অ্যাপোক্যালিপটিক (অন্তিমকালীন বিষয় সংক্রান্ত) শাস্ত্রের ভূমিকা
অ্যাপোক্যালিপটিক শাস্ত্র (apocalyptic scripture) জগতের মন্দতা ও অবিচার সত্ত্বেও বিশ্বাসে স্থির থাকার সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে। এটা এমন এক সময় সম্বন্ধে বর্ণনা করে, যখন ঈশ্বর হঠাৎ জগতে হস্তক্ষেপ করবেন, মন্দকে শাস্তি দেবেন এবং তাঁর লোকেদের সাহায্য করবেন।[1]
ঈশ্বরের চূড়ান্ত হস্তক্ষেপের সময় প্রায়ই যে শব্দটি ব্যবহার করা হয়, তা হল প্রভুর দিন। পুরাতন নিয়মের কিছু অংশে প্রভুর দিন সম্বন্ধে বর্ণনা করা হয়েছে, যখন পরজাতীয়দের ইস্রায়েলদের প্রতি আচরণের জন্য শাস্তি দেওয়া হবে।[2] অনেক ইহুদি মনে করতে শুরু করেছিল যে, ইহুদি হিসেবে তাদের ঈশ্বরের বিচার থেকে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। ভাববাদীরা তাদের দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন যে তারা যদি পাপী হয়, তা হলে তাদেরও বিচার করা হবে (সফনিয় ১:১২, আমোষ ৫:১৮-২৭) এবং তারা কেবল ইহুদি বলেই তাদের রেহাই দেওয়া হবে না।কিন্তু এই ধারণাটি থেকেই গিয়েছিল।
ইহুদিদের পক্ষে এই সত্যটি মেনে নেওয়া কঠিন ছিল যে তাদের পরিত্রাণ পাওয়ার প্রয়োজন ছিল। উদাহরণস্বরূপ, বাপ্তিস্ম ছিল এমন এক অনুষ্ঠান যা তারা পরজাতীয়দের ইহুদি ধর্মে আনতে ব্যবহার করত। তারা ইহুদিদের বাপ্তাইজিত করত না। যোহন বাপ্তাইজক ইহুদিদেরকে বাপ্তাইজিত করেছিলেন আর তার কাজ কিছু ইহুদিকে অসন্তুষ্ট করেছিল, যারা মনে করেছিল যে তাদের বাপ্তিস্ম নেওয়ার বা অনুতপ্ত হওয়ার প্রয়োজন নেই। তারা ভেবেছিল যে তারা ঈশ্বরের অনুগ্রহ পেয়েছে কারণ তারা হল অব্রাহামের সন্তান (মথি ৩:৯)।
রোমীয় পুস্তকে পৌল ক্রোধের দিন (২:৫) এবং সেই দিন সম্বন্ধে উল্লেখ করেছিলেন যখন ঈশ্বর বিচার করবেন (২:১৬) এই বিবরণগুলি ১:১৬-১৮ পদে তার বিষয়বস্তু করে - সুসমাচার হল ঈশ্বরের ক্রোধ থেকে পরিত্রাণ। ২:২-৩ পদে তিনি আত্ম-ধার্মিক ইহুদীদের অবাক করে দিয়ে বলেন যে, তাদেরও প্রভুর দিনকে ভয় পাওয়ার কারণ রয়েছে। এমনকি ইহূদীদেরও পরিত্রাণ প্রয়োজন।
[1]পুরাতন নিয়মের অ্যাপোক্যালিপটিক শাস্ত্রের মধ্যে রয়েছে দানিয়েল, সখরিয়, যোয়েল, যিহিষ্কেল ৩৭-৩৯ এবং যিশাইয় ২৪-২৭ অধ্যায়। নতুন নিয়মে আমরা পাই মথি ২৪, লূক ২১, মার্ক ১৩, ২ থিষলনীকীয় ২ এবং প্রকাশিত বাক্য।
এই পাঠে আমরা রোমীয় পুস্তকের ২য় পর্ব অধ্যয়ন করতে চলেছি। শেষ পাঠে আমরা সেই অংশটি অধ্যয়ন করেছিলাম যা পরজাতীয়দের ত্রুটি বর্ণনা করে। এই প্যাসেজটি (২:১-২৯) ইস্রায়েলীয় ত্রুটি বর্ণনা করে।
১:১৮-৩:২০ হল ২য় পর্ব। এই পর্বের প্রধান বিষয় হল যে পৃথিবীর প্রত্যেকেই ঈশ্বরের দাবিগুলি লঙ্ঘন করেছে এবং দণ্ডাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে। ঈশ্বরের চাহিদা পূরণের ভিত্তিতে কেউই পরিত্রাণ পেতে পারে, না কারণ প্রত্যেক ব্যক্তি ইতিমধ্যেই সেগুলি লঙ্ঘন করেছে।
প্রথমত, পৌল ব্যাখ্যা করেছেন যে পরজাতীয়রা ঈশ্বরবিষয়ক জ্ঞানকে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং মূর্তি ও পাপপূর্ণ আকাঙ্ক্ষার প্রতি ফিরেছে। এরপর তিনি ইস্রায়েলীয়দের অবস্থা বর্ণনা করেছেন, যাদের কাছে ঈশ্বরের আইন ছিল কিন্তু তারা তা পালন করেনি। আমরা এখন ইস্রায়েলীয়দের সম্বন্ধে যে-অনুচ্ছেদটি রয়েছে তা অধ্যয়ন করব।
এখানে পৌল তৃতীয় ব্যক্তি (তারা) থেকে দ্বিতীয় ব্যক্তি (আপনি) -তে পরিবর্তন করেছেন। তিনি সেই সমস্ত মানুষদের সঙ্গে কথা বলছিলেন, যারা মনে করেছিল যে সুসমাচার তাদের জন্য প্রযোজ্য নয় কারণ তারা ইতিমধ্যেই ধার্মিকতার এক মানদণ্ড পূরণ করেছে। বেশির ভাগ ইহুদি সেই শ্রেণীতে ছিল আর এই অংশটি নির্দিষ্টভাবে তাদের জন্য (২:১৭)। কিন্তু উচ্চ নৈতিকতার পরজাতীয়রাও হয়তো একই ভুল ধারণার মধ্যে থাকতে পারে। তিনি দেখান যে, যে-ব্যক্তি অনুগ্রহ ছাড়াই নিজেকে নির্দোষ বলে মনে করেন, সে ভণ্ড এবং দোষী।
২ অধ্যায়ের মূল পয়েন্ট
পরজাতীয়রা যে পাপ করে, সেই একই পাপের জন্য যিহুদিরা দোষী আর একইভাবে ঈশ্বর তাদের বিচার করবেন।
২ অধ্যায়ের সারসংক্ষেপ
২:১, ১১ পদ মূল বিষয়টি তুলে ধরে। ২:১ পদ বলে যে ইহুদিরাও সমানভাবে দোষী; ২:১১ পদ বলে যে ঈশ্বর পক্ষপাতহীন। অধ্যায়টির বাকি অংশ এই পদগুলির বিবৃতির জন্য একটি কেস সাজায়। তারা ক্ষমার অযোগ্য, ঠিক যেমন বিধর্মীদের অজুহাত দেবার কিছু নেই (১:২০)।
২:১৩, ১৭ পদ দেখায় যে, কেন ইহুদিরা বিশেষ সুবিধা পাওয়ার আশা করেছিল - কারণ তারা ঈশ্বরের প্রত্যাদেশ (revelation) লাভ করেছিল এবং এর উপর ভিত্তি করে তারা ধর্ম (religion) তৈরী করা করেছিল। রোমীয় ১ অধ্যায়ে পৌল এই বিষয়টি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যে, পরজাতীয়রা বিচারের যোগ্য। প্রত্যেক ইহুদীই এ বিষয়ে একমত হবে। কিন্তু ২:১ পদে পৌল ইহুদিদের অপরাধ প্রকাশ করে যাদের সন্ত্রাসিত করেন। এ ছাড়া, তারা ব্যবস্থা লঙ্ঘন করেছে এবং পরজাতীয়দের মতো একই বিবিচারের যোগ্য! তারা আশা করেছিল যে, তাদের ক্ষমা করা হবে কারণ তারা ছিল ইহুদি, যারা ঈশ্বরের ব্যবস্থা মেনে নিয়েছিল এবং তাদের কাছে সঠিক ধর্ম (religion) ছিল।
বর্তমানে লক্ষ লক্ষ মানুষ এই শ্রেণীতে রয়েছে। তারা মনে করে যে ঈশ্বর তাদেরকে গ্রহণ করেছেন, কারণ তারা ঈশ্বরে বিশ্বাস করে এবং ধর্মীয় রীতিনীতি পালন সঙ্গে সঙ্গে পাপ করেই চলে।
► আপনার সমাজে কি এমন অনেক লোক রয়েছে, যারা ভুলভাবে নিজেদেরকে মনে করে যে তারা খ্রিষ্টবিশ্বাসী? কেন তারা এমন মনে করেন?
► একজন শিক্ষার্থীকে গ্রুপের জন্য রোমীয় ২:১-২৯ পড়তে হবে।
পদের টীকাভাষ্য
(২:১) ইহুদিদের কোনো অজুহাতই ছিল না, যা সেই পরজাতীয়দের অবস্থার অনুরূপ ছিল, যারা অজুহাতহীন ছিল (১:২০)। এই ধারণাটি একজন আত্ম-ধার্মিক ইহুদির কাছে ঠিক ততটাই মর্মান্তিক ছিল, যেমনটি আধুনিক ব্যক্তির কাছে হবে যিনি মনে করেন যে, তিনি যথেষ্ট ভাল।
অন্যদের বিচার করার দ্বারা তারা নিজেদের দোষী সাব্যস্ত করে তুলেছিল, কারণ তারা একই পাপের জন্য দোষী ছিল। সত্য সম্বন্ধে তাদের জ্ঞান থাকার কারণে তাদের দায়িত্বও বেশি ছিল। যিশু বলেছিলেন যে, ইস্রায়েলের কিছু নগরের বিচার সদোম ও ঘমোরার চেয়েও মন্দ হবে (মথি ১১:২১-২৪)।
এই পদটি এমন একজন ব্যক্তিকে নির্দেশ করে যে মনে করেন যে সে অন্যদের বিচার করতে পারে এবং নিজেকে নির্দোষ বলে গণ্য করতে পারে। অধ্যায়টির বাকি অংশ ঈশ্বরকে বিচারকের ভূমিকায় রাখে এবং দেখায় যে তাঁর বিচার তাদের থেকে কতটা ভিন্ন যারা নিজেদের প্রতি আনুকূল্যদেখায়।
(২:২-৩) ঈশ্বরের বিচার এক নিখুঁত মান অনুযায়ী হয়। মানুষের অস্থিতিশীল ও বেঠিক মান দ্বারা ঈশ্বর বিচার করেন না।
(২:৪) ঈশ্বর ইহুদিদের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিয়েছিলেন, তাই তারা ভেবেছিল যে তিনি তাদের পক্ষে ন্যায়বিচারকে বাঁকাবেন। প্রকৃতপক্ষে, তাদের প্রতি ঈশ্বরের মঙ্গলভাবের উদ্দেশ্য ছিল তাদেরকে অনুতাপের দিকে পরিচালিত করা, ন্যায়বিচার বাতিল করা নয়। অনেক মানুষ এটিকে নিছক উদারতা ও সহনশীলতা হিসেবে দেখে ঈশ্বরের মঙ্গলভাবকে তুচ্ছ করে। জাগতিক মানুষ ঈশ্বরের কাছ থেকে যা চায় তা হল বৈষয়িক উপকার ও সেইসঙ্গে তার পাপের প্রতি সহনশীলতা। ঈশ্বরের মঙ্গলভাবকে এইভাবে দেখা হল সেটিকে তুচ্ছ করা। যারা ঈশ্বর সম্বন্ধে জানে, তারা আরও বেশি দোষী কারণ তাঁর মঙ্গলভাব তাদেরকে অনুতপ্ত হওয়ার সুযোগ করে দেয়।
(২:৫) অনুতাপ করার পরিবর্তে তারা পাপ করতে থাকায়, সময়ের বিলম্বে (ঈশ্বরের) ক্রোধ জমা হতে থাকে। যেহেতু তারা সত্য জানত, তাই তারা আরও বেশি দায়বদ্ধ ছিল এবং সেই কারণে ঈশ্বরের ক্রোধ তাদের অবাধ্যতার বিরুদ্ধে বৃদ্ধি পেয়েছিল।
(এই পাঠের পরবর্তী অংশ বোঝার জন্য নিম্নলিখিত বিভাগটি গুরুত্বপূর্ণ।)
কাজের বিচার
► আমরা যখন বিচারের মুখোমুখি হব, তখন পৃথিবীতে আমরা যা-কিছু করেছি, সেগুলি কি গুরুত্বপূর্ণ হবে?
শেষ বিচারে (final judgment) কাজের মূল্যায়ন হবে। ঈশ্বর মানুষকে তাদের কাজ অনুযায়ী শাস্তি দেবেন এবং পুরস্কৃত করবেন। ভিন্ন ভিন্ন মানুষের জন্য ভিন্ন ভিন্ন স্তরের শাস্তি ও পুরস্কার থাকবে (ইব্রীয় ২:২, ইব্রীয় ১০:২৮-২৯, মথি ১০:৪২, লূক ১২:৪৭-৪৮, ২ করিন্থীয় ৫:১০)।
পাপীদের কেবল অবিশ্বাসের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয় এই ধারণাটি শাস্ত্রীয় নয়। প্রকাশিত বাক্য ২০:১২ পদে, লোকেদের তাদের কাজের রেকর্ড অনুযায়ী বিচার করা হয়। ২ করিন্থীয় ৫:১০ পদ বলে যে আমরা সকলে, বিশ্বাসীদের সহ, আমাদের কাজের জন্য বিচার করা হবে। ১ করিন্থীয় ৩:১২-১৫ পদ দেখায় যে খ্রিষ্টবিশ্বাসীরা তাদের উদ্দেশ্য ও অধ্যবসায়, এবং তাদের কর্মদক্ষতার গুণমানের (স্বর্ণ, রৌপ্য, মূল্যবান পাথর; কাঠ, খড়, নাড়া) উপর নির্ভর করে বিভিন্ন পুরস্কার পাবে। সমস্ত খ্রিষ্টবিশ্বাসীকে পুরস্কৃত করা হবে কারণ সমস্ত প্রকৃত খ্রিষ্টবিশ্বাসী সৎকর্ম করে, কিন্তু তাদের সমস্ত কাজ সমানভাবে মূল্যবান নয়। বিশ্বাসীদের যে কাজগুলি গুণমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে না সেগুলি আগুনে পুড়ে যাবে।
রোমীয় ২ ইঙ্গিত যে কিছু মানুষ যারা নতুন নিয়মের সুসমাচার শোনেননি তারা তাদের কাজের জন্য দোষী হবে না (২:৭, ১০, ১৩, ২৬-২৭ দেখুন)। এর অর্থ এই নয় যে এমন কিছু মানুষ রয়েছে যারা কখনও পাপ করেনি এবং তাই অনুগ্রহ ছাড়াই কাজ দ্বারা গৃহীত হতে পারে; কারণ ৩:১৯-২০ পদ বলে যে সবাই পাপ করেছে। যাদের কাজগুলি গৃহীত হয় তারা এমন মানুষ যাদের অনুগ্রহের অভিজ্ঞতা রয়েছে যাকে 'হৃদয়ের ত্বক্চ্ছেদ' বলা হয়। তাদের কাজগুলি ঈশ্বর অনুমোদন করেন (২:২৯)।
হৃদয়ে অনুগ্রহের এই কাজের প্রতিশ্রুতিটি পুরাতন নিয়মের সময়ে দেওয়া হয়েছিলঃ
তোমরা যাতে তোমাদের সমস্ত মন ও তোমাদের সমস্ত প্রাণ দিয়ে তাঁকে ভালোবেসে বেঁচে থাকো সেইজন্য তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের ও তোমাদের বংশধরদের হৃদয়ের সুন্নত করবেন। (দ্বিতীয় বিবরণ ৩০:৬)
অতএব, আমরা জানি যে প্রাচীন ইহুদিরা অনুগ্রহের দ্বারা রক্ষা পেয়েছিল, কাজের দ্বারা নয়।
এই অনুগ্রহ পরজাতীয়দের জন্য প্রাপ্তিসাধ্য ছিল, তা তারা ‘বিশেষ প্রকাশ’ (Special Revelation) লাভ করুক বা না-ই করুক।
তখন পিতর কথা বলা শুরু করলেন: “এখন আমি বুঝতে পারছি যে, একথা কেমন সত্যি যে ঈশ্বর পক্ষপাতিত্ব করেন না, কিন্তু যারাই তাঁকে ভয় করে ও ন্যায়সংগত আচরণ করে, সেইসব জাতির মানুষকে তিনি গ্রহণ করেন।(প্রেরিত ১০:৩৪-৩৫)
ন্যায়নিষ্ঠ কাজগুলি করা হয় হৃদয়ের পরিবর্তন থেকে, যা ঈশ্বরের প্রতি আনুগত্য প্রমাণ করে। রোমীয় ২:১৩, ১৬ পদে বলা চূড়ান্ত ধার্মিকগণিত হওয়ার (final justification) ভিত্তি হল এই প্রমাণ, শেষ বিচারে ধার্মিকগণনা।
এই প্যাসেজটি শিক্ষা দেয় না যে একজন ব্যক্তি কাজের দ্বারা পরিত্রাণ পেতে পারে, কিন্তু প্রকৃত বাধ্যতাই হল গুরুত্বপূর্ণ, কেবল ব্যবস্থার অধিকারত্ব নয়। এটি শাস্ত্রাংশের এই পয়েন্টটিকে সমর্থন করে: ইহুদিদেরও পরিত্রাণের প্রয়োজন কারণ তারা অবাধ্য হয়েছে।
প্যাসেজের অধ্যয়ন - রোমীয় ২য় পর্ব, ২ নং প্যাসেজ
পদের টীকাভাষ্য (অব্যাহত)
(২:৭) ঈশ্বর তাদের অনন্ত জীবন দান করেন যারা ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করে এমন কাজগুলিতে অবিচল থাকার মাধ্যমে ঈশ্বরের কাছ থেকে পাওয়া সম্মানের সন্ধান করে৷
(২:৯) এখানে আমরা দেখতে পাই যে ইহুদিদের বিশেষাধিকারগুলি আরও বেশি দায়বদ্ধতা নিয়ে আসে। যেহেতু সুসমাচার প্রথমে ইহুদিদের কাছে এসেছিল, তাই তারা প্রথম বিচারের যোগ্য।
(২:১১) এটি অধ্যায়ের একটি মুখ্য পদ। নিঃসন্দেহ যারা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে তাদের বিচার করা হবে, আতারা ধর্মনিষ্ঠ বলে কোন প্রশ্রয় পাবে না।
যাকবের দৃষ্টিভঙ্গি
যাকোব বলেন যে, একজন মানুষ শুধুমাত্র বিশ্বাসের দ্বারাই নয়, কিন্তু কাজের মাধ্যমেও ধার্মিকগণিত (justified) হয় (যাকোব ২:২৪)। কিন্তু, ইফিষীয় ২:৮ পদে পৌল বলেছেন যে, আমরা অনুগ্রহ দ্বারা পরিত্রাণ পেয়েছি, কাজের দ্বারা নয়। রোমীয় ৩:২৮ পদে তিনি বলেছেন যে একজন ব্যক্তি ব্যবস্থার কাজ ছাড়াই বিশ্বাসের দ্বারা ধার্মিকগণিত হয়।
তাহলে, আমরা কি একসঙ্গে কাজ ও বিশ্বাসের দ্বারা ধার্মিকগণিত হই? যাকোব ও পৌল কি একে অপরের বিরোধিতা করেছিলেন? না, কারণ তারা একই বিষয় নিয়ে কথা বলছিলেন না।
পৌল ঈশ্বরের সামনে একজন ব্যক্তি কিভাবে ধার্মিকগণিত হয় সে সম্পর্কে কথা বলছিলেন। একজন ব্যক্তি বিশ্বাসের মাধ্যমে অনুগ্রহ দ্বারা ধার্মিকগণিত হন।
যাকোব কথা বলছেন কিভাবে একজন ব্যক্তি অন্যদের কাছে ন্যায্য হন। একজন ব্যক্তি বিশ্বস্তভাবে জীবনযাপন করার মাধ্যমে দেখান যে তার কাছে উদ্ধারকারী বিশ্বাস আছে।
যাকোবের পত্রের মূল বিষয় হল প্রমাণ করা যে প্রকৃত বিশ্বাস দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োগ করা হয়। তিনি বলেন যে, অব্রাহাম তার কাজের দ্বারা ধার্মিক ছিলেন। একজন ব্যক্তিকে একসাথে বিশ্বাস ও কাজের দ্বারা ধার্মিক হতে দেখা যায়। আমরা জানি যে একজন ব্যক্তি একজন খ্রিষ্টবিশ্বাসী, যদি সে নিজেকে একজন খ্রিষ্টবিশ্বাসী বলে দাবি করে এবং একজন খ্রিষ্টবিশ্বাসীর মতো জীবনযাপন করে।
এছাড়া, পৌল এও নিশ্চিত করেছিলেন যে উত্তম কাজগুলি বিশ্বাসকে অনুসরণ করে। আমরা বিশ্বাস দ্বারা পরিত্রাণ পাই, এই কথা বলার পরই ইফিষীয় ২:১০ পদে পৌল বলেছিলেন যে আমরা খ্রিষ্ট যিশুতে উত্তম কাজের জন্য সৃষ্ট হয়েছি।
যাকোব ও পৌল একে অপরের বিরোধিতা করেন নি। তারা উভয়েই একমত যে উদ্ধারকারী বিশ্বাস একজন ব্যক্তিকে ঈশ্বরের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলে এবং মন পরিবর্তনের পরে আসা কাজগুলি দেখায় যে একজন ব্যক্তিকে পরিত্রাণ পেয়েছে।
প্যাসেজের অধ্যয়ন - রোমীয় ২য় পর্ব, ২ নং প্যাসেজ
পদের টীকাভাষ্য (অব্যাহত)
(২:১২) লিখিত আইন তাদের জন্য বিচারের মান হবে না, যারা এটি কখনও শোনেনি। ঈশ্বর তাদের কাছে অন্যান্য উপায়ে যে আইন প্রকাশ করেছেন তার দ্বারা তারা দোষীসাব্যস্ত হবে। (দেখুন ১:২০, ২:১৫)
(২:১৩) সেগুলি অন্তিম বিচারে ধার্মিকগণিত হওয়ার বিষয় হবে। কিছু মানুষ আশা করেছিল যে তারা ধার্মিকগণিত হবে কারণ তারা আইনের অধিকারী ছিল। কিন্তু বাধ্য না হয়ে কেবল আইনের জ্ঞান কাউকে ধার্মিকগণিত করে না।
(২:১৪) তারা হয়তো স্বভাববসত সঠিক কাজ করতে পারে, এর অর্থ এই নয় যে তারা ঈশ্বর ছাড়াই স্বাভাবিকভাবে ভাল। ২:১৫ পদ দেখায় যে, ঈশ্বর তাদের হৃদয়ে ও বিবেককে যে আইন লিখে রেখেছেন, সেটির কারণেই তারা যা সঠিক তা করতে পারে। "স্বাভাবিকভাবে"-র অর্থ হল, লিখিত শাস্ত্র ছাড়াই ঈশ্বর তাদের স্বভাব যা প্রকাশ করে তা তারা করে।
(২:১৫) যাদের লিখিত আইন নেই, তাদের নৈতিক স্বভাব রয়েছে এবং তারা নির্দিষ্ট পছন্দ করতে পারে। এর অর্থ এই নয় যে, বিবেক পুরোপুরি নির্ভরযোগ্য। পরিবেশ ও শিক্ষার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বিবেক সম্পূর্ণ নির্ভুল নয়, কিন্তু এটি একটি নির্দেশিকা যা সাধারণভাবে সঠিক। কিন্তু, সমস্ত সমস্ত পাপী, এমনকি সেই মান অনুসারে, কারণ তারা সবসময় যা সঠিক তা করেনি।
২:১৫, ১৬ পদ দেখায় যে, বিচার শুধুমাত্র বাহ্যিক কাজগুলির জন্যই নয় কিন্তু উদ্দেশ্যেরও জন্য হবে। (এই পদগুলি হৃদয়, চিন্তা, বিবেক ও গোপনীয়তারকথা বলে।)
(২:১৬) এই প্যাসেজে আলোচিত ধার্মিকগণনা হওয়া (২:১৩ পদে উল্লেখিত) বিশ্বাসের দ্বারা ধার্মিকগণিত হওয়া হওয়ার কোনো বিকল্প নয়। এটা চূড়ান্ত ধার্মিকগণনা, শেষ বিচারে ধার্মিকগণিত হওয়া।
বিচারের এই নীতিগুলি পৌলের প্রচারিত সুসমাচারের জন্য অপরিহার্য ছিল। ক্ষমাহীনদের উপর ঈশ্বরের যে বিচার আসবে সে সম্বন্ধে বোধগম্যতা ছাড়া সুসমাচারের ক্ষমার সু-সংবাদটি তাৎপর্যপূর্ণ নয়। যে কোন ভ্রান্তি যা ঈশ্বরের ন্যায়বিচারের সঠিক দৃষ্টিভঙ্গিকে অবমূল্যায়ন করে, তা সুসমাচারকেও অবমূল্যায়ন করবে।
বিধর্মী অনধিগম্যদের (Unreached) জন্য আশা
► যারা সুসমাচার শোনেনি তাদের কী হবে? তারা যদি আরও ভাল কিছু না জানে, তা হলে কীভাবে তারা পাপের জন্য বিচার পাওয়ার যোগ্য?
রোমীয় ২:১৪-১৬ পদ ইঙ্গিত করে যে, এমন কিছু ব্যক্তি রয়েছে, যারা সঠিক কাজ করা বেছে নেয় আর তাই তাদেরকে দোষীসাব্যস্ত করা হবে না। কিন্তু, আমরা জানি যে কাজ দ্বারা কেউ রক্ষা পাবে না। প্রত্যেকেই আইন ভঙ্গ করেছে এবং বিচারের যোগ্য (৩:৯-১০, ১৯-২০)। কোনো ব্যক্তিকে তার কাজের যোগ্যতায় রক্ষা করা যায় না। তাই, যদি একজন অপ্রচারিত (unevangelized) ব্যক্তিকে রক্ষা করা হয়, তা হলে তা অবশ্যই প্রায়শ্চিত্তের (atonement) মাধ্যমে হবে, এমনকি যদি সে সুসমাচার নাও শুনে থাকে।
একজন ব্যক্তি যদি ঈশ্বরকে সম্মান করেন, তা হলে ঈশ্বর তাকে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার পথ দেখাবেন। গীতসংহিতা ২৫:১৪ পদ বলে, “যারা তাঁকে সম্ভ্রম করে সদাপ্রভু গুপ্ত বিষয় তাদের কাছে ব্যক্ত করেন; তিনি তাঁর নিয়ম তাদের কাছে প্রকাশ করেন।” ঈশ্বরের নিয়ম (covenant) আমাদের দেখায় যে তাঁর সাথে সম্পর্কের জন্য কী প্রয়োজন। ঈশ্বরের সঙ্গে সম্পর্কের জন্য প্রয়োজন হয় অনুগ্রহের, কারণ সমস্ত লোক পাপ করেছে।
ইয়োব, বিলিয়ম এবং নোহের মতো মানুষেরা ঈশ্বরকে জানত, যদিও তাদের কাছে কোনো ধর্মগ্রন্থ ছিল না। তাদের মধ্যে মেল্কীষেদক ছিলেন, যিনি ঈশ্বরের একজন যাজক ছিলেন, যদিও ঈশ্বর পরবর্তীকালে ইস্রায়েলের মাধ্যমে যা করেছিলেন তার সঙ্গে তার কোন সম্পর্ক ছিল না। ঈশ্বর যেকোনো সংস্কৃতি ও সময়ে নিজেকে প্রকাশ করতে পারেন। (এ ছাড়া, গীতসংহিতা ১৯:১-৪, রোমীয় ১০:১৮ পদ দেখুন।) রোমীয় ১ অধ্যায়ের মূর্তিপূজকরা একটি পতিত (depraved) অবস্থায় ছিল না কারণ তারা কখনোই ঈশ্বর সম্পর্কে জানত না, কিন্তু তারা যা জানত তা প্রত্যাখ্যান করেছিল।
একজন বিধর্মী মানুষ কি কখনও সুসমাচার না শুনেই পরিত্রাণ পেতে পারে? এযদি একজন ব্যক্তি তার কাছে থাকা সত্যকে অনুসরণ করে, তাহলে ঈশ্বর তাকে ক্ষমাপ্রার্থী হতে ও ক্ষমার অন্বেষণে যথেষ্ট পরিচালিত করবেন। এটি হল অনুগ্রহের দ্বারা পরিত্রাণ, কাজের দ্বারা নয়। এএটি কাজ দ্বারা পরিত্রাণের বিপরীত যা বেশিরভাগ ধর্ম প্রস্তাব করে।
সুতরাং, একজন ব্যক্তি যদি সুসমাচার না শুনেই পরিত্রাণ পেতে পারে, তাহলে আমাদের জন্য সুসমাচার প্রচার করা জরুরি কেন? এই প্রশ্নের উত্তর পরবর্তী অংশে দেওয়া হবে।
প্যাসেজের অধ্যয়ন - রোমীয় ২য় পর্ব, ২ নং প্যাসেজ
পদের টীকাভাষ্য (অব্যাহত)
(২:১৭-২০) ইহুদিরা কপট ছিল কারণ তারা আইন শিক্ষা দিত যদিও তারা সেগুলি লঙ্ঘন করত। তারা ব্যবস্থার অধিকারী, ন্যায় নির্ধারণকারী, এবং অজ্ঞদের শিক্ষক হিসেবে তাদের ভূমিকা উপভোগ করেছিল। পৌল তাদের উচ্চ দাবিগুলি তালিকাবদ্ধ করার সময় এখানে কটাক্ষ করেছেন।
বাইবেল এমনকি এমন এক সমাজেও সর্বাধিক বিক্রিত বই হতে পারে, যেটি আরও বেশি অধার্মিক হয়ে উঠছে। এটি দেখায় যে, মানুষ ঈশ্বরের আইন মেনে না চললেও এর মূল্য বুঝতে পারে, এমনকি যদিও তারা তা পালন করে না।
ঈশ্বরের সঙ্গে সম্পর্কের আধ্যাত্মিক বাস্তবতা হারিয়ে ফেলার পর মানুষ প্রায়শই পাপ ঢাকার জন্য ধর্মের একটি অবয়ব বজায় রাখে।
(২:২১-২৪) ইহুদিরা আইনের ভিত্তিতে পরজাতীয়দের দোষারোপ করা উপভোগ করেছিল, কিন্তু তারা নিজেরা সম্পূর্ণরূপে তা মেনে চলেনি। তারা উচ্চ আধ্যাত্মিক মর্যাদা দাবি করলেও পাপে জীবনযাপন করার দ্বারা ঈশ্বরকে অসম্মান করেছিল। একইভাবে, খ্রিষ্টধর্মের প্রতি সবচেয়ে প্রচলিত আপত্তি হল যে, খ্রিষ্টবিশ্বাসীরা যা বিশ্বাস করে বলে দাবি করে, তারা সেটার উত্তম উদাহরণ নয়।
(২:২৫) যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা পুরো আইন পালন করে, ততক্ষণ পর্যন্ত তারা ত্বকচ্ছেদের ভিত্তিতে ঈশ্বরের সামনে ধার্মিক বলে দাবি করতে পারে না। যদি তারা আইন ভঙ্গ করে, তবে তারা অছিন্নত্বকদের সমান ছিল।
ত্বকচ্ছেদের পরিভাষা
► ত্বক্চ্ছেদের তাৎপর্য কী ছিল?
ইহুদিরা এই পৃথিবীতে দুই শ্রেণীর লোককে দেখেছিল: যারা ঈশ্বরের সঙ্গে চুক্তিতে (covenant) থাকার যোগ্য ছিল এবং যারা তা ছিল না। ত্বকচ্ছেদ ইস্রায়েল ও ঈশ্বরের মধ্যে চুক্তির একটি চিহ্ন হিসেবে দেওয়া হয়েছিল,কিন্তু পরবর্তীকালে এটি চুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত শর্তের প্রতিনিধিত্ব করছিল। তাই, ইহুদিরা পৃথিবীর দুই শ্রেণীর মানুষদের চ্ছিন্নত্বক ও অচ্ছিন্নত্বক বলে অভিহিত করত। পৌলের কথায়, সাধারণত চুক্তিতে থাকার উপায় হিসাবে ছিন্নত্বক্ হওয়া ছিল ইহুদিধর্মের পুরো ব্যবস্থাকে অনুসরণ করা। (শব্দটির এই ব্যবহারের উদাহরণের জন্য গালাতীয় ৫:২-৩ দেখুন।) সেই অর্থে, ত্বক্চ্ছেদ করানো ছিল অনুগ্রহের পরিবর্তে কাজের দ্বারা পরিত্রাণ পাওয়ার চেষ্টা।
প্যাসেজের অধ্যয়ন - রোমীয় ২য় পর্ব, ২ নং প্যাসেজ
পদের টীকাভাষ্য (অব্যাহত)
(২:২৬) একজন অছিন্নত্বক্ ব্যক্তি যদি আইনের প্রকৃত উদ্দেশ্য পূরণ করেন, তাহলে ঈশ্বর তার ত্বকচ্ছেদ না হওয়ার জন্য তাকে দোষীসাব্যস্ত করবেন না।
(২:২৭) একজন ধার্মিক পরজাতীয় এবং একজন পাপী ইহুদির মধ্যে বৈসাদৃশ্য দেখায় যে ইহূদীই দোষী, যদিও তার কাছে ইহূদী-ধর্ম আছে। একইভাবে, নোহ তার ধার্মিকতার দ্বারা জগৎকে দোষীসাব্যস্ত করেছিলেন কারণ তিনি দেখিয়েছিলেন যে প্রকৃত আনুগত্য কী (ইব্রীয় ১১:৭)।
(২:২৮-২৯) ত্বকচ্ছেদ ছিল একজন ইহুদির পরিচয়ের চিহ্ন, যা প্রমাণ করত যে সে ঈশ্বরের লোকদের একজন। দ্বিতীয় বিবরণ ৩০:৬ পদে এবং নতুন নিয়মের বেশ কিছু স্থানে ত্বকচ্ছেদ পবিত্র আত্মার কাজকে চিত্রিত করে, যখন তিনি ঈশ্বরের প্রতি প্রেম ও বাধ্য হওয়ার জন্য পাপীর হৃদয় পরিবর্তন করেন।[1] এটিই হল একজন খ্রিষ্টবিশ্বাসী কাছে ত্বকচ্ছেদের তাৎপর্য।
► একজন শিক্ষার্থীকে গ্রুপের জন্য দ্বিতীয় বিবরণ ৩০:৬ পড়তে হবে।
ঈশ্বর প্রাচীন ইস্রায়েলীয়দের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে তিনি তাদের হৃদয়ে অনুগ্রহের একটি অপারেশন করবেন। এটা কেবল তাদের বংশধরদের জন্যই নয়, সেই সময়কার মানুষরা যারা এই বার্তা শুনেছিল তাদের জন্যও ছিল।
এই অধ্যায়ে বর্ণিত ব্যক্তি যিনি শাস্ত্র না জেনেই ধার্মিকতার কাজ করেন, তিনি হলেন এমন একজন ব্যক্তি যিনি তার সত্য গ্রহণ করে বিশ্বাসের মাধ্যমে অনুগ্রহ লাভ করেছেন।
ঈশ্বর সর্বদা আনুষ্ঠানিকতা (formalism) এবং আইনবাদের (legalism) পরিবর্তে হৃদয় থেকে আনুগত্য চেয়েছেন, এবং সকল জাতির জনগণের প্রতি অনুগ্রহ প্রদর্শন করে। যিশাইয় ৫৬:৬-৭ পদ দেখুন।
যে বিদেশিরা সদাপ্রভুর সেবা করার জন্য, তাঁকে ভালোবাসার জন্য ও তাঁর আরাধনা করার জন্য তাঁর কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়, যারাই সাব্বাথ-দিন অপবিত্র না করে তা পালন করে ও যারা আমার নিয়ম অবিচলভাবে পালন করে—তাদের আমি আমার পবিত্র পর্বতে নিয়ে আসব এবং আমার প্রার্থনা-গৃহে তাদের আনন্দ দেব। তাদের দেওয়া হোমবলি ও অন্যান্য নৈবেদ্য আমার বেদিতে গ্রহণ করা হবে; কারণ আমার গৃহ আখ্যাত হবে সর্বজাতির প্রার্থনা-গৃহ বলে।”
৩ নং পাঠের পর্যালোচনামূলক প্রশ্ন
(১) অ্যাপোক্যালিপটিক শাস্ত্র কী বর্ণনা করে?
(২) কেন ইহুদিরা বিশেষ সুবিধা পাওয়ার আশা করেছিল?
(৩) কিভাবে একজন ব্যক্তিকে ধার্মিক করা হয়?
(৪) কীভাবে একজন ব্যক্তি দেখাতে পারেন যে তার কাছে উদ্ধারকারী বিশ্বাস রয়েছে?
(৫) একজন ইহুদির জন্য ত্বকচ্ছেদের তাৎপর্য কী ছিল এবং একজন খ্রিষ্টবিশ্বাসীর জন্য এটি কীসের প্রতীক ছিল?
৩ নং পাঠের অ্যাসাইনমেন্ট
যে ইহুদিরা ভুলভাবে ভেবেছিল যে তাদেরকে ঈশ্বর গ্রহণ করবেন, তাদের বর্ণনা করে এক পৃষ্ঠা রচনা লিখুন। আজকের দিনে যাদের এই রকমই ভুল বোঝাবুঝি আছে, তাদের বর্ণনা করুন।
SGC exists to equip rising Christian leaders around the world by providing free, high-quality theological resources. We gladly grant permission for you to print and distribute our courses under these simple guidelines:
No Changes – Course content must not be altered in any way.
No Profit Sales – Printed copies may not be sold for profit.
Free Use for Ministry – Churches, schools, and other training ministries may freely print and distribute copies—even if they charge tuition.
No Unauthorized Translations – Please contact us before translating any course into another language.
All materials remain the copyrighted property of Shepherds Global Classroom. We simply ask that you honor the integrity of the content and mission.