অব্রাহাম: এক ব্যক্তি যিনি ঈশ্বরের সাথে গমনগমন করতেন
কল্পনা করুন যে আপনি ৭৫ বছর বয়সী একজন ব্যক্তি, আপনি মূর্তি উপাসকদের দেশে থাকেন, এবং একদিন আপনি হঠাৎ ঈশ্বরের রব শুনলেন! আপনি কীভাবে উত্তর দেবেন?
[1]ঈশ্বর অব্রাহামকে বলেছিলেন, “তোমার দেশ, তোমার আত্মীয়স্বজন ও তোমার পৈত্রিক পরিবার ছেড়ে সেই দেশে চলে যাও, যা আমি তোমাকে দেখাতে চলেছি।” (আদিপুস্তক ১২:১) “সবকিছু ত্যাগ করো এবং আমাকে অনুসরণ করো!” ঈশ্বর অব্রাহামকে বলেননি তিনি তাঁকে কোথায় নিয়ে যাবেন। তিনি শুধু বলেছিলেন, “আমাকে অনুসরণ করো।”
অব্রাহাম ঈশ্বরকে বিশ্বাস করেছিলেন এবং ঊর থেকে হারণ, এবং হারণ থেকে কনান দেশ পর্যন্ত ঈশ্বরকে অনুসরণ করেছিলেন। অব্রাহাম ঈশ্বরের আদেশের বাধ্য হয়ে ১,৬০০ কিলোমিটারেরও বেশী পথ অতিক্রম করেছিলেন।
অব্রাহাম সেই প্রতিজ্ঞাগুলি বিশ্বাস করেছিলেন যেগুলি অসম্ভব বলে মনে হয়েছিল। তিনি বিশ্বাস করেছিলেন যে ঈশ্বর তাঁকে একটি পুত্র সন্তান দেবেন, যদিও সারার সন্তানধারণের বয়স পেরিয়ে গিয়েছিল। তিনি বিশ্বাস করেছিলেন যে ঈশ্বর তাঁকে প্রতিজ্ঞার দেশ দেবেন, যদিও কনান দেশে তাঁর কোনো অধিকৃত জমি ছিল না। তিনি বিশ্বাস করেছিলেন যে ঈশ্বর তাঁকে বহু জাতির পিতা করবেন, যদিও তাঁর কোনো সন্তান ছিল না।
পরজাতীয় সমাজ থেকে একজন ব্যক্তি, অব্রাহাম, ঈশ্বরের বন্ধু বলে আখ্যাত হয়েছিলেন (যাকোব ২:২৩)। তিনি ঈশ্বরের সাথে গমনাগমন করতেন।
► আপনার ক্লাসের তিনজন সদস্যকে এতক্ষণ অবধি তাদের ঈশ্বরের সাথে চলার কোনো সাক্ষ্য প্রদান করতে বলুন। কীভাবে এই চলা শুরু হয়েছিল? আপনার এই পথ চলাকালীন আপনি কী কী শিখেছেন?
তোমার পবিত্র আত্মা দ্বারা আমাকে পূর্ণ করো এবং আবদ্ধ করো,
তুমি যেমন চাও সেভাবে আমাকে ব্যবহার করো,
তুমি যেখানে চাও সেখানে আমাকে পাঠাও,
তোমার সমস্ত ইচ্ছা আমার জীবনে সিদ্ধ করো
এখন এবং চিরকাল যেভাবেই হোক।”
- বেটি স্ট্যাম (Betty Stam)
(চীন দেশে নিহত শহীদ)
পঞ্চপুস্তক (Pentateuch)-এ পবিত্রতা: ঈশ্বরের সাথে চলা What is Holinessীঈঈ ী ীঈশ্বরের
পবিত্র লোকেরা ঈশ্বরের সাথে গমনাগমন করেন; তারা ঈশ্বরের সাথে সময় কাটান। যেহেতু তারা ঈশ্বরের সাথে চলেন, ফলত তারা অনেক বেশী তাঁর মতো হয়ে ওঠেন। পবিত্র হওয়ার মানে হল ঈশ্বরের সাথে চলা, ঈশ্বরের সাথে একটি গভীর সম্পর্ক স্থাপন করার জন্য।
ঈশ্বর এদেন উদ্যানে আদম এবং হবার সাথে হাঁটাচলা করতেন। পাপ এই আদর্শ সম্পর্কটি ভেঙে দেওয়ার পর, আদম এবং হবা নিজেদের ঈশ্বরের কাছ থেকে লুকিয়েছিল। পাপ মানুষকে ঈশ্বরের থেকে আলাদা করে দিয়েছিল।
পাপ ঈশ্বরের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল; পাপ মানুষের মধ্যে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল; আদম হবাকে দোষারোপ করেছিল। আদম এবং হবা একই পাপের ভাগীদার ছিল, কিন্তু পাপ তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক নষ্ট করে দিয়েছিল। তাঁর সন্তানদের জন্য ঈশ্বরের ইচ্ছা হল এই যে তারা তাঁর সাথে এবং একে অপরের সাথে শান্তিতে জীবন যাপন করুক। শয়তানের উদ্দেশ্য হল আমাদের সাথে ঈশ্বরের এবং নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট করে দেওয়া।
পাপ ঈশ্বর এবং মানুষের মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট করে দিয়েছিল, কিন্তু ঈশ্বর এই সম্পর্কটি পুনঃস্থাপনের জন্য একটি উপায় প্রদান করেছিলেন। সমস্ত বলিদান এক পবিত্র ঈশ্বরের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য একটি উপায় প্রদান করেছিল। আমরা মানুষের ক্ষমতার মাধ্যমে পবিত্র হয়ে উঠতে পারি না; আমরা এক পবিত্র ঈশ্বরের সাথে পবিত্র সম্পর্কের মাধ্যমে পবিত্র হয়ে উঠি।
গোটা পুরাতন নিয়ম জুড়ে, আমরা বহু পবিত্র ব্যক্তির উদাহরণ পাই যারা ঈশ্বরের সাথে চলাফেরা করতেন। তাঁরা একটি সুন্দর বাগানে ঈশ্বরের সাথে হাঁটার সুযোগ পাননি। পাপের কারণে, মানুষ এখন ঈশ্বরের সাথে পাপের একটি অন্ধকারময় পৃথিবীতে হাঁটাচলা করে। কিন্তু একটি পাপপূর্ণ পৃথিবীতেও, ঈশ্বরের সাথে হাঁটা সম্ভব। এটাই পবিত্রতা।
ঈশ্বরের সাথে চলতে গেলে আত্মসংযম প্রয়োজন
ঈশ্বরের সাথে ঘনিষ্টভাবে চলতে গেলে সাংসারিক অভিলাষকে “না” বলতে পারার মতো আত্মসংযম প্রয়োজন (তীত ২:১২)। যোষেফ বিদেশে এক উচ্চপদস্থ ব্যক্তির বাড়ি দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন। সেই সময়ে যোষেফ যৌন প্রলোভনের স্বীকার সম্মুখীন হয়েছিলেন। ঈশ্বরের সাথে যোষেফের সম্পর্ক তাঁকে এই প্রলোভনের প্রতি উত্তর দিতে সহায়তা করেছিল। অন্যরা বলতেই পারে, “এই আনন্দটা দারুণ; আমি হলে ভালো করে মজা করতাম।” কিন্তু যোষেফ বলেছিলেন, “...কীভাবে আমি এ ধরনের জঘন্য কাজ এবং ঈশ্বরের বিরুদ্ধে পাপ করব?” (আদিপুস্তক ৩৯:৯)। যোষেফ কেবল শারীরিক অভিলাষের স্বার্থে ঈশ্বরের সাথে তাঁর সম্পর্ক নষ্ট করতে অনিচ্ছুক ছিলেন।
আমরা আত্মসংযমের দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করি না। এটা কেবল ঈশ্বরের অনুগ্রহ যা আমাদের পবিত্র করে তোলে। আমরা অনুগ্রহ দ্বারা পরিত্রাণ পেয়েছি; অনুগ্রহের দ্বারা আমরা পবিত্র হয়েছি। তবে, অনুগ্রহ মানে এই নয় যে আত্মসংযম অপ্রয়োজনীয়।
ডালাস উইলার্ড লিখেছেন, “অনুগ্রহ প্রচেষ্টার বিরোধী নয়; অনুগ্রহ এটিকে উপার্জনের বিরোধী।”[1] পথ চলতে গেলে প্রচেষ্টা প্রয়োজন, কিন্তু এই প্রচেষ্টাও ঈশ্বরের অনুগ্রহের ফলস্বরূপ আসে। আমাদের প্রচেষ্টা ঈশ্বরের অনুগ্রহ উপার্জন করে না; আমাদের প্রচেষ্টা হল তাঁর অনুগ্রহের প্রতি একটি আনন্দপূর্ণ প্রত্যুত্তর। ঈশ্বরের সন্তান হিসেবে, আমরা আমাদের ক্ষমতা দ্বারা ঈশ্বরের অনুগ্রহ অর্জন করতে পারি না, কিন্তু আমরা আত্ম-শৃঙ্খলার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করি (১ করিন্থীয় ৯:২৫-২৭)।
ঈশ্বরের সাথে চলতে গেলে বাধ্যতা প্রয়োজন
ঈশ্বর অব্রাহামকে এমন এক স্থানে যেতে বলেছিলেন যা তিনি কখনো দেখেননি। “অতএব সদাপ্রভুর কথামতো অব্রাম চলে গেলেন...” (আদিপুস্তক ১২:৪)। অব্রাহাম ঈশ্বরের সাথে একটি বাধ্যতার জীবনে গমনাগমন করেছিলেন। একটি পবিত্র হৃদয় হল একটি বাধ্য হৃদয়:
বিশ্বাসেই অব্রাহাম, যে স্থান তিনি ভাবীকালে উত্তরাধিকার হিসেবে লাভ করবেন, সেই স্থানে যাওয়ার আহ্বান পেয়ে গন্তব্যস্থান না জেনেই, বাধ্যতার সঙ্গে সেই স্থানে গেলেন (ইব্রীয় ১১:৮)।
[2]ঈশ্বর অব্রাহামকে কনান দেশে যাওয়ার জন্য ম্যাপ দেননি। তিনি অব্রাহামকে ভ্রমণের বিষয়ে বিশদে জানিয়েও দেননি। তিনি কেবল অব্রাহামকে বলেছিলেন অনুসরণ করতে – এবং অব্রাহাম তা মেনে নিয়েছিলেন। ঈশ্বরের সাথে চলতে গেলে বাধ্যতা প্রয়োজন। একটি পবিত্রতার জীবনের জন্য বাধ্যতা আবশ্যিক (১ পিতর ১:২; রোমীয় ৬:১৬, ২২)।
ঈশ্বরের সাথে পথ চললে বিশ্বাস বৃদ্ধি পায়
যখন অব্রাহাম তাঁর বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন, তখন সেখানে ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞার কোনো চিহ্ন বা প্রমাণ ছিল না। অব্রাহাম ঈশ্বরের সাথে একটি বিশ্বাসের জীবনে গমনাগমন করেছিলেন। ঈশ্বরের সাথে চলার ফলস্বরূপ আমরা তাঁকে সম্পূর্ণরূপে বিশ্বাস করতে শিখি। আমরা যত তাঁর সাথে সময় কাটাই তত আমাদের বিশ্বাস গভীর হয়। এটি অব্রাহামের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল কারণ তিনি তার দেশ ছেড়ে বেরিয়ে আসার চেয়েও বড় একটি পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছিলেন।
কনান দেশে ঈশ্বর অব্রাহামকে তার পুত্র ইসাহাককে বলি দিতে বলেছিলেন। ঈশ্বর অব্রাহামকে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে তিনি বহু জাতির পিতা হবেন। বহু বছর পর, অব্রাহাম এবং সারার এক পুত্র হয়েছিল। কিন্তু এখন, ঈশ্বর অব্রহামকে তাঁর পুত্র ইসাহাককে বলিস্বরূপ দান করতে বললেন। ইব্রীয় পত্রের লেখক লিখেছেন, “বিশ্বাসে অব্রাহাম, ঈশ্বর যখন তাঁকে পরীক্ষা করলেন, তিনি ইস্হাককে বলিরূপে উৎসর্গ করলেন” (ইব্রীয় ১১:১৭)।
যেহেতু অব্রাহাম ঈশ্বরের সাথে পথ চলতেন, তাই তিনি তাঁকে বিশ্বাস করতেন। অব্রাহাম ঈশ্বরের সাথে চলতেন, তাই তিনি ঈশ্বরকে এমনকি তখনও বিশ্বাস করতেন যখন তিনি ঈশ্বরের আদেশ পুরোপুরিভাবে বুঝতে পারতেন না। অব্রাহাম ঈশ্বরের সাথে বিশ্বাস বৃদ্ধির এক সম্পর্কে পথ চলতেন।
ঈশ্বরের সাথে পথ চলার বিষয়টি চায় যে আমরা তাঁকে বিশ্বাস করি। যখন আমরা ঈশ্বরের সাথে চলি, তখন আমরা কঠিন পরিস্থিতিতেও তাঁকে বিশ্বাস করি। আমরা ঈশ্বরকে অনুমতি দিই সেটি করার যা তিনি আমাদের জীবনের শ্রেষ্ঠ বলে মনে করেন।
এই নীতিটি গোটা শাস্ত্র জুড়ে দেখা যায়। বিভিন্ন অকল্পনীয় পরীক্ষাতে, ইয়োব শিখেছিলেন যে তিনি ঈশ্বরকে বিশ্বাস করতে পারেন। নির্বাসনকালে, যিরমিয় খারাপ থেকে উত্তমতা আনতে ঈশ্বরের প্রতিশ্রুতি নিয়ে এসেছিলেন (যিরমিয় ২৯:১০-১৪)। শরীরে আটকে থাকা কাঁটার যন্ত্রণাতে, পৌল শিখেছিলেন যে ঈশ্বরের অনুগ্রহ তাঁর জন্য যথেষ্ট, কারণ ঈশ্বরের শক্তি দুর্বলতায় সিদ্ধিলাভ করে (২ করিন্থীয় ১২:৯)।
অব্রাহাম এবং ঈশ্বরের লোকদের এই ইতিহাসভিত্তিক কাহিনীগুলি আমাদের শেখায় যে ঈশ্বরের সাথে পথ চলার মধ্যে তাঁর আদেশের প্রতি সম্পূর্ণ বাধ্যতা এবং তাঁর প্রতিজ্ঞার প্রতি সম্পূর্ণ বিশ্বাস একইসাথে অন্তর্ভুক্ত। যত আমরা তাঁর সাথে চলি, ততই তাঁর প্রতি আমাদের বিশ্বাস গভীরতর হয়।
ঈশ্বরের সাথে পথ চলা হল একটি স্বতন্ত্র সম্পর্ক
পথচলার চিত্র শাস্ত্রে খুবই প্রচলিত। দুঃখজনকভাবে, ইস্রায়েল প্রায়শই ঈশ্বরের সাথে চলার পরিবর্তে পাপের সাথে চলত। ইস্রায়েলের বহু রাজা পাপে পরিচালিত হয়েছিলেন। তাঁরা পাপের সাথে একটি সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। অবিয় সেই সমস্ত পাপই করেছিলেন যা তাঁর বাবা তাঁর আগে করে গিয়েছিলেন (১ রাজাবলী ১৫:৩)। অন্যান্য রাজারাও ঈশ্বরের পথে না চলে তাঁদের বাবাদের পথে চলেছিলেন। তাঁরা পাপের সাথে একটি সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন; তাঁরা ঈশ্বরের সাথে চলেননি।
[3]ঈশ্বরের সাথে পথ চলা হল একটি অসাধারণ সম্পর্ক। ঈশ্বর এক ঈর্ষাপরায়ণ ঈশ্বর (যাত্রাপুস্তক ৩৪:১৪; দ্বিতীয় বিবরণ ৪:২৪; যিহোশূয় ২৪:১৯)। আপনি ঈশ্বরের সাথে এবং পাপের সাথে একসঙ্গে হাঁটতে পারে না। গীতরচক ঈশ্বরের উপস্থিতিতে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়ের কথা জানতে চেয়েছেন (গীত ১৫:১)। ঈশ্বরের উপস্থিতিতে থাকার জন্য কী কী প্রয়োজন?
সেই করবে যে আচরণে নির্দোষ, যে নিয়মিত সঠিক কাজ করে, যে অন্তর থেকে সত্য কথা বলে; যার জিভ কোনও অপবাদ করে না, প্রতিবেশীর প্রতি কোনও অন্যায় করে না, এবং অপরের কোনও নিন্দা করে না (গীত ১৫:২-৩)।
মালাখি বলেছেন, “তোমরা তোমাদের কথার মাধ্যমে সদাপ্রভুকে ক্লান্ত করেছ।” ইস্রায়েল জিজ্ঞাসা করেছিল, “আমরা কীভাবে তাঁকে ক্লান্ত করেছি?” মালাখি উত্তর দিয়েছিলেন, “এই বলে, ‘সবাই যারা মন্দ কাজ করে তারা সদাপ্রভুর চোখে ভালো এবং তিনি তাদের উপর খুশি’” (মালাখি ২:১৭)। ইজরায়েল স্বেচ্ছায় পাপ করা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি ঈশ্বরের বন্ধু হয়ে থাকতে চেয়েছিল। সেক্ষেত্রে মালাখি সাবধান করেছিলেন যে জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডের মত বিচারের দিন আসতে চলেছে। সেইদিন, যারা পাপ করে তারা শুকনো ঘাসের মতো হবে (মালাখি ৪:১)। একজন পবিত্র ঈশ্বর কখনোই পাপকে উপেক্ষা করতে পারেন না।
ঈশ্বর ইস্রায়েলকে ঈশ্বরের নিয়ম মেনে চলার পরিবর্তে অন্যান্য জাতির পাপ অনুসরণ করার জন্য নিন্দা করেছিলেন। “কারণ তোমরা আমার নিয়ম ও শাসন পালন করোনি বরং তোমাদের চারপাশের জাতিদের অনুরূপ হয়েছ” (যিহিষ্কেল ১১:১২)। ইজরায়েল যখন পাপের পথে চলছিল তখন তাদের পক্ষে ঈশ্বরের সাথে চলা সম্ভব ছিল না। ইজরায়েলের পক্ষে কখনোই ঈশ্বরের পথে এবং পাপের পথে একসাথে হাঁটা সম্ভব ছিল না। যদিও তারা ঈশ্বরের মনোনীত জাতি ছিল, তবুও ঈশ্বর তাদেরকে তাদের পাপের জন্য শাস্তি দিয়েছিলেন। তারা পাপের সাথে চলার সময় ঈশ্বরের সাথে চলতে পারে না।
[1]Dallas Willard, Hearing God (Westmont: InterVarsity Press, 2012), 254
“যদি আমি জগতের সাথে চলি, তাহলে আমি ঈশ্বরের সাথে চলতে পারি না।”
- ডোয়াইট এল. মুডি
(Dwight L. Moody)
পবিত্রতার অনুশীলন: ঈশ্বরের সঙ্গে গমনাগমন করা হল একটি বহমান সম্পর্ক
ঈশ্বরের সাথে চলার ফলে আমরা তাঁর সাথে আমাদের সম্পর্ক বৃদ্ধি পায়। দ্বিতীয় বিবরণ ৬ অধ্যায়ে মোশি ঈশ্বরের সাথে চলার অর্থ কী তার একটি চিত্র তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন ইজরায়েলের লোকদের অবশ্যই তাদের সন্তানদের ঈশ্বরের নিয়মের শিক্ষা দেওয়া উচিৎ। কখন? সবসময়:
তোমাদের সন্তানদের তোমরা সেগুলি বারবার শেখাবে। ঘরে বসে থাকার সময় ও যখন তোমরা পথে চলবে, শোবার সময় ও যখন ঘুম থেকে উঠবে তাদের সেই সময় বলবে (দ্বিতীয় বিবরণ ৬:৭)।
একজন ব্যক্তি যে ঈশ্বরের সঙ্গে চলে সে তাঁর সাথে একটি ধারাবাহিক সম্পর্ক বজায় রাখে। সেখানে “সাধারণ জীবন” এবং “মন্ডলী সংযুক্ত জীবন”-এর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। পবিত্র লোকেরা “রবিবারের খ্রীষ্টিয়ান” নয় যারা কেবল মন্ডলীতে ঈশ্বরের সেবা করে। পবিত্র লোকেরা ঈশ্বরের সাথে একটি ধারাবাহিক, ক্রমবর্ধমান সম্পর্কে থাকতে চায়।
যখন ইস্রায়েল ঈশ্বরের সাথে একটি দৈনন্দিন, ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক পালন করতে ব্যর্থ হয়েছিল, তখন তারা দ্রুত অন্য দেবতাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিল। যখন শলোমন ঈশ্বরের সাথে তাঁর সম্পর্কের ব্যাপারে উদাসীন হয়ে পড়েছিলেন, তখন তিনি দ্রুত তাঁর স্ত্রীদের মিথ্যে দেবতাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন।
এমনকি প্রথম মন্ডলীও এই বিপদের সম্মুখীন হয়েছিল। পৌলের হাত ধরে একটি নাটকীয় পুনর্জাগরণের মাধ্যমে ইফিষীয় মন্ডলীর পথ চলা শুরু হয়েছিল। প্রেরিত যোহন কিছুকালের জন্য তাদের যাজক হিসেবে কাজ করেছিলেন। যিশুর মা মরিয়ম, ইফিষে থাকতেন। তাদের কাছে সুসমাচারের বাস্তবতা সম্পর্কে এক অসাধারণ উন্মুক্ত জ্ঞান ছিল। কিন্তু এক প্রজন্মের মধ্যে, যোহন এই সতর্কবার্তাটি শোনান:
তবুও তোমার বিরুদ্ধে আমার কিছু কথা আছে: তুমি তোমার প্রথম প্রেম পরিত্যাগ করেছ। অতএব ভেবে দেখো, কোথা থেকে কোথায় তোমার পতন হয়েছে। তুমি মন পরিবর্তন করো ও প্রথমে যে কাজগুলি করতে সেগুলি করো (প্রকাশিত বাক্য ২:৪-৫)।
কী ঘটেছিল? যেহেতু তারা তাদের প্রথম প্রেমের আবেগ ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছিল এবং যেহেতু ঈশ্বরের সাথে তাদের সম্পর্কে ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে ব্যর্থ হয়েছিল, ফলস্বরূপ তাদের প্রেম শীতল হয়ে পড়েছিল।
আমরা এটি মানুষের সম্পর্কের ক্ষেত্রেও দেখি। আপনি ভাবতে পারেন একজন ব্যক্তি যে একজন সুন্দরী নারীকে বিয়ে করেছে, দেওয়ালে তাদের বিয়ের সার্টিফিকেটও সাজিয়ে রেখেছে, কিন্তু কখনো তার সাথে সময় কাটায়নি? তাদের বিয়েটা কি স্বাস্থ্যকর? না! একটি স্বাস্থ্যকর বিবাহিত জীবন গড়ে তোলার জন্য একটা ম্যারেজ সার্টিফিকেটের চেয়েও বেশী কিছু প্রয়োজন। একটি সুস্থ বিবাহ বছরের পর বছর ধরে বৃদ্ধি পায় কারণ দুই ব্যক্তি একে অপরের প্রতি তাদের ভালবাসায় বৃদ্ধি পেতে থাকে।
একইভাবে, আমরাও ঈশ্বরের প্রতি আমাদের ভালোবাসায় ক্রমাগত বৃদ্ধির জন্য আহূত। ঈশ্বরের সাথে চলার মানে হল তাঁর সাথে ক্রমাগত সময় কাটাতে থাকা। ঈশ্বরের সাথে চলার মানে হল তাঁর সাথে আমাদের সম্পর্কে ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকা। এটাই হল পবিত্র হওয়ার অর্থ।
চলা হল একটি ক্রমাগত বা ধারাবাহিক কাজ। এটি একটি ক্রমাগত, বহমান সম্পর্ককে বোঝায়। একজন পবিত্র ব্যক্তি ঈশ্বরের সাথে তাঁর সম্পর্কে ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকেন। ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ করার মুহূর্তটিই এই পদ্ধতির সমাপ্তি নয়। একটি পবিত্র জীবনের মধ্যে ঈশ্বরের সাথে ক্রমাগত চলাও অন্তর্ভুক্ত। ঈশ্বরের সাথে আমাদের পথ চলা শুরু হয়েছিল নতুন জন্মের মাধ্যমে এবং ততদিন চলবে যতদিন না আমরা ঈশ্বরকে মুখোমুখি দেখছি। পবিত্রতার জীবন হল একটি বহমান সম্পর্ক।
যিশু তাঁর শিষ্যদের শিখিয়েছিলেন যে আত্মিক জীবন সম্পূর্ণভাবে তাঁর সাথে সম্পর্ক বজায় রাখার ওপর নির্ভরশীল।
তোমরা আমার মধ্যে থাকলে, আমিও তোমাদের মধ্যে থাকব। নিজে থেকে কোনো শাখা ফলধারণ করতে পারে না, দ্রাক্ষালতার সঙ্গে অবশ্যই সেটিকে যুক্ত থাকতে হবে। আমার সঙ্গে যুক্ত না থাকলে, তোমরাও ফলবান হতে পারো না। “আমি দ্রাক্ষালতা, তোমরা সবাই শাখা। যে আমার মধ্যে থাকে এবং আমি যার মধ্যে থাকি, সে প্রচুর ফলে ফলবান হবে; আমাকে ছাড়া তোমরা কিছুই করতে পারো না (যোহন ১৫:৪-৫)।
কিছু খ্রিষ্টবিশ্বাসী মনে করে যে ঈশ্বরের সাথে তাদের সম্পর্ক হল একটা “পাপীর প্রার্থনা” যা একটি সামান্য পরিবর্তিত জীবন দ্বারা অনুসৃত হয়। ঈশ্বরের সাথে সম্পর্কের বাইবেলভিত্তিক চিত্রটি একদমই আলাদা। খ্রীষ্টিয় জীবন দ্রাক্ষালতার সাথে সংযুক্ত (যোহন ১৫:১-১৭)। আমাদের আত্মিক জীবন দ্রাক্ষালতার সাথে দৈনন্দিন সম্পর্কের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। দ্রাক্ষালতা থেকে বিচ্ছিন্ন একটি শাখা দ্রুত মরে যায়; একজন খ্রীষ্টিয়ান যে দ্রাক্ষালতা থেকে বিচ্ছিন্ন সেও দ্রুত মারা যায়।
ঈশ্বরের সাথে চলতে গেলে যা প্রয়োজন তা হল তাঁর সাথে সময় কাটানো। আপনি কারোর সাথে সময় না অতিবাহিত করে তাঁর সাথে চলতে পারেন না। পবিত্র লোকেরা ঈশ্বরের সাথে সময় কাটান। তাঁরা মাঝে মাঝে ব্যবসা সংক্রান্ত সুযোগ-সুবিধা এবং অন্যান্য আনন্দ ত্যাগ করেন যাতে তাঁরা ঈশ্বরের সাথে সময় কাটাতে পারেন। তাঁরা জানেন যে ঈশ্বরের সাথে তাঁদের সম্পর্কের চেয়ে কোনোকিছুই বেশী গুরুত্বপূর্ণ নয়। যেমনভাবে মরিয়ম যীশুর পায়ের কাছে বসেছিলেন, তেমনই পবিত্র লোকেরাও জানেন যে একটা জিনিস প্রয়োজনীয় যা হল ঈশ্বরের সাথে সময় কাটানো (লূক ১০:৪১-৪২)।
পবিত্র লোকেরা একটি অগ্রাধিকার হিসেবে ঈশ্বরের সাথে সময় কাটান। তাঁরা জানেন যে প্রার্থনা এবং শাস্ত্রপাঠ অন্য যেকোনো কাজের চেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ – এমনকি প্রচারকার্যের চেয়েও। তাঁরা মনে রাখেন যে যীশু প্রায়শয়ই তাঁর পিতার কাছে প্রার্থনা করার জন্য খুব ভোরে উঠতেন, ফলস্বরূপ তাঁরাও প্রার্থনায় সময় কাটানোর একটি অভ্যাস তৈরি করেছেন।
পবিত্র লোকেরা বোঝেন যে ঈশ্বরের সাথে চলার মানে হল তাঁর নির্দেশ অনুসরণ করা। তাঁরা তাঁর নেতৃত্বের প্রতি সংবেদনশীল। তাঁরা কেবল এই প্রশ্নটিই করে থেমে থাকেন না, “এই কাজটি করা কি পাপ?” তাঁরা প্রশ্ন করেন, “এটা কি আমাকে ঈশ্বরের আরো কাছে নিয়ে যাবে?” তাঁরা প্রতিটি সিদ্ধান্তে ঈশ্বরকে খুশি করতে চান। কারণ পবিত্র লোকেদের হৃদয় পবিত্র, তাঁরা তাদের দুই হাতকে পাপের কবল থেকে বিরত রাখতে সতর্ক। তাঁরা জানেন যে ঈশ্বরের সাথে সুসম্পর্কে থাকতে গেলে আমাদেরকে সেই সবকিছু থেকে পৃথক থাকতে হবে যা ঈশ্বরকে অসন্তুষ্ট করে।
► দ্রাক্ষালতার সাথে একটই গভীরতর সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য বাস্তব উপায়গুলি কী কী?
► কোন তিনটি চ্যালেঞ্জ ঈশ্বরের সাথে আমাদের সম্পর্ককে বাধা দেয় এমন তিনটি চ্যালেঞ্জ কী কী?
তিনি রহস্যের চাবিকাঠিটি খুঁজে পেয়েছিলেন - ফ্রান্সেস রিডলি হ্যাভারগাল
ফ্রান্সেস হ্যাভারগাল (Frances Havergal) -এর বাবা চার্চ অফ ইংল্যান্ড-এর একজন প্রচারক ছিলেন। ১৪ বছর বয়সে তিনি খ্রিষ্টে বিশ্বাসের বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন।[1] সারাজীবন হ্যাভারগাল (১৮৩৬-১৮৭৯) ঈশ্বরের সাথে নিবিড়ভাবে চলতে চেয়েছিলেন। তিনি লিখেছেন, “আহা, তিনি আমাকে একটি পবিত্রকৃত পাত্র বানিয়েছেন এবং প্রভুর ব্যবহারের জন্য (প্রস্তুত করেছেন)!” এমন অনেক সময় হয় যখন আমি তাঁর জন্য এতটাই ভালোবাসা অনুভব করি যে সেটি বর্ণনা করার মতো ভাষা আমার কাছে নেই... কিন্তু আমি আরো কাছে যেতে চাই। এটি কেবল শাস্ত্র জানা নয়, বরং তাঁর সাথে থাকা, যা এটি দেবে।” যেহেতু তিনি ঈশ্বরের সাথে চলতেন, ফলস্বরূপ তিনি তাঁর ভীষণ কাছাকাছি থাকতে পেরেছিলেন।[2]
১৮৭৩ সালে হ্যাভারগাল সাক্ষ্য দিয়েছেন যে তিনি “ঈশ্বরের আত্মার ক্রমাগত পবিত্র করার ক্ষমতার মাধ্যমে সমস্ত পাপ থেকে শুদ্ধ হয়েছিলেন এবং পবিত্র হয়েছিলেন।” ঈশ্বরের সাথে তাঁর পথচলাকে বাধা দেওয়ার মত কিছুই ছিলা না। ঈশ্বরের কাছে তাঁর সমর্পণের প্রার্থনা, “প্রভু আমার এ জীবন তোমায় করি সমর্পণ” এক বিখ্যাত স্তবগান হয়ে উঠেছে।
হ্যাভারগাল সবকিছু ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ করেছিলেন। এটাই হল ঈশ্বরের সাথে চলার অর্থ। তাঁর এতই কাছে থাকতে হবে যে সবকিছুই তাঁরই হবে। সারাজীবন ঈশ্বরের সাথে চলার পর, হ্যাভারগালের শেষ কথাগুলি ছিল, “সুন্দর! স্বর্গে প্রবেশদ্বারের এত কাছে থাকা অসাধারণ! আশীর্বাদে ধন্য বিশ্রাম!” তাঁর ভাই লিখেছিলেন তাঁর মুখ “আনন্দে পরিপূর্ণ ছিল, যেন তিনি তাঁর সাথেই কথা বলছেন।”
মিস. হ্যাভারগাল ঈশ্বরের সাথে চলতেন; তিনি একজন পবিত্র ব্যক্তি ছিলেন। ঈশ্বরের সাথে হাঁটা কেবল বাইবেলের সময়কালের লোকদের জন্যই প্রযোজ্য ছিল তা নয়। আপনি আজকেও ঈশ্বরের সাথে হাঁটতে পারেন; আপনি পবিত্র হতে পারেন।
[1]ফ্রান্সেস হ্যাভারগাল-এর কাহিনীটি Wesley L. Duewel, Heroes of the Holy Life (Grand Rapids: Zondervan, 2002), 80-89 থেকে অভিযোজিত করা হয়েছে।
(১) পবিত্রর হওয়া মানে হল ঈশ্বরের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা। পবিত্রতা হল ঈশ্বরের সাথে গমনাগমন করা।
(২) ঈশ্বরের সাথে চলতে গেলে সাংসারিক অভিলাষকে “না” বলতে পারার মতো আত্মসংযম প্রয়োজন।
(৩) আত্ম-শৃঙ্খলা অনুগ্রহের শক্তিকে অস্বীকার করে না। আমরা অনুগ্রহের দ্বারা পরিত্রাণ পেয়েছি; আমরা অনুগ্রহের মাধ্যমে পবিত্র হয়েছি।
(৪) ঈশ্বরের সাথে চলতে গেলে ঈশ্বরের আদেশের প্রতি সম্পূর্ণ বাধ্যতা প্রয়োজন। আমরা ঈশ্বরের সাথে এবং পাপের সাথে একসঙ্গে চলতে পারি না।
(৫) ঈশ্বরের সাথে চলতে গেলে ঈশ্বরের প্রতিশ্রুতির প্রতি সম্পূর্ণ বিশ্বাস বা আস্থা প্রয়োজন।
(৬) ঈশ্বরের সাথে চলার মানে হল ঈশ্বরের সাথে একটি ধারাবাহিক, দৈনন্দিন সম্পর্কে গড়ে তোলা।
(৭) একটি পবিত্র জীবনের জন্য দ্রাক্ষালতার সাথে একটি দৈনন্দিন সম্পর্ক প্রয়োজন। আমাদের আত্মিক জীবন সর্বোতভাবে ঈশ্বরের সাথে আমাদের সম্পর্কের ওপর নির্ভর করে।
পাঠের অ্যাসাইনমেন্ট
(১) মনে করুন যে একজন নতুন খ্রিষ্টবিশ্বাসী আপনাকে বলেছে, “আমি ঈশ্বরের সাথে একটি নিবিড় সম্পর্ক চাই। আমি ঈশ্বরকে ভালোবাসি, কিন্তু তাঁর সাথে কীভাবে আমি আমার সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারি তা জানা খুবই কঠিন ব্যাপার। আমি ঈশ্বরকে দেখতে পাই না, তাই মনে হয় তিনি অনেক দূরে আছেন। আমি কী করতে পারি?” একটি এক পাতার চিঠি লিখুন যেটিতে আপনি এই বিশ্বাসীকে বুঝতে সাহায্য করবেন যে সে কীভাবে ঈশ্বরের সাথে তার সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে পারে। আপনার পরবর্তী ক্লাস মিটিংয়ে, প্রত্যেক শিক্ষার্থী তাদের উত্তর পড়ে শোনাবে এবং উত্তরগুলি নিয়ে আলোচনা করবে।
(২) ১ যোহন ১:৬-৭ পাঠ করে পরবর্তী ক্লাস সেশনটি শুরু করুন।
SGC exists to equip rising Christian leaders around the world by providing free, high-quality theological resources. We gladly grant permission for you to print and distribute our courses under these simple guidelines:
No Changes – Course content must not be altered in any way.
No Profit Sales – Printed copies may not be sold for profit.
Free Use for Ministry – Churches, schools, and other training ministries may freely print and distribute copies—even if they charge tuition.
No Unauthorized Translations – Please contact us before translating any course into another language.
All materials remain the copyrighted property of Shepherds Global Classroom. We simply ask that you honor the integrity of the content and mission.