার, নিয়ন্ত্রণে আনার এবং তাঁর মহিমার জন্য এটিকে বিকশিত করার ক্ষমতা ও দায়িত্ব দিয়েছেন। এই কার্যভারের ফলে কৃষির উন্নয়ন, প্রাণীদের উত্থাপন, পৃথিবী থেকে খনিজ খনন এবং প্রযুক্তির বিকাশ ঘটেছে।
ঈশ্বর আমাদেরকে বাকি প্রকৃতির সৃষ্টি উর্দ্ধে করেছেন, কারণ আমাদের মধ্যে তাঁর প্রকৃতির কিছু আছে। গীত ৮:৬-৮ পদ বলছে,
তোমার হাতের সকল সৃষ্টির উপর তাদের কর্তৃত্ব দিয়েছ; এসব কিছু তাদের পায়ের নিচে রেখেছ: সব মেষপাল ও গোপাল, ও যত বন্যপশু; আকাশের যত পাখি, সমুদ্রের যত মাছ, যা সমুদ্র প্রবাহে সাঁতার কাটে।
প্রথম পাপের কারণে জগৎ পরিবর্তিত হয়েছিল, এবং কাজের মধ্যে এমন অনেক অসুবিধা এবং হতাশা অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল যা ঈশ্বরের মূল নকশার মধ্যে ছিল না (আদি পুস্তক ২:১৭-১৯)। কিন্তু, আমাদের অবশ্যই বুঝতে হবে যে ঈশ্বর আমাদেরকে কাজ করার জন্য পরিকল্পনা করেছেন।
আমাদের কাজ হল ঈশ্বরের সৃষ্টির কাজের অনুরূপ। কাজ হল মানুষের পরিবেশকে নতুন করে সাজানোর উপায়। জীবিকা অর্জন করাই কাজের একমাত্র উদ্দেশ্য নয়। মানুষের মধ্যে তাদের পরিবেশ পরিবর্তন করার প্রবৃত্তি আছে। তারা তাদের ঘরবাড়ি উন্নত করার চেষ্টা করে। তারা আবর্জনা পরিত্যাগ করার চেষ্টা করে। যে ব্যক্তি আর কাজ করতে চায় না সে তার পরিবেশ পরিবর্তন করার ইচ্ছা এবং ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছে। মানুষ বলতে যা বোঝায় তার কিছু অংশ সে ছেড়ে দিচ্ছে।
► সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ না করা কোনো বাড়ি বা প্রাঙ্গণ দেখলে আপনার কী মনে হয়?
সৃষ্টি, পরিকল্পনা, সংগঠন এবং উত্পাদন করার—কাজের—প্রতি মানুষের ঝোঁক মানুষের মধ্যে ঈশ্বরের প্রতিচ্ছবির অংশ। তাই সকল কাজই একজন বিশ্বাসীর জন্য পবিত্র। সমস্ত কাজই একটি উপাসনামূলক কাজ, বিশেষত যখন এটি ঈশ্বরকে খুশি করার জন্য করা হয় (কলসীয় ৩:১৭, ২৩)। যিশু বলেছেন যে যেহেতু তাঁর পিতা কাজ করেছেন, তাই তিনিও কাজ করেছেন (যোহন ৫:১৭)।
অসুস্থ হলে ঔষধ সেবন করার মতো কাজ করাকে আপনার অপ্রীতিকর প্রয়োজনীয়তা হিসেবে ভাবা উচিত নয়। কাজ কেবল বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু নয়। এটি মানবজাতির জন্য ঈশ্বরের নকশার অংশ।
১ থিষলনীকীয় ৩:১০ পদ বলে যে আমাদের কাজ করা উচিত, “কারণ তোমাদের সঙ্গে থাকার সময়েও আমরা তোমাদের এই নিয়ম দিয়েছি, যদি কেউ পরিশ্রম না করে, সে আহারও করবে না।”
যদি আমাদের কাজটিকে আপাতদৃষ্টিতে দেখে তুচ্ছ মনে হয়, সেক্ষেত্রে আমরা কী করব? মহাত্মা গান্ধী বলেছেন, “আপনি যা করেন তা দেখে তুচ্ছ মনে হতে পারে, তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি এটি করেন।” কল্পনা করুন একজন ব্যক্তিকে মেঝে ঝাঁট দেওয়ার জন্য নিয়োগ করা হয়েছে। এটি একটি তুচ্ছ কাজ বলে মনে হতে পারে, কিন্তু তিনি এটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসাবে বেছে নিয়েছে। তিনি যখন প্রতিদিন কাজে যান, তখন তিনি কারোর কথাকে পাত্তা না দিয়ে, অলসভাবে সময় ব্যয় করার পরিবর্তে এই কাজটি করা বেছে নিচ্ছেন। তিনি বন্ধুদের উপর বা পরিবারের উপর পরজীবী হওয়ার পরিবর্তে নিজেকে সমর্থন করার দায়িত্ব দেওয়া বেছে নিচ্ছেন। তিনি তাকে সাহায্য করার জন্য তাদের বাধ্য করার পরিবর্তে যারা তার উপর নির্ভরশীল, সম্ভবত তার স্ত্রী এবং সন্তানদের যত্ন নিচ্ছেন। এই সমস্ত বিবেচনাগুলি আমাদের বুঝতে সাহায্য করে যে কাজটি তুচ্ছ হতে পারে, তবে এটি গুরুত্বপূর্ণ যে কেউ সেই কাজটি সম্পন্ন করা বেছে নিয়েছে।
এরকম কি অনেক লোক আছে যারা সত্যিই কাজ করতে পারে না? না। এমনকি যদি একজন ব্যক্তি বেতনের ভিত্তিতে কাজ করতে অক্ষম হয়, তবুও সে সম্ভবত অন্যদের চাহিদা মেটাতে কিছু একটা করতেই পারে।
খ্রিষ্টের অনুগামীদের অবশ্যই কাজ করা উচিত, কারণ তারা তাদের নিজেদের জন্য এবং অন্যদের জন্য দায়বদ্ধ। যদি তারা যা করতে পারে তা করতে ইচ্ছুক না হয়, তাহলে তাদের আশা করা উচিত নয় যে অন্যেরা তাদের চাহিদা পরিপূরণ করবে।
একজন বিশ্বাসী প্রথমে তার পরিবারের প্রতি দায়বদ্ধ। “কেউ যদি তার আত্মীয়স্বজনের, বিশেষত পরিবারের আপনজনদের ভরণ-পোষণ না করে, সে বিশ্বাস অস্বীকার করেছে এবং অবিশ্বাসীর চেয়েও নিকৃষ্ট প্রতিপন্ন হয়েছে” (১ তিমথি ৫:৮)।
শাস্ত্রে একজন বিশ্বাসীকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে সে অন্যেদের চাহিদা মেটাতে পারে। “যে চুরি করতে অভ্যস্ত, সে যেন আর চুরি না করে, বরং নিজের হাতে পরিশ্রমের দ্বারা সৎ উপায়ে উপার্জন করে; দুস্থদের সাহায্য করার মতো তার হাতে যেন কিছু উদ্বৃত্ত থাকে” (ইফিষীয় ৪:২৮)। যে চুরি করে, কিছু না করে নিয়ে যায়; এবং যে কাজ করে যাতে সে কিছু দিতে পারে – এই দুই ব্যক্তির মধ্যে বৈসাদৃশ্যটি লক্ষ্য করুন। একজন বিশ্বাসী কেবল সেই ব্যক্তি নয় যে চুরি করে না, বরং এমন একজন ব্যক্তি যে দান করার উদ্দেশ্যে কাজ করে।
আপনাকে কেউ কাজের জন্য নিয়োগ না করলেও আপনি করার জন্য কাজ খুঁজে নিতে পারেন। সাহায্যকারী হওয়ার এবং অন্যদের প্রয়োজনীয়তা মেটানোর বিভিন্ন উপায় খুঁজে বের করুন। কিছুই না করা এবং কেউ আপনাকে সাহায্য করে না বলে অভিযোগ করার চেয়ে এইভাবে জীবন যাপন করা অনেক ভালো।
বিশ্বাসীদের তাদের নিজেদের এবং তাদের পরিবারের প্রয়োজন পরিপূরণ করার জন্য কাজ করা উচিত, এবং যাদের প্রয়োজন আছে তাদেরকে দান করতে সক্ষম হওয়া উচিত।
আমাদের চাহিদা পূরণের জন্য ঈশ্বরের চিরাচরিত উপায়
► যে ব্যক্তি বলে যে সে কাজ করবে না কারণ তার প্রয়োজন মেটানোর জন্য সে ঈশ্বরের উপর নির্ভরশীল, তাকে আপনি কী বলবেন?
কল্পনা করুন যে গ্রীষ্মের শেষের দিকে আপনি আপনার বাড়ির পিছনের বাগানে হাঁটতে গেছেন এবং দেখছেন যে একটা বিরাট অংশ জুড়ে টমেটো, ভুট্টা, বীন, এবং অন্যান্য শাক-সব্জির ফলন হয়েছে, এবং এতটাই পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে যে আপনার দীর্ঘ সময় চলে যাবে।
এটিকে দেখে কি আপনার একটি অলৌকিক ঘটনার মতো মনে হবে? এটি গত গ্রীষ্মে হাজার হাজার মানুষের ক্ষেত্রে ঘটেছে। তারা তাদের বাড়ির বাগানে হেঁটে গেছে এবং দেখেছে যে ফসল বেড়েছে এবং দিন-প্রতিদিন আরও বেশি বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়েছে। কিন্তু তারা আশ্চর্য হয়নি, এমনকি বিস্মিতও হননি, কারণ কয়েক মাস আগে তারা জমি চাষ করেছিল, তারপর তাতে বীজ রোপণ করেছিল, তারপর কয়েক মাস ধরে নিশ্চিত করেছিল যে সেখানে জল দেওয়া হয়েছে এবং আগাছা পরিষ্কার করা হয়েছে। তাই যখন তারা সেখানে ফসল ফলতে দেখেছিল, তখন তা ছিল ঠিক সেটাই যা তারা যা আশা করেছিল।
আপনার প্রতিক্রিয়া হতেই পারে, “তাহলে এটি কোনোমতেই কোনো অলৌকিক ঘটনা নয়।” কিন্তু ঈশ্বর কোটি কোটি গাছপালা বানিয়েছেন, এবং মানুষ একটিও বানায়নি। গীত ১০৪:১৪ পদ বলে, “তিনি গবাদি পশুদের জন্য ঘাস,আর মানুষের চাষের জন্য চারাগাছ বৃদ্ধি করেন—জমি থেকে খাদ্যদ্রব্য উৎপন্ন করেন।” ঈশ্বর এই কাজটি করেন, কিন্তু মানুষকে এটির জন্য মাটি প্রস্তুত করতে, বীজ রোপণ করতে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী জল দিতে হয়।
অনেকেই ঈশ্বরের কাজকে অস্বাভাবিক কিছু বলে মনে করে, তারা মনে করে তা প্রাকৃতিক নিয়মের ব্যতিক্রম, যেমন যিশু যখন সুস্থ করেছিলেন অথবা যখন সূর্য স্থির হয়ে গিয়েছিল। সুতরাং সেই অর্থে, উদ্ভিদের বৃদ্ধি অলৌকিক ঘটনা নয়, কারণ এটি সাধারণ বিষয়।
কিন্তু একটি অলৌকিক ঘটনার আশায়, আমরাও প্রায়শই ঈশ্বরের কাজ করার স্বাভাবিক পদ্ধতিকে উপেক্ষা করি। এমন লক্ষ লক্ষ লোক আছে যারা আজ তাদের বাড়ির বাগানে হেঁটে গেছে এবং তারা খাওয়ার মত এমন কোনোকিছুই খুঁজে পায়নি। তারা ঈশ্বরের খাদ্য উৎপাদনের পদ্ধতিতে জড়িত ছিল না। খাদ্য বৃদ্ধির প্রক্রিয়া ঈশ্বরের স্বাভাবিক কাজের পদ্ধতির একটি উদাহরণ মাত্র। উদাহরণস্বরূপ, ঈশ্বরের চাহিদা পূরণের স্বাভাবিক উপায়টি মানুষের কাজের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। হিতোপদেশ ১৪:২৩ পদ আমাদের শেখায় যে “সব কঠোর পরিশ্রমই লাভের মুখ দেখে,” যেখানে হিতোপদেশ ১৯:১৫ পদ আমাদের সতর্ক করে দেয় যে “অপারদর্শী মানুষ ক্ষুধার্তই থেকে যায়।”
কিছু মানুষ আছে যারা চায় যে ঈশ্বর তাদের জন্য কিছু সরবরাহ করবেন, কিন্তু তারা কাজ করার সুযোগ প্রত্যাখ্যান করে, কারণ এইগুলি তাদের পছন্দ অনুযায়ী নয় বা তা তারা করতে ইচ্ছুক নয়।
আপনি যদি কাজ করতে ইচ্ছুক হন কিন্তু আপনাকে নিয়োগ করার জন্য কাউকে না পেয়ে থাকেন, তবে কী করবেন? এমন কিছু কাজ আছে যা আপনি অন্যদের সাহায্য করার জন্য করতে পারেন এবং সেই কাজের মাধ্যমে আপনার কিছু চাহিদা পরিপূরণ হতে পারে। আপনি যদি বেকার হন, আপনার কাছে সময় আছে। কেন চারপাশে তাকিয়ে দেখছেন না এবং অন্য কাউকে সাহায্য করার জন্য আপনি কী করতে পারেন তা চিন্তা করছেন না?
একজন মানুষের কথা কল্পনা করুন যে বেকার এবং প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা কিছুই না করে কেবল বসে বসে সময় নষ্ট করে। সত্যিই কি তার করার জন্য মূল্যবান কিছুই নেই? তার আশেপাশে এমন অনেক মানুষ রয়েছে যাদের সাহায্য দরকার। তার বাড়ির উঠোনে এবং রাস্তায় আবর্জনা রয়েছে যা পরিষ্কার করা উচিত। এমন জমি আছে যা খাদ্য উৎপাদন করার জন্য চাষ করা যেতে পারে। তার পড়ার জন্য এবং তার জ্ঞান বৃদ্ধি করার জন্য বই পাওয়া যেতে পারে। কারও জন্য সে প্রার্থনা করতে পারে। যে ব্যক্তি বসে আছে এবং কিছুই করছে না তার একজন কর্মচারী আছে, এবং তা হল সে নিজেই এবং তার সেই কর্মচারী কিছুই উত্পাদন বা বিকাশ করছে না। সে নিজে একজন ভালো নিয়োগকর্তা নয়, তাই সে সম্ভবত অন্যদের পরিচালনা করার সুযোগ পাবে না।
বহু সময়ে এবং জায়গায়, বেশিরভাগ মানুষই কর্মসংস্থান পায় না। তারা ব্যবসা করার জন্য কিছু উত্পাদন করে, অথবা তারা অন্যদের একটি পরিষেবা অফার করে। এই উপায়গুলিই হল সেই সমস্ত পথ যা ঈশ্বর আমাদের জন্য প্রদান করেন।
খ্রিষ্টীয় কর্মসংস্থানের জন্য বাইবেলভিত্তিক নীতিসমূহ
দায়িত্ব এবং সততার নীতি বিশ্বাসীদেরকে তাদের কাজে প্রয়োগ করার জন্য কিছু নৈতিকতা প্রদান করে।
► একজন বিশ্বাসী যখন একজন নিয়োগকর্তার অধীনে কাজ করে, তখন তার কীভাবে বাইবেলের নীতিগুলি প্রয়োগ করা উচিত?
নতুন নিয়ম কর্মচারীদেরকে বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করে। যে সময়ে নতুন নিয়মের বইগুলি লেখা হয়েছিল, তখন বহু কর্মচারী ছিল ক্রীতদাস। আজকের দিনে একজন কর্মচারী সেই সময়ের একজন ক্রীতদাস থেকে আলাদা কারণ সে বিভিন্ন কর্মসংস্থানে যাওয়ার সুযোগ পেতে পারে। এই স্বাধীনতা তাদের পক্ষে চাকরির শর্তাবলী গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করা সম্ভব করে তুলেছে। তবে, যদি তারা নির্দিষ্ট কিছু সুবিধার জন্য কাজ করতে সম্মত হন, তাহলে শাস্ত্র অনুসারে যতক্ষণ তারা নিয়োগকর্তার সাথে থাকবেন ততক্ষণ তাদের ভালো কর্মী হতে হবে।
আপনি এমন পরিস্থিতিতে থাকতে পারেন যেখানে আপনি যে কাজটি করতে চান তা বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা আপনার নেই। হয়তো আপনি একটি জবরদস্তিমূলক পরিস্থিতিতে কাজ করতে বাধ্য হয়েছেন। এমন সময়েও আপনার খ্রিষ্টের মনোভাব থাকা উচিত। কিছু লোক আছে যাদেরকে কাজ করতে বাধ্য করা হলে তারা ধীরে ধীরে এবং খারাপভাবে কাজ করে, কারণ তারা দেখাতে চায় যে তারা সেই কাজটি করতে ইচ্ছুক নয়। যখন একজন ব্যক্তি তা করে, তখন সে দেখায় যে সে স্বাধীন নয়। আপনি যদি স্বাধীনভাবে কাজ করতে চান, তবে আপনার উচিত প্রফুল্লভাবে কাজ করা এবং কাজটি ভালোভাবে করা। আপনি যখন এইভাবে কাজ করেন, তখন আপনি স্বাধীনভাবে কাজ করছেন, কারণ কেউ আপনাকে এটি করতে বাধ্য করতে পারে না।
যদি কেউ আপনাকে নিয়োগ না করে থাকে, তবে আপনি আপনার নিজের সুপারভাইজার। আপনি নিজের জন্য কেমন কর্মচারী হয়েছেন?
ইফিষীয় ৬:৫-৮ – দায়িত্বের নীতি
► একজন শিক্ষার্থী গ্রুপের জন্য ইফিষীয় ৬:৫-৮ পদ পড়বে। এই অংশটির অর্থ আলোচনা করুন, এবং তারপর আপনার পর্যবেক্ষণগুলিতে যুক্ত করার জন্য নিচের তালিকাটি দেখুন।
ইফিষীয় ৬:৫-৮ পদ থেকে কিছু প্রয়োগ:
১। একজন কর্মচারীকে অবশ্যই তার নিয়োগকর্তার বাধ্য হয়ে চলতে হবে, এবং তা কেবল মালিকের সামনে থাকাকালীন সময়ে নয়, বরং সর্বদাই তা বজায় রাখতে হবে। এর অর্থ হল যে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিদর্শন করার সম্ভাবনা নেই তা জানলেও তার ছোটখাট বিষয়গুলিও অবহেলা করা উচিত নয় (“...কেবলমাত্র তাদের দৃষ্টি যখন তোমাদের প্রতি থাকে, তখন তাদের অনুগ্রহ লাভের জন্য নয়...”)।
২। একজন কর্মচারীকে তার কাজের গুণমান এবং অধ্যবসায় বজায় রাখতে হবে এই কথা ভেবে যে সে ঈশ্বরের জন্য কাজটি করছে। (“...খ্রীষ্টের ক্রীতদাসদের মতো... ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করছ...”)।
৩। একজন কর্মচারী তার কাজে বিশ্বস্ততার জন্য ঈশ্বরের কাছ থেকে আশীর্বাদপ্রাপ্ত হবে (“প্রভু তাদের সকলকেই ... পুরস্কৃত করবেন...”)।
তীত ২:৯-১০ – সততার নীতি
► একজন শিক্ষার্থী গ্রুপের জন্য তীত ২:৯-১০ পদ পড়বে। এই অংশটির অর্থ আলোচনা করুন, এবং তারপর আপনার পর্যবেক্ষণগুলিতে যুক্ত করার জন্য নিচের তালিকাটি দেখুন।
তীত ২:৯-১০ পদ থেকে কিছু প্রয়োগ:
১। একজন কর্মচারীর তার নিয়োগকর্তার নির্দেশাবলীর প্রতি প্রত্যুত্তরের ক্ষেত্রে শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত (“...তাদের কথার প্রতিবাদ না করে...”)। যখন কোনো কর্মচারী অন্যান্য কর্মচারীদের কাছে তার নিয়োগকর্তা সম্পর্কে অবমাননাকর কথা বলে, তখন কী কী ফলাফল দেখা যেতে পারে?
২। যদি একজন কর্মচারী মনে করে থাকে যে তার বেশি বেতন পাওয়া উচিত, তবুও তার নিয়োগকর্তার থেকে চুরি করা উচিত নয় (“...তাদের কিছু চুরি না করে...”)।
৩। বিশ্বস্ত কাজ হল সুসমাচারের একটি সাক্ষ্য; অবিশ্বস্ততা হল সুসমাচারের নিন্দাস্বরূপ (“...আমাদের পরিত্রাতা ঈশ্বর সম্বন্ধীয় শিক্ষাকে তারা যেন ...আকর্ষণীয় করে তোলে...”)।
► কিছু লোকের তাদের কাজের ক্ষেত্রে অসততার কিছু উদাহরণ কী হতে পারে? কীভাবে একজন বিশ্বাসীর ভিন্ন হওয়া উচিত তা বর্ণনা করুন।
তীত এবং ইফিষীয় থেকে নেওয়া শাস্ত্রীয় অংশগুলি মূলত একজন ব্যক্তিকে কাজে নিয়োগ করা হলে, তার কীভাবে কাজ করা উচিত সে সম্পর্কে কথা বলছে। এই একই নীতি এমন একজন ব্যক্তির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য যাকে কিছু নির্মাণ করার কাজে বা কিছু মেরামত করার জন্য নিয়োগ করা হয়। তার সেই গুণমানের কাজ করা উচিত যেটা সে চাইবে যে তার জন্য কেউ করুক। যে ব্যক্তি বিক্রির উদ্দেশ্যে জিনিস তৈরি করে, তার ত্রুটিগুলি লুকানো উচিত নয় যাতে ক্রেতারা মনে করে যে তারা ভালো কিছু পাচ্ছে।
কর্মসংস্থানের জন্য পছন্দসই গুণাবলীর বিকাশ
নিয়োগকর্তারা একজন কর্মচারীর মধ্যে কী কী গুণাবলী চায়? গবেষণায় দেখা গেছে যে নিয়োগকর্তারা এমন ব্যক্তিদের চায় যাদের কাজের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব রয়েছে। তারা এমন লোক চায় যারা নির্ভরযোগ্য এবং শেখার জন্য প্রস্তুত। বহু ক্ষেত্রেই লোকেদেরকে তাদের প্রশিক্ষণ বা প্রতিভার চেয়ে কাজের প্রতি তাদের মনোভাবের জন্য নিয়োগ করা হয়। এ ছাড়া, কাজের প্রতি আমাদের মনোভাব সম্বন্ধেও ঈশ্বর চিন্তা করেন, যেমনটা আমরা ইতিমধ্যেই শাস্ত্রে দেখেছি।
এমন গুণাবলী বিকাশ করুন যা আপনাকে একজন মূল্যবান কর্মচারী করে তোলে। আপনাকে পরিষেবা প্রদান করতে প্রস্তুত হতে হবে। আপনাকে সৎ, নির্ভরযোগ্য এবং ধৈর্যশীল হতে হবে। কিছু বেকার মানুষ তাদের যা প্রয়োজন কেবল তা নিয়েই চিন্তা করে। একজন নিয়োগকর্তা আপনাকে সাহায্য করার জন্য নিয়োগ করেন না; তিনি তাকে সাহায্য করার জন্য আপনাকে নিয়োগ করেন। আপনাকে এমন ব্যক্তি হতে হবে যে একজন নিয়োগকর্তার কাছে মূল্যবান হবে।
কোনো ব্যক্তি বলতেই পারে, “আমি বন্ধুত্বপূর্ণ এবং সহায়ক এবং সৎ হতাম যদি আমাকে এটির জন্য অর্থ প্রদান করা হত,” কিন্তু নিয়োগকর্তারা বন্ধুত্বহীন ব্যক্তিকে নিয়োগ করে না এবং তাকে বন্ধুত্বপূর্ণ হওয়ার জন্য অর্থ প্রদান করে না। তারা একজন অসৎ ব্যক্তিকে নিয়োগ করে না এবং তাকে সৎ হওয়ার জন্য অর্থ প্রদান করে না। তারা নিয়োগের জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ, সহায়ক এবং সৎ ব্যক্তির সন্ধান করছে।
মন্ডলীতে বিষয়গুলি আলাদা। আমরা লোকেদের সাহায্য করতে ইচ্ছুক হওয়ার আগে তারা কতটা দিচ্ছে বা তারা কতটা বন্ধুত্বপূর্ণ হচ্ছে তার জন্য অপেক্ষা করি না। ঈশ্বর নিজেও আপনি ভালো কিছু করার আগে আপনার কাছে পৌঁছান এবং আপনাকে আশীর্বাদ করেন। কিন্তু আপনার নিজের উপকারের জন্য, আপনাকে অনুগ্রহের প্রতি সাড়া দেওয়া শুরু করতে হবে। দিতে এবং সেবা করতে এবং হাসতে শিখুন।
আপনার গুণাবলী বিকাশ করুন। যারা ইতিমধ্যে দক্ষতাসম্পন্ন, তাদের সাথে কাজ করে দক্ষতা অর্জন করুন। হয়তো আপনি অন্যদের একটি পরিষেবা দিতে পারেন। হয়তো আপনি একটি পণ্য বিক্রি করতে পারেন। হয়তো আপনি কোনো ফসল ফলাতে পারেন। সর্বোপরি, অন্যদেরকে সাহায্য করার মনোভাব রাখুন, এমনকি এমন সময়েও তা বজায় রাখুন যখন এটি আপনার উপকারে আসছে না। ঈশ্বর আপনার সেবায় আশীর্বাদ করবেন।
সেবা করার অর্থ কী? সেবা করার অর্থ হল আপনার ক্ষমতা, সময় এবং শক্তি অন্য কারোর উপকারের জন্য ব্যবহার করা।
আপনি একজন নিয়োগকর্তার জন্য কাজ করুন বা না করুন, পরিষেবার জন্য আপনাকে আপনার কিছু অধিকার এবং বিশেষাধিকার আলাদা করে রাখতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি অন্যদের জন্য কাজ করেন তবে আপনি সকালে যত দেরি পর্যন্ত চান ততক্ষণ ঘুমাতে পারবেন না, এবং আপনি যা করতে চান তা করার জন্য আপনি কাজ চলাকালীন সময়টি ব্যয় করতে পারবেন না। আপনাকে আপনার জীবনের দিকগুলিকে একটি উদ্দেশ্যের জন্য সমর্পণ করতে হবে যার জন্য আপনাকে নিয়োগ করা হয়েছে। এমনকি আপনি যেভাবে পোশাক পরেন এবং আপনি যেভাবে অন্য লোকেদের সাথে আচরণ করেন, কর্মসংস্থান সেটিকেও প্রভাবিত করে।
পরিষেবা দানের প্রস্তুতি একাধিক সুবিধা বহন করে:
১। এটি এমন সম্পর্ক তৈরি করে যার ফলে আপনার কিছু চাহিদা পূরণ হয়। বহু ক্ষেত্রেই এটি একটি অপ্রত্যাশিত উপায়ে ঘটে, তাই এটি কেবল সেইসব লোকেদের সাহায্য করার ব্যাপার নয় যারা আপনার জন্য কিছু করতে সক্ষম বলে আপনি মনে করেন।
২। এটি আপনাকে মন্ডলীতে অর্থাৎ খ্রিষ্টের দেহে একটি মূল্যবান অবস্থান প্রদান করে।
৩। এটি আপনাকে এমন এক ব্যক্তি হিসেবে তৈরি করে যাকে কেউ কাজে নিয়োগ করতে চায়।
কেমন হবে যদি আপনি অন্যদের সেবা করার উপায় খোঁজার মতো একটি নতুন মানসিকতা তৈরি করা শুরু করতে পারেন? যিশু বলেছেন, “গ্রহণ করার চেয়ে দান করাতেই বেশি আশীর্বাদ” (প্রেরিত ২০:৩৫)। আপনি কি এটি সত্যিই বিশ্বাস করেন? আপনার জীবনযাত্রা কি প্রকাশ করে যে আপনি এটি বিশ্বাস করেন?
অন্যদের প্রয়োজন সম্পর্কে চিন্তা করার এবং আপনার নিজের প্রয়োজনীয়তার চিন্তায় সম্পূর্ণরূপে মগ্ন না হয়ে যাওয়ার একটি আত্মিক নীতি রয়েছে (ফিলিপীয় ২:৪)। এক্ষেত্রে একটি ব্যবহারিক নীতিও রয়েছে। মনে রাখবেন, যারা লোকেদের নিয়োগ করে, তারা সাধারণত তাদের নিয়োগ করা ব্যক্তিদের সাহায্য করার জন্য কাজটি করে না। তারা কাউকে নিয়োগ করে কারণ তারা মনে করে যে সেই ব্যক্তি তাদের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। তাই যদি কোনো ব্যক্তি কেবল ভাবে যে তার যা প্রয়োজন তা অন্য কেউ করে দেবে, তাহলে সে নিয়োগের যোগ্য নাও হতে পারে।
মানুষ যখন কাজ করতে ইচ্ছুক তখন অনেককিছু ঘটে। এই সুবিধাগুলি এমন জিনিস যা অলৌকিক ঘটনা বলে মনে হবে যদি সেগুলি অপ্রত্যাশিতভাবে ঘটে, কিন্তু ঈশ্বরের কাছে সেই সুবিধাগুলি আপনার জীবনে আনার একটি স্বাভাবিক উপায় রয়েছে।
ঈশ্বর যেভাবে আপনাকে কিছু দিতে চান সেইভাবে সাহায্য পাওয়ার জন্য আপনি যদি কাজ করতে ইচ্ছুক না হন তাহলে একটি অলৌকিক কাজের জন্য আশা করা, ইচ্ছাপ্রকাশ করা, বা এমনকি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করা আসলে সময় নষ্ট করা ছাড়া আর কিছুই নয়।
গ্রুপে আলোচনার জন্য
► কীভাবে কোনো ভালো কাজ একজন নিয়োগকর্তার কাছে সুসমাচারের সুযোগ তৈরি করেছে সে সম্পর্কে কেউ কোনো কাহিনী শেয়ার করতে পারে।
► কীভাবে কেউ তার পারিপার্শ্বিক এলাকায় একজন ব্যক্তিকে সাহায্য করার মাধ্যমে খ্রিষ্টীয় যত্নের একটি ভালো প্রকাশ প্রদর্শন করেছিল সে সম্পর্কে কোনো কাহিনী শেয়ার করতে পারে।
► কোনো বেকার ব্যক্তির জন্য উপলব্ধ কাজের সুযোগগুলি সম্পর্কে গ্রুপে একসাথে নানারকম মতামত আলোচনা করতে পারে।
প্রার্থনা
স্বর্গস্থ পিতা,
সৃজনশীলভাবে কাজ করার যে সুযোগ আমি পেয়েছি তার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ জানাই। অন্যদেরকে সাহায্য করার সুযোগগুলি দেখতে আমাকে সাহায্য করো। যেহেতু আমি নিজের এবং অন্যদের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য কাজ করছি, তুমি আমার প্রয়োজনগুলি পূরণ করো।
আমাকে সেই সম্পদে আশীর্বাদ করো যেন আমি আমার পরিবারকে সহায়তা করতে পারি, মন্ডলীতে দান করতে পারি, এবং দুঃস্থদের সাহায্য করতে পারি।
আমার সমস্ত দায়িত্বে সৎ এবং নির্ভরযোগ্য হতে আমাকে সাহায্য করো। যদি তোমার ইচ্ছা হয়, আমাকে বৃহত্তর সুযোগ এবং দায়িত্বের জন্য প্রস্তুত করো। সবসময় আমার প্রতি বিশ্বস্ত থাকার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ জানাই।
আমেন
৩ নং পাঠের অ্যাসাইনমেন্ট
(১) এই প্যাসেজগুলি অধ্যয়ন করুন:
হিতোপদেশ ৬:৬-১১
হিতোপদেশ ১০:৪-৫
হিতোপদেশ ১২:১১, ২৪, ২৭
হিতোপদেশ ১৩:৪, ১১
হিতোপদেশ ১৪:২৩
হিতোপদেশ ১৮:৯
হিতোপদেশ ২০:১৩
হিতোপদেশ ২২:২৯
হিতোপদেশ ২৪:৩০-৩৪
হিতোপদেশ ২৬:১৩-১৬
এই প্যাসেজগুলি থেকে কাজ এবং অলসতা সম্পর্কে পয়েন্ট এবং প্রয়োগগুলি উপর একটি পৃষ্ঠার মধ্যে লিখুন।
(২) নিচে তালিকাভুক্ত বিষয়গুলির একটিতে একটি সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা প্রস্তুত করতে অন্য সহপাঠীর সাথে কাজ করুন। (ক্লাস লিডার প্রতিটি দলকে একটি বিষয় বরাদ্দ করবেন।) পরবর্তী ক্লাসের শুরুতে উপস্থাপনাটি শেয়ার করুন।
মানুষের মধ্যে ঈশ্বরের কাজ এবং প্রতিমূর্তি
নিজের জন্য এবং অন্যদের জন্য কাজ করা এবং দায়িত্ব পালন করা
যেভাবে একজন খ্রিষ্টবিশ্বাসী কর্মচারীর কাজ করা উচিত (এই উপস্থাপনাটি ইফিষীয় ৬:৫-৮ এবং তীত ২:৯-১০ পদের উপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত।)
যে পদ্ধতিতে ঈশ্বর সাধারণত মানুষের প্রয়োজনীয়তাগুলি পরিপূরণ করেন
SGC exists to equip rising Christian leaders around the world by providing free, high-quality theological resources. We gladly grant permission for you to print and distribute our courses under these simple guidelines:
No Changes – Course content must not be altered in any way.
No Profit Sales – Printed copies may not be sold for profit.
Free Use for Ministry – Churches, schools, and other training ministries may freely print and distribute copies—even if they charge tuition.
No Unauthorized Translations – Please contact us before translating any course into another language.
All materials remain the copyrighted property of Shepherds Global Classroom. We simply ask that you honor the integrity of the content and mission.