বিখ্যাত কল্পকাহিনী রবিনসন ক্রুসো (Robinson Crusoe)-তে, এক ব্যক্তি সমুদ্রে জাহাজডুবি থেকে রক্ষা পেতে সাঁতরে একটি দ্বীপে পৌঁছে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বহু মাস একা ছিলেন। তিনি তাঁর নিজের জন্য একটি আশ্রয় গড়ে তুলেছিলেন, পোশাক তৈরি করেছিলেন, এবং কীভাবে খাবারের সন্ধান করতে হয় তা শিখেছিলেন। কিন্তু, একদিন সমুদ্রের ধারে হাঁটার সময়ে, তিনি বালিতে মানুষের পায়ের ছাপ দেখে হতচকিত হয়ে যান। এর অর্থ ছিল যে অন্য আরেক ব্যক্তি সেখানে ছিল। তিনি জানতেন না যে সেই অজানা ব্যক্তি বন্ধুত্বপরায়ণ নাকি শত্রুমনোভাবাপন্ন। তিনি সেই ব্যক্তির চরিত্র, ভাষা, জাতিগত পরিচয়, বা তার সেখানে থাকার কারণ—কিছুই জানতেন না। তিনি জানতেন না যে সেই ব্যক্তি ওই নির্জন দ্বীপে কীভাবে তার জীবনকে বদলে দেবে। যেহেতু সম্পর্ক একজন ব্যক্তির জীবনে বিরাট প্রভাব ফেলে, তাই রবিনসন যখন পায়ের ছাপ দেখেছিলেন, তখন আশা এবং ভয়—দুটোই অনুভব করেছিলেন।
আত্মিক উন্নতির ক্ষেত্রে সম্পর্কের গুরুত্ব
বিভিন্ন পুরুষ ও নারী, ইহুদি ও পরজাতীয়, এবং বিভিন্ন সামাজিক শ্রেণী ও সংস্কৃতির মানুষদের নিয়ে প্রথম শতকের মন্ডলী একাধিক দ্বন্দ্বের মুখোমুখি হয়েও সমস্যাগুলি কাটিয়ে উঠেছিল। প্রেরিত পৌল তাদেরকে পরস্পরকে স্বাগত জানাতে বলেছিলেন (রোমীয় ১৫:৭)।
► একটি দ্বীপে একা থাকা একজন ব্যক্তিকে কল্পনা করুন। সে কি কারোর প্রতি ধৈর্য বজায় রাখতে পারে? সে কি কাউকে ক্ষমা করতে পারে?
আপনি অন্য লোকেদের সাথে সম্পর্ক না রেখে ধৈর্যের খ্রিষ্টীয় গুণটি বিকাশ করতে এবং দেখাতে পারবেন না। আপনি সম্পর্ক ছাড়া অন্যদের ক্ষমা করতে পারবেন না বা অন্যদের থেকে ক্ষমা পেতে পারবেন না।
► অন্যান্য কিছু খ্রিষ্টীয় গুণাবলী এবং কার্যকলাপগুলি কী কী হতে পারে যার জন্য অন্য লোকেদের প্রয়োজন?
এই বিষয়গুলি অন্যান্য মানুষের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ঘটে। বিভিন্ন গুণ কেবল সম্পর্কের মধ্যে বিকশিত এবং প্রদর্শিত হতে পারে। এর মানে হল যে মানুষের সাথে আমাদের সম্পর্ক আমাদের আত্মিক বিকাশের উপর অনেক প্রভাব ফেলে।
বাইবেল বিভিন্ন ধরণের সম্পর্কের জন্য বিবিধ নির্দেশনা দেয়। স্বামী ও স্ত্রী, বাবা-মা ও সন্তান, নিয়োগকর্তা ও কর্মচারী, পাস্টার ও মন্ডলী, এবং বয়স্ক ব্যক্তি ও যুবক-যুবতীদের মধ্যে সম্পর্কের জন্য নির্দিষ্ট নির্দেশাবলী রয়েছে৷
শাস্ত্রে কমপক্ষে তিনটি নীতি রয়েছে যা যেকোনো ধরণের মানব সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য: শান্তি, প্রেম এবং সম্মানের নীতিসমূহ।
শান্তির নীতি
“সকলের সঙ্গে শান্তিতে বসবাস করতে ও পবিত্র হওয়ার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করো। পবিত্রতা ব্যতিরেকে কেউ প্রভুর দর্শন পাবে না” (ইব্রীয় ১২:১৪)।
এই পদটি সম্পর্কের গুরুত্বকে অত্যন্ত জোরালোভাবে বর্ণনা করেছে। পবিত্রতা সকলের সাথে শান্তি বজায় রাখার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
► মানুষজনের সাথে শান্তি বজায় রাখার জন্য আমাদের সে জিনিসগুলি করা উচিত সেগুলি কী কী?
শান্তি অর্জনের জন্য, আপনাকে প্রত্যেক ব্যক্তির সাথে অন্তত সেই আচরণটি করতে হবে যা আপনার তার প্রতি করা উচিত (রোমীয় ১৩:৭)। যাদের থেকে আপনি কৃতজ্ঞতা, সম্মান, বা আনুগত্য দাবি করেন, তাদের প্রতি আপনাকে আগে অবশ্যই সেই আচরণ করতে হবে। যদি আপনি তা না করেন, তাহলে আপনি দ্বন্দ্ব উত্থাপনের দায়ে দোষী। যদি আপনি আপনার দায়িত্বগুলি পরিপূরণ করতে, প্রতিজ্ঞাগুলি সম্পন্ন করতে, বা অন্যদেরকে আপনার যা দেওয়া উচিত তা দিতে ব্যর্থ হন, আপনি শান্তি বজায় রাখছেন না। যদি আপনি উপলব্ধি করেন যে আপনার যা দেওয়া উচিত তা দিতে আপনি ব্যর্থ হয়েছেন, আপনার ক্ষমা চাওয়া উচিত এবং যতটা সম্ভব আপনার দায়িত্বগুলি পরিপূরণ করা উচিত।
কিন্তু, শান্তি অনুধাবনের জন্য আপনার যা প্রাপ্য তা মিটিয়ে দেওয়ার চেয়েও আরো বেশি কিছু প্রয়োজন। এটির মধ্যে প্রেম এবং উদারতা অন্তর্ভুক্ত যার জন্য আপনি ঋণী নন।
► একজন শিক্ষার্থী গ্রুপের জন্য তীত ৩:২-৩ পদ পড়বে।
আমাদেরকে ধৈর্যশীল এবং ক্ষমাশীল হতে হবে, বুঝতে হবে যে অরূপান্তরিত ব্যক্তির ভুল আচরণ এবং ভুল উদ্দেশ্য থাকার সম্ভাবনাই বেশি।
যদি আপনি শান্তি চান, যেখানে দ্বন্দ্ব আছে সেখানে আপনাকে পুনর্মিলনের চেষ্টা করতে হবে। আপনাকে ক্ষমা করতে ইচ্ছুক হতে হবে। আপনি দ্রুত অনুমান করে নেবেন না যে পুনরায় শান্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। আপনি সহজে কোনো স্থায়ী বিচ্ছেদকে গ্রহণ করে নেবেন না।
যিশু বলেছেন যে আপনার প্রতি অন্যায় কাজ করা ব্যক্তির কাছে আপনার যাওয়া উচিত এবং তাকে বুঝিয়ে বলা উচিত যে সে কী করেছে (মথি ১৮:১৫)। যদি আপনার মনে হয় যে ব্যাপারটি সামনাসামনি আলোচনার জন্য খুবই তুচ্ছ, তাহলে আপনার আর অন্য কাউকে এই ব্যাপারে বলা উচিত নয় বা সেই অন্যায় কাজ করা ব্যক্তিটির প্রতি ক্ষোভ জমিয়ে রাখা উচিত নয়।
কিছু কিছু সময়ে লোকেরা তাদের প্রতি অন্যায় করার অন্য বিশ্বাসীদেরকে ক্ষমা করতে পারে না। আমরা অরূপান্তরিত ব্যক্তিদের থেকে ভুল আচরণ আশা করতে পারি, কিন্তু যখন অন্য বিশ্বাসীরা আমাদের সাথে কিছু অন্যায় করে তখন তা বোঝা কঠিন হয়ে পড়ে।
যিশু আমাদেরকে বলেছেন যে অন্যেরা বারংবার আমাদের সাথে ভুল আচরণ করলেও আমাদের তাদেরকে ক্ষমা করতে ইচ্ছুক থাকা উচিত (মথি ১৮:২১-২২)। লোকেদের মন্ডলী ছেড়ে চলা যাওয়ার এবং আত্মিক বিষয়ে হার মেনে নেওয়ার একটি প্রচলিত কারণ হল খ্রিষ্টবিশ্বাসীদের থেকে পাওয়া অন্যায় আচরণের প্রতি জমে থাকা ক্ষোভ। এই ক্ষোভ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অন্যান্য ধরণের আত্মিক ব্যর্থতার আগে আসে।
যখন কোনো ব্যক্তি ক্ষমা করতে অস্বীকার করে, সে নিজের জীবনের একটি ক্ষেত্রে ঈশ্বরের কর্তৃত্বকে বাধা দেয়, কারণ ঈশ্বর চান যে আমরা ক্ষমা করি। (ইফিষীয় ৪:৩২ পড়ুন।) সেই ক্ষেত্রটি এমন এক জায়গা হয়ে ওঠে যেখান থেকে শয়তান জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রগুলিকে প্রভাবিত করতে পারে। যদি কোনো ব্যক্তি ক্ষমা করতে অস্বীকার করে তবে সে খুব দ্রুত প্রলোভন প্রতিরোধ করতে অক্ষম হয়ে পড়বে, যা সম্পূর্ণরূপে সম্পর্কহীন বলে মনে হয়।
প্রতিটি ব্যক্তিগত ভুল কাজের ভিত্তি হল আমাদের অধিকারের মূল্য। কারণ আমরা বিশ্বাস করি যে আমরা কোনো নির্দিষ্ট আচরণ বা সম্মানের যোগ্য, এবং আমরা যখন তা পাই না, তখন আমরা ক্ষুব্ধ হই। আমরা বিশ্বাস করি আমরা যা পাই তার চেয়েও আমরা অনেক ভালো কিছু পাওয়ার যোগ্য।
অন্যদেরকে ক্ষমা করার মূল চাবিকাঠিটি হল উদ্ধারকে বোঝা। উদ্ধার পাওয়া মানে পুনরায় কিনে নেওয়া। যেহেতু ঈশ্বর আমাদেরকে উদ্ধার করেছেন, আমরা তাঁর অধিকার, এবং আমাদের সমস্ত অধিকার তাঁর অধীন। আমাদের অতি অবশ্যই সচেতনভাবে নিজেদের যাবতীয় অধিকারকে ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ করতে হবে। আপনি প্রার্থনা করতে পারেন, “প্রভু, আমি জানি আমার সমস্ত অধিকার তোমার থেকে পেয়েছি। আমি চাই তুমি তাদের দায়িত্ব নাও এবং আমাকে শুধু সেইটুকুই দেবে যা তুমি দেখতে পাচ্ছ যে আমার জন্য ভালো।” তারপর, যখন লোকেরা আপনার সাথে ভালো আচরণ করে, তখন আপনি ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিতে পারেন যে তিনি আপনাকে সেই বিশেষাধিকারটি দিয়েছেন। যখন কেউ আপনার সাথে খারাপ ব্যবহার করে, তখন আপনি মনে রাখতে পারেন যে ঈশ্বর আপনার অধিকারের দায়িত্বে আছেন, এবং তিনি দেখেছেন যে সেই সময়ে সেই অধিকার না পেয়ে আপনি আরও উন্নত হওয়া সম্ভব।
অন্যদেরকে ক্ষমা করার মাধ্যমে, আপনি ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ করছেন এবং তাকে তাঁর ইচ্ছানুযায়ী আপনাকে উন্নত করতে দিচ্ছেন। ঈশ্বরের কাছে আপনার অধিকার সমর্পণের এই নীতিটি প্রতিটি মানবিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। (ক্ষমা সংক্রান্ত অন্যান্য কিছু অংশ হল কলসীয় ৩:১৩, মথি ৬:১৫, এবং রোমীয় ১২:১৯।)
প্রেমের নীতি
যে ব্যক্তির কাছ থেকে আমরা কোনোকিছুই পাই না, আমরা তাকেও ভালোবাসব। যেহেতু আমরা অনুগ্রহ গ্রহণ পেয়েছি, আমরা ঈশ্বরের কাছে ঋণী। আমরা তাঁকে কিছু ফেরত দিতে পারি না। তাঁর কোনোকিছুরই প্রয়োজন নেই, কিন্তু তিনি আমাদেরকে সেই অযাচিত ভালোবাসা অন্যদেরকে দিতে বলেছেন যা আমরা পেয়েছি।
“তোমরা কারও কাছে কোনো ঋণ কোরো না, কেবলমাত্র পরস্পরের কাছে ভালোবাসার ঋণ কোরো” (রোমীয় ১৩:৮)।
প্রেম হল একজন ব্যক্তির প্রকৃত বিশ্বাসী হওয়ার প্রমাণ।
কেউ যদি বলে, “আমি ঈশ্বরকে প্রেম করি,” অথচ তার ভাইবোনকে ঘৃণা করে, সে মিথ্যাবাদী। যে ভাই বা বোনকে সে দেখতে পায় তাকে যদি সে প্রেম না করে, তাহলে যে ঈশ্বরকে সে দেখেনি তাঁকে সে প্রেম করতে পারে না। (১ যোহন ৪:২০)
খ্রিষ্টবিশ্বাসীদের মধ্যে একটি বিশেষ ভালোবাসা রয়েছে এবং যিশু ব্যক্তিগতভাবে অন্যান্য বিশ্বাসীদের প্রতি আপনার কাজ এবং মনোভাব বিবেচনা করেন। বিচারের সময় তিনি বলবেন, “আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, যখন তোমরা আমার এই ভাইবোনদের মধ্যে নগণ্যতম কারও প্রতি এরকম করেছিলে, তখন তা আমারই প্রতি করেছিলে” (মথি ২৫:৪০)।
তবে, খ্রিষ্টীয় প্রেম যে কেবল অন্যান্য বিশ্বাসীদের প্রতিই প্রকাশিত হবে, তা নয়। মথি ৫:৪৪-৪৫ পদে যিশু বলেছেন,
কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, তোমরা তোমাদের শত্রুদের ভালোবেসো এবং যারা তোমাদের অত্যাচার করে, তোমরা তাদের জন্য প্রার্থনা কোরো, যেন তোমরা তোমাদের স্বর্গস্থ পিতার সন্তান হও। কারণ তিনি ভালোমন্দ, সব মানুষের উপরে সূর্য উদিত করেন এবং ধার্মিক অধার্মিক নির্বিশেষে সকলের উপরে বৃষ্টি দেন।
কিছু লোক, যে ব্যক্তিরা তাদের সাথে সঠিক আচরণ করে না, তাদের প্রতি সদয় হওয়া কঠিন বলে মনে করে, কিন্তু অভদ্র আচরণ হওয়ার কোনো অজুহাতই গ্রাহ্য নয়। আমরা মানুষের সাথে তাদের প্রাপ্য হিসেবে আচরণ করব না। তারা যোগ্য হোক বা না হোক, আমরা তাদের সাথে প্রেম এবং দয়ার আচরণই করব (১ করিন্থীয় ১৬:১৪)। আমাদের মনে রাখা দরকার যে আমরা যখন অবিশ্বাসী ছিলাম, তখন আমরা ঈশ্বরের প্রেমের জন্য উপযুক্ত ছিলাম না, কিন্তু তিনি সবকিছু নির্বিশেষে আমাদের ভালোবেসেছেন (তীত ৩:২-৩)।
সম্মানের নীতি
► যদি আপনাকে ১০০ টাকার একটা নোট দিই যেটা বেশ ময়লা, আপনি কি সেটা নেবেন? নাকি এটা ময়লা বলে এটিকে প্রত্যাখ্যান করে দেবেন?
আপনি অবশ্যই এটি গ্রহণ করবেন কারণ এটির একটি মূল্য আছে যা এটির অবস্থার উপর নির্ভর করে না।
প্রত্যেক মানুষই সম্মানের যোগ্য কারণ সকল মানুষই ঈশ্বরের প্রতিমূর্তিতে সৃষ্ট (আদিপুস্তক ১:২৭)। ঈশ্বরের প্রতিমূর্তি প্রত্যেক ব্যক্তিকে সহজাত মূল্য প্রদান করে।
কিছু মানুষের উচ্চ বুদ্ধিমত্তা নাও থাকতে পারে। কিছু লোকের দক্ষতা, প্রশিক্ষণ বা অন্য কিছুর অভাব রয়েছে যা তাদের সাধারণ মান অনুসারে সফল বা উপযোগী করে তোলে। তবুও তারা মূল্যবান কারণ তারা ঈশ্বরের প্রতিমূর্তিতে সৃষ্ট।
সকল ব্যক্তিই এই অপরিহার্য মূল্যের অধিকারী, এমনকি যদি তারা তাদের ভুল পছন্দের দ্বারা অন্য উপায়ে নিজেদেরকে কম মূল্যবান করেও তোলে। যারা মাঝপথে স্কুল ছেড়ে দিয়েছে, তাদের স্বাস্থ্য নষ্ট করেছে বা খারাপ অভ্যাস তৈরি করেছে তারা এখনও ঈশ্বরের প্রতিমূর্তিতে সৃষ্ট ব্যক্তি হিসেবে মূল্যবান।
প্রতিটি ব্যক্তির মধ্যে ঈশ্বরের প্রতিমূর্তির অন্তর্নিহিত মূল্যের কারণে, মানুষের মধ্যে প্রতিটি সংযোগে সম্মান প্রদর্শন করা উচিত। সৌজন্যপ্রদর্শন হল ন্যুনতম বিষয়।
কৌশলগত ব্যবহার এবং প্রতারণা – দুটোই ভুল, কারণ প্রত্যেকেই যা কিছু বেছে নেয় তার একটি চিরন্তন পরিণতি আছে, এবং তাদেরকে সিদ্ধান্তের জন্য আসল কারণগুলি জানতে হবে। একজন ব্যক্তিকে ভুল কারণে কিছু ঠিক কাজ করতে প্ররোচিত করা কোনো সফলতা নয়, কারণ সে এখনও সঠিক বিষয়টি বেছে নেয় নি।
লোকেরা আমাদের সাথে ভুল আচরণ করলেও, আমাদের সম্ভাব্য সর্বাধিক পরিমাণে তাদের সাথে ভালো আচরণ করা উচিত। এমনকি ভুলের সংশোধন করা এবং অন্যায়ের শাস্তি দেওয়া [যাদের এটি করার যথাযথ কর্তৃত্ব রয়েছে তাদের দ্বারা ] – দুটোই আমাদেরকে এই সচেতনতার সাথে করতে হবে যে আমরা সেই অমর সত্তাদের সাথে আচরণ করছি যারা ঈশ্বরের প্রকৃতির অংশযুক্ত।
গ্রুপে আলোচনার জন্য
এই নীতিগুলি প্রয়োগ করার প্রচুর উদাহরণ থাকা উচিত।
► শান্তি অনুসরণ করার জন্য যে প্রচেষ্টাগুলি সে করেছিল তার উদাহরগুলি কাউকে সকলের সামনে বলতে বলুন।
► আলোচনা করুন এবং সদস্যদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি চান যে যাদের বিরুদ্ধে তাদের অসন্তোষ রয়েছে তাদেরকে তারা ক্ষমা করবে।
► এমন পরিস্থিতির কথা জানতে চান যখন একজন ব্যক্তি কাউকে তার যতটা প্রাপ্য তার চেয়েও বেশি ভালোবাসা দেখাতে পারে।
► একজন ব্যক্তির আচরণ ভুল হলেও তার সাথে সম্মানজনক আচরণ করার অর্থ কী তা আলোচনা করুন।
কথোপকথনের বাইবেলভিত্তিক নীতিসমূহ
► একটি পুরনো প্রবাদ আছে যেখানে বলা হয়, “তরবারীর চেয়ে কলমের শক্তি বেশি।” এর অর্থ কী?
একটি ধারণার মধ্যে, বোঝানোর মধ্যে, যোগাযোগের মধ্যে শক্তি আছে। আপনি লোকেদের বাধ্য করার চেয়ে অনুপ্রাণিত করার মাধ্যমে অধিক কিছু অর্জন করতে পারেন। একটি ভাবনা - একটি ধারণা - অনেক মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং অনেককে প্রভাবিত করতে পারে।
পবিত্র বাইবেল ভালো বা ক্ষতি করার ক্ষেত্রে শব্দের ক্ষমতা সম্পর্কে কথা বলে (যাকোব ৩)। পরিত্রাণের পরিকল্পনা সুসমাচারের শক্তি দ্বারা সমাপ্ত হয়েছে, যা মানব বার্তাবাহকদের হাতে অর্পিত হয়েছে৷
কীভাবে আমরা আমাদের শব্দগুলিকে ভালো কাজ করার জন্য এবং ক্ষতি এড়ানোর জন্য ব্যবহার করতে পারি? বাইবেল এই বিষয়ে কিছু নীতি প্রদান করে।
(১) অতিরিক্ত কথা বলবেন না।
“এবং বুদ্ধিহীনেরা অনেক কথা বলে...” (উপদেশক ১০:১৪)।
“প্রচুর কথা বলে পাপের অবসান ঘটানো যায় না,কিন্তু বিচক্ষণ লোকজন তাদের জিভকে সংযত রাখে” (হিতোপদেশ ১০:১৯)।
“মূর্খরাও যদি নীরবতা বজায় রাখে তবে তাদের জ্ঞানবান বলে মনে করা হয়, ও যদি তারা তাদের জিভ নিয়ন্ত্রণে রাখে তবে তাদের বিচক্ষণ বলে মনে করা হয়” (হিতোপদেশ ১৭:২৮)।
তাই অতিরিক্ত কথা বলবেন না। একজন অতিরিক্ত কথা বলা ব্যক্তি তার নিজের কথা বা অন্যের কথাকে যথার্থ মূল্য দেয় না। সে এমন কিছু বলে যা আসলে তার উদ্দেশ্য নয়, এবং সে ধরে নেয় যে অন্য লোকেরাও একই কাজ করে। সে জ্ঞান ছাড়াই মতামত দেয়। আপনি জানেন না এমন কিছু সম্পর্কে আপনাকে মতামত দিতে হবে না; প্রতিটি মতামত সমান মূল্যের নয়।
(২) ভাবনা-চিন্তা না করে কথা বলবেন না।
অনুভুতির দ্বারা পরিচালিত হয়ে এমন কোনো কথা বলবেন না যার জন্য আপনাকে পরে অনুশোচনা করতে হবে।
“আমার প্রিয় ভাইবোনেরা, তোমরা এ বিষয়ে মনোনিবেশ করো: প্রত্যেকেই শুনতে আগ্রহী হও ও কথা বলায় ধীর হও এবং ক্রোধে ধীর হও” (যাকোব ১:১৯)।
“মূর্খেরা তাদের সব ক্রোধ প্রকাশ করে ফেলে,কিন্তু জ্ঞানবানেরা শেষ পর্যন্ত তা প্রশমিত করে” (হিতোপদেশ ২৯:১১)।
“যে ধৈর্যশীল সে অত্যন্ত বিচক্ষণ,কিন্তু যে বদরাগি সে মূর্খতাই প্রকাশ করে ফেলে” (হিতোপদেশ ১৪:২৯)।
(৩) প্রথমবার দেখেই কোনো পরিস্থিতিকে বিচার করে নেবেন না।
“শোনার আগেই উত্তর দেওয়া—হল মূর্খতার ও লজ্জার বিষয়” (হিতোপদেশ ১৮:১৩)।
“মামলা-মকদ্দমায় যে প্রথমে কথা বলে তাকেই ততক্ষণ ঠিক বলে মনে করা হয়,যতক্ষণ না অন্য কেউ এগিয়ে আসে ও তাকে জেরা করে” (হিতোপদেশ ১৮:১৭)।
বেশিরভাগ দ্বন্দ্বই ভুল বোঝাবুঝি থেকে শুরু হয়। সাধারণত সময় এবং সচেতনতা সেগুলিকে সমাধান করতে পারে। যদি সততার জন্য খ্যাতিসম্পন্ন কেউ এমন কিছু বলে যা আপনার কাছে ভুল বলে মনে হয়, তবে সেই ব্যক্তিকে বিচার করতে তাড়াহুড়ো করবেন না।
“যে অন্যদের বিবাদে নাক গলায় সে এমন একজনের মতো যে কান ধরে দলছুট কুকুরকে পাকড়াও করে” (হিতোপদেশ ২৬:১৭)।
(৪) হাস্যকৌতুক নিয়ে সচেতন থাকুন।
যেহেতু শব্দ বা কথা প্রভাবশালী, তাই অনিয়ন্ত্রিত রসবোধ পাগলের হাতে অস্ত্রের মতো।
“যে পাগল লোক মৃত্যুজনক জ্বলন্ত তির ছোঁড়ে সে তেমনই,যে তার প্রতিবেশীকে প্রতারণা করে ও বলে, ‘আমি শুধু একটু মশকরা করছিলাম!’” (হিতোপদেশ ২৬:১৮-১৯)।
এমন যেন না হয় যে লোকেরা আপনার কৌতুককে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করে কোনো ভুল করে ফেলে। যদি আপনি কোনো ব্যাপারে স্থিরচিত্ত না থাকেন, তাহলে লোকেদেরকে তা বলবেন না, কারণ এমন করলে তারা পরে আর আপনাকে বিশ্বাস করবে না। যেসব খামতি মানুষ সমাধান করতে পারে না, সেগুলি নিয়ে মজা করো না। কারোর ব্যর্থতা নিয়ে কৌতুক করবেন না। এমন কোনো মজা করবেন না যা পাপকে তুচ্ছ হিসেবে তুলে ধরে।
► কৌতুকের আরো কিছু ভুল ব্যবহার কী কী হতে পারে?
(৫) ভুল ব্যক্তির কাছে কিছু বলবেন না।
“পরনিন্দা পরচর্চা আস্থা ভঙ্গ করে, কিন্তু নির্ভরযোগ্য মানুষ গোপনীয়তা বজায় রাখে” (হিতোপদেশ ১১:১৩)।
কোনোকিছু বলার প্রয়োজন হতে পারে, কিন্তু আপনি সেটি বলার জন্য সঠিক ব্যক্তি নাও হতে পারেন। কর্তৃপক্ষের যে ব্যক্তির এটি বলা উচিত তার জায়গায় আপনার তা বলে দেওয়া উচিত নয়।
লোকেদের ভুল নিয়ে তথ্য ছড়াবেন না।
যদি লোকেরা মনে করে যে আপনি অন্যদেরকে বলে দেবেন, তাহলে লোকেরা তাদের ব্যক্তিগত কথা বা তথ্য আপনার সাথে আলোচনা করবে না।
“তোমার প্রতিবেশীকে যদি তুমি দরবারে টেনে নিয়ে যাও, তবে অন্য কারোর আস্থা ভঙ্গ কোরো না” (হিতোপদেশ ২৫:৯)।
একজন কাপুরুষ মথি ১৮:১৫-১৭ পদে প্রদত্ত পদ্ধতি অনুসরণ করার পরিবর্তে ভুল লোকেদের কাছে তার কার্যকলাপ বলে।
(৬) সমালোচনা নিয়ে সচেতন থাকুন।
সমালোচনা করা সঠিক সময় এবং পদ্ধতি আছে।
“গুপ্ত ভালোবাসার চেয়ে প্রকাশ্য ভর্ৎসনা ভালো। বন্ধুর আঘাতকে বিশ্বাস করা যায়...” (হিতোপদেশ ২৭:৫-৬ক)।
নিশ্চিত করুন যে আপনার সমালোচনার উদ্দেশ্য ভাঙা নয়, বরং গড়ে তোলা। আপনাকে দেখাতে হবে যে আপনি তাদের প্রতি যত্নশীল এবং আপনি তাদের সাহায্য করতে চান। আপনার সমালোচনা সহায়ক হওয়ার আগে সাধারণত একটি স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক থাকা প্রয়োজন।
(৭) প্রতারণা করবেন না।
“পরস্পরের কাছে মিথ্যা কথা বোলো না, কারণ তোমরা তোমাদের পুরোনো সত্তাকে তার কার্যকলাপসহ পরিত্যাগ করে” (কলসীয় ৩:৯)।
ছলনা পাপময় জীবনে মানানসই, খ্রিষ্টীয় জীবনে তা মানায় না।
“সদাপ্রভু মিথ্যাবাদী ঠোঁট ঘৃণা করেন, কিন্তু যারা নির্ভরযোগ্য তাদের নিয়ে তিনি আনন্দ করেন” (হিতোপদেশ ১২:২২)।
(৮) আপনার কথাবার্তা পবিত্র রাখুন।
“কোনও রকম অশ্লীলতা, নির্বোধের মতো কথাবার্তা বা স্থূল রসিকতা যেন শোনা না যায়, কারণ এসবই অসংগত; বরং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করো” (ইফিষীয় ৫:৪)।
নিয়মমাফিক কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য উপযুক্ত না হলে অতীত বা বর্তমান কেলেঙ্কারি সম্পর্কে কথা বলবেন না। এমন কোনো রসিকতা করবেন না যা আপনাকে গোপনে বলতে হবে। জগতের লোকেরা সাধারণত তাদের বিস্ময় প্রকাশের জন্য যৌনতাজনিত শব্দ বা দেহের গোপনাঙ্গ সম্পর্কিত শব্দ ব্যবহার করে, তবে এটি একজন বিশ্বাসীর জন্য উপযুক্ত নয়। মানসিক চাপের সময়ে ঈশ্বর বা যিশুকে বিস্ময়বোধক অনুভূতি প্রকাশের শব্দ হিসেবে ব্যবহার করা অসম্মানজনক, যদি না আপনি আন্তরিকভাবে ঈশ্বরের কাছে সাহায্যের জন্য ডাকছেন।
(৯) আপনার কথার দ্বারা লোকেদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করবেন না।
“বিকৃতমনা লোক বিবাদ বাধায়, ও পরনিন্দা পরচর্চা ঘনিষ্ঠ বন্ধুদেরও বিচ্ছিন্ন করে দেয়” (হিতোপদেশ ১৬:২৮)।
“ছটি জিনিস সদাপ্রভু ঘৃণা করেন, সাতটি জিনিস তাঁর কাছে ঘৃণিত... [সপ্তম] এক লোক যে সমাজে মতবিরোধ উৎপন্ন করে” (হিতোপদেশ ৬:১৬, ১৯)।
অন্যের ক্ষতি করে নিজেকে আরও সুন্দর দেখানোর চেষ্টা করবেন না। অন্যদের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণ হবেন না। পরনিন্দা-পরচর্চার মাধ্যমে কারোর পরিচর্যা কাজের ফলপ্রসূতাকে আঘাত করবেন না।
কথা বলার আগে, কেবল "এটা কি সত্যি?" নয়, বরং "আমি কেন এটা বলব?" এই বিষয়টিও বিবেচনা করুন।
উপসংহার
যদি একজন বিশ্বাসী উপলব্ধি করে যে তার কথার মাধ্যমে সে কোনো ভুল করে ফেলেছে, তাহলে তার ক্ষমা চাওয়া উচিত। যদি সে বুঝতে পারে যে এটি সঠিক ছিল না তবে সে যা বলেছে, তার তা সংশোধন করতে ইচ্ছুক হওয়া উচিত।
অন্যদের ক্ষতিকারক এবং অসম্মানজনক কথা আপনার ভুল কথাকে ন্যায্যতা প্রদান করে না।
কথা বলার ক্ষেত্রে কিছু কিছু ভুল আছে যেগুলিকে আপনি ধীরে ধীরে উন্নত করতে পারেন। যেমন, আপনি কথা বলার আগে চিন্তা করতে শিখতে পারেন। আরও কিছু ত্রুটি রয়েছে যা দেখায় যে সমস্যাটি হৃদয়ে রয়েছে, যেমন আপনার কথায় কাউকে আঘাত করার ইচ্ছা। আপনি যদি এই ধরণের কথার জন্য দোষী হন, তাহলে আপনাকে ঈশ্বরের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এবং সেই প্রবণতা থেকে আপনার হৃদয়কে পরিষ্কার করতে হবে।
আপনার হৃদয়ের সর্বাধিক প্রকাশ আপনার কথার মাধ্যমেই হয় (লূক ৬:৪৫)। এমনভাবে কথা বলে আপনার খ্রিষ্টীয় সাক্ষ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করবেন না যা খ্রিষ্টীয় মূল্যবোধের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
আপনার কথাবার্তা আপনার চারপাশের লোকেদের আশীর্বাদ করতে পারে। সংযোগের উপর ভিত্তি করেই বেশিরভাগ পরিচর্যা কাজ গড়ে ওঠে। আপনি যদি বাইবেলের নীতিগুলি অনুসরণ করেন, আপনার কথাবার্তার প্রভাব অনেক বেড়ে যেতে পারে।
গ্রুপে আলোচনার জন্য
► বেশিরভাগ মানুষই অন্যের কথার দোষ দেখে, কিন্তু নিজেরটা দেখে না। লিডার এমন একটি সময়ের উদাহরণ আলোচনা করতে পারেন যখন তিনি এই নীতিগুলির মধ্যে একটি অনুসরণ করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন বা তিনি স্বীকার করতে পারেন যে তিনি কোনটিতে সবচেয়ে দুর্বল।
► সদস্যদেরকে এমন একটি নীতি বেছে নিতে বলুন যেটিতে তারা দুর্বল এবং তাদেরকে ঈশ্বরের সাহায্যে উন্নতি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার কথা বলুন।
প্রার্থনা
স্বর্গস্থ পিতা,
আমার সমস্ত সম্পর্কে আমাকে শান্তি, প্রেম, এবং সম্মানের শাস্ত্রীয় নীতিসমূহ দ্বারা জীবনযাপন করতে সাহায্য করো।
যারা আমার প্রতি অন্যায় করেছে, আমি তাদের প্রতি ক্ষমাশীল হতে চাই। যারা আমার সাথে বিরোধিতায় আছে, তাদের সাথে পুনর্মিলিত হতে আমাকে সাহায্য করো।
প্রত্যেক ব্যক্তিকে সম্মান করতে আমাকে সাহায্য করো কারণ তারা তোমার প্রতিমূর্তিতে সৃষ্ট। আমাকে আমার কথোপকথনের প্রভাবগুলি মনে রাখতে এবং আমার কথাবার্তার দায়িত্ব নিতে সাহায্য করো৷ আমি চাই আমার কথায় মঙ্গল সাধন হোক; ক্ষতি নয়।
আমি চাই তোমার জন্য আমার যে সাক্ষ্য তা সম্মানিত হোক।
তোমার সত্য প্রকাশের সুযোগের জন্য তোমাকে ধন্যবাদ জানাই।
আমেন
৪ নং পাঠের অ্যাসাইনমেন্ট
(১) যাকোব ৩ অধ্যায় পড়ুন। এখানে বর্ণিত কথোপকথনের মহৎ সম্ভাবনাটি পর্যবেক্ষণ করুন। ১৩-১৮ পদে লক্ষ্য করুন কথা কীভাবে স্বাভাবিকভাবে ব্যক্তির আত্মিক অবস্থা থেকে প্রবাহিত হয়। ইফিষীয় ৪:২৫-৩২ পদ পড়ুন। এই পদগুলির উত্তরে একটি অনুচ্ছেদের মধ্যে আপনার প্রার্থনাটি লিখুন।
(২) ইফিষীয় ৫:২২–৬:৯ অধ্যয়ন করুন। বিভিন্ন সম্পর্কের আচরণের জন্য নির্দিষ্ট নির্দেশাবলী তালিকাভুক্ত এবং ব্যাখ্যা করুন। এই পাঠে আলোচিত প্রেম, শান্তি এবং সম্মানের নীতিগুলির সাথে এই নির্দেশগুলি কীভাবে সম্পর্কিত তার একটি ব্যাখ্যা লিখুন।
(৩) নিচের প্রশ্নগুলোর মধ্যে যেকোনো তিনটি বেছে নিন। প্রত্যেকটির উত্তরের জন্য একটি করে অনুচ্ছেদ লিখুন:
ঈশ্বর আমাদেরকে আমাদের সমস্ত সম্পর্কে শাস্তি বজায় রাখার জন্য আহ্বান করেছেন – এই সত্যটির বাস্তব প্রয়োগগুলি কী কী?
কোনো ব্যক্তির পরিত্রাণ ধরে রাখার জন্য কেন অন্যদেরকে ক্ষমা করা গুরুত্বপূর্ণ?
একজন ব্যক্তির সমস্ত অধিকার ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ করার অর্থ কী?
যারা যোগ্য নয় তাদের জন্য আমাদের ভালোবাসার অনুপ্রেরণা কী?
প্রত্যেকটি মানুষ ঈশ্বরের প্রতিমূর্তিতে সৃষ্ট – এই সত্যটির কীভাবে অন্যদের সাথে আমাদের সম্পর্কগুলিকে প্রভাবিত করা উচিত?
SGC exists to equip rising Christian leaders around the world by providing free, high-quality theological resources. We gladly grant permission for you to print and distribute our courses under these simple guidelines:
No Changes – Course content must not be altered in any way.
No Profit Sales – Printed copies may not be sold for profit.
Free Use for Ministry – Churches, schools, and other training ministries may freely print and distribute copies—even if they charge tuition.
No Unauthorized Translations – Please contact us before translating any course into another language.
All materials remain the copyrighted property of Shepherds Global Classroom. We simply ask that you honor the integrity of the content and mission.